চলছে শুটিং।
একদিকে এক সফল ক্রিকেটার। অন্যদিকে এক সফল স্পোর্টস এজেন্ট। নিয়তির খেলায় দু’জনেই ছিটকে যান জীবনের মূল স্রোত থেকে। তার পর একটু একটু করে শুরু হয় মূল স্রোতে ফেরার লড়াই। পড়তে গিয়ে মনে হচ্ছে তো এটা যদি চিত্রনাট্য হয়, তা হলে কেমন হত? ঠিকই ধরেছেন। চিত্রনাট্যই বটে। সৌজন্যে পরিচালক মিতালী ঘোষালের ছবি ‘টোয়েন্টি টু ইয়ার্ডস’।
কলকাতার পটভূমিতে শুরু গল্পের বুনন। মুখ্য ভূমিকায় রয়েছেন ছোট পর্দা এবং বড় পর্দার পরিচিত মুখ বরুণ সবতি। ক্রীড়া সাংবাদিকের চরিত্রে দেখা যাবে তাঁকে। মূল মহিলা চরিত্রে পরিচালক কাস্ট করেছেন পঞ্ছি ভোরাকে। এই ছবিতেই প্রথম বড় পর্দায় মুখ দেখাতে চলেছেন অমর্ত্য রায়। ছবিতে তাঁর চরিত্রের নাম সোম। এ ছাড়াও অমল পালেকর, রাজেশ শর্মা, রজিত কপূর, মৃণাল মুখোপাধ্যায়, টিস্কা চোপড়ার মতো দক্ষ অভিনেতারা সমৃদ্ধ করেছেন ছবিটিকে। একটি বিশেষ চরিত্রে রয়েছেন চৈতি ঘোষাল।
আরও পড়ুন, ‘আমার প্রথম পুতুল ছিল সান্তাক্লজ’
চৈতির কথায়, ‘‘এই ছবিতে আমি ক্রিকেটারের দিদি। বাঙালি চরিত্র, সেনসেটিভ, আধুনিকও বটে। আসলে আমার চরিত্র মানে তৃষ্ণার ভিতরে ভেঙে না পড়ার একটা জায়গা আছে। ভাই এক সময় দারুণ ক্রিকেট খেলত। কিন্তু পরে ভাইয়ের জীবন অন্যদিকে বাঁক নেয়। দিদি কিন্তু ভাইকে সফল দেখতে চায়। সব সময় ভাইয়ের পাশে রয়েছে। শেষ পর্যন্ত ভাইয়ের সাফল্যে সে দারুণ খুশি।’’
শুটিংয়ের ফাঁকে।
ছবির গল্পে স্পোর্টস এজেন্ট বরুণ হঠাৎই এক স্ক্যান্ডালে জড়িয়ে যায়। নষ্ট হয়ে যায় কেরিয়ার। অন্য দিকে সকলে বিশ্বাস করত সফল ক্রিকেটার হিসেবে অমর্ত্য ওরফে সোম রায় একদিন ভারতীয় ক্রিকেট শাসন করবে। কিন্তু আঘাত পেয়ে তাঁর খেলোয়াড় জীবন নষ্ট হয়ে যায়। শপিং মলের সেলস ম্যানের চাকরি নিতে বাধ্য হন তিনি। হঠাত্ এই মলেই একদিন এমন একজনের সঙ্গে দেখা যায় যে তার পর থেকেই বদলে যেতে থাকে তাঁদের জীবন। কিন্তু কী ভাবে? আবার কী ২২ গজের জীবনে ফিরবেন তাঁরা? উত্তর পাওয়ার জন্য হলে যেতেই হবে। ছবির ৭০ শতাংশ শুটিং শেষ। ২০১৭-তেই মুক্তি পাবে ছবিটি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy