বৃহস্পতিবার রাতে টলিপাড়ার পরিচালকদের সংগঠনের তরফে কর্মবিরতির ডাক দেওয়া হয়েছে। তার পর থেকেই শুটিংয়ের অচলাবস্থা নিয়ে টলিপাড়ায় আশঙ্কা দানা বাঁধে। শুক্রবার সকালে টলিপাড়ার শুটিংয়ের পরিস্থিতি দেখতে স্টুডিয়োয় উপস্থিত হন ফেডারেশন সভাপতি স্বরূপ বিশ্বাস। তিনি জানান, ফেডারেশনের সঙ্গে কোনও রকম আলোচনা না করেই কর্মবিরতির ডাক দিয়েছেন পরিচালকেরা।
আরও পড়ুন:
কর্মবিরতির অর্থ ছবি ও ধারাবাহিকের শুটিং ব্যাহত হওয়া। স্বরূপ জানান, শুক্রবার সকাল থেকেই টলিপাড়ায় বেশির ভাগ ধারাবাহিকের শুটিং নিয়মমাফিক শুরু হয়েছে। পাশাপাশি বেশ কিছু সিনেমার শুটিংও চলছে বলে জানালেন তিনি।
শুক্রবার পরিচালকদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন স্বরূপ। তিনি বলেন, ‘‘পরিচালকেরা আমাদের কাজের এক্তিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। কিন্তু তাঁদেরও আগে নিজেদের কাজের এক্তিয়ার বোঝা উচিত। কারণ আমাদের ২৮টি গিল্ডের মধ্যে তাঁরাও অন্যতম।’’ স্বরূপ জানান, টলিপাড়ার কোনও রকম কর্মবিরতির বিপক্ষে ফেডারেশন। তাঁর কথায়, ‘‘আমরা যে কোনও সমস্যা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করতে প্রস্তুত। কিন্তু আমাদের কিছু না জানিয়েই পরিচালকেরা কর্মবিরতির ঘোষণা করেছেন।’’
গত বছর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে টলিপাড়ায় পরিচালকদের কর্মবিরতিতে ইতি টেনেছিলেন পরিচালকেরা। স্বরূপ বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা রয়েছে। তাঁর নির্দেশেই গত বছর কর্মবিরতির অবসান হয়। সরকারের থেকে সারা বছর শিল্পীরা কী ধরনের সুবিধা পান, সেটা প্রত্যেকেই জানেন।’’
শুক্রবার স্বরূপ জানিয়েছেন, দিনভর ফেডারেশন কর্তারা টলিপাড়ার বিভিন্ন শুটিং ফ্লোরে নজরদারি করবেন। কোথায় কোথায় শুটিং হচ্ছে, কী কী সমস্যা হচ্ছে, তা খুঁটিয়ে দেখা হবে। স্বরূপ বলেন, ‘‘কিছু কিছু ফ্লোরে শিল্পীরা তৈরি। কিন্তু ইচ্ছে করে কাজ দেরিতে শুরু করা হচ্ছে। ফেডারেশন এই ধরনের ঘটনা মেনে নেবে না।’’
বৃহস্পতিবার বৈঠকের পর আনন্দবাজার অনলাইনকে ডিরেক্টর্স গিল্ড-এর সভাপতি সুব্রত সেন এবং সম্পাদক সুদেষ্ণা রায় জানিয়েছিলেন, শুক্রবার থেকে ফ্লোরে যাবেন না পরিচালকেরা। তিন পরিচালক কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়, জয়দীপ মুখোপাধ্যায় এবং শ্রীজিৎ রায়কে অসঙ্গতির কারণ দেখিয়ে ‘নিষিদ্ধ’ ঘোষণার পরেই নতুন করে মাথাচাড়া দেয় গিল্ড-ফেডারেশন কাজিয়া। তিন জনের কাজও বন্ধ করে দেওয়া হয়। টলিপাড়া সূত্রে খবর, ইন্ডাস্ট্রির একাংশ বিষয়টির সমাধানে সরকারি হস্তক্ষেপের অপেক্ষায় রয়েছেন। স্বরূপ বলেন, ‘‘যে কোনও ধরনের আলোচনায় আমাদের ডাকা হলে আমরা উপস্থিত থাকব।’’