‘দ্য লেজেন্ড অফ মৌলা জাঠ’ ছবির সাফল্যের পর মুখ খুললেন ফওয়াদ খান। —ফাইল চিত্র।
‘দ্য লেজেন্ড অফ মৌলা জাঠ’ পাকিস্তানের প্রথম ছবি, যা ছবি মুক্তির ১০ দিনের মাথায় ১০০ কোটি টাকার ক্লাবে নিজের নাম লিখিয়েছে। এই ছবির সাফল্যে বেজায় খুশি ফওয়াদ খান। ছবি শুট করার সময় তাঁর কেমন অভিজ্ঞতা হয়েছিল, তা এক সাক্ষাৎকারে জানালেন অভিনেতা।
ফওয়াদ জানান, এই ছবিতে যে ধরনের চরিত্রে তাঁকে দেখা গিয়েছে, সেই চরিত্রে অভিনয়ের জন্য তাঁর শরীরের গড়নের দিকে খেয়াল রাখতে হয়েছিল। নিয়মিত শরীরচর্চা করতে জিমে যেতেন তিনি। কিন্তু এত কঠিন পদ্ধতির মধ্য দিয়ে শরীরচর্চা করার অভ্যাস নেই অভিনেতার। কিছু দিন পর তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছিল বলে জানান ফাওয়াদ।
ফওয়াদ বলেন, ‘‘আমি সামান্য কোনও ঘটনা নিয়েই বেশি ভাবতে করতে শুরু করি। মানসিক চাপ নিয়ে ফেলি। আর চাপ কাটাতে বেশি খাওয়াদাওয়া শুরু করে দিই। কিন্তু ‘মৌলা জাঠ’ চরিত্রের জন্য আমাকে নির্দিষ্ট পরিমাণে খাওয়াদাওয়া করতে হত। তবে অধিকাংশ সময় আমাকে ধুলোকাদার মধ্যে শুটিং করতে হত বলে মেক আপের জন্য বেশি সময় খরচ হত না।’’
তিনি আরও জানান, এই চরিত্রটিকে আলাদা ভাবে গড়তে চেয়েছিলেন ফওয়াদ। এই নিয়ে ছবির পরিচালক-প্রযোজকদের সঙ্গে আলোচনাও করেছেন তিনি। ‘‘আমি হৃতিকের মতো হতে চাই না। ‘মৌলা’ চরিত্রের গঠনও হৃতিকের মতো হোক, তা চাইতাম না। মৌলার চেহারা পালোয়ানের মতো, কোনও গ্রিক দেবতার মতো নয়,’’ বলে জানান অভিনেতা।
প্রথমে তিনি ভেবেছিলেন, এই চরিত্রটি এক চোখে দেখতে পাবে না। কিন্তু পরিচালক তাঁর প্রস্তাবে রাজি হননি। পরবর্তী কালে সকলে মিলে সিদ্ধান্ত নেন, এই চরিত্রের মুখের উপর একটা কাটা দাগ থাকলে ভাল দেখাবে।
ফওয়াদ এই ছবির সাফল্য নিয়ে বলেন, ‘‘পাকিস্তানি ছবিটি যে বিশ্বদরবারে এত প্রশংসা কুড়িয়েছে, তা ভেবেও ভাল লাগছে। এর ফলে পাকিস্তানের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি আরও উন্নত মানের কাজ করবে। হয়তো, এই কারণে পাকিস্তানের ছবি নির্মাণে অর্থ বিনিয়োগের মাত্রাও বাড়বে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy