ছবির প্রেক্ষাপট দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ। হিটলারের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছেন নেতাজি। হিটলারের রণকৌশলে চলছে নানা পরীক্ষানিরীক্ষা, যার মধ্যে রয়েছে বায়োলজিক্যাল ওয়েপন নিয়ে গবেষণাও। আবিষ্কৃত হয় এক নভেল ভাইরাস, যার অপব্যবহার শুরু করে নাৎসি বাহিনী। আবিষ্কারক বিজ্ঞানী লুকিয়ে ফেলে সেই ভাইরাসের অ্যান্টিডোটের ফর্মুলাটি।
কাট টু, সাম্প্রতিক সময়। ক্রিপ্টোগ্রাফির উপরে একটি বই লেখে রুদ্রাণী। সেই বইয়ের প্রকাশকের আমন্ত্রণে লন্ডনে পাড়ি দেয় সে। পাশাপাশি, স্বামী প্রিয়মের সঙ্গে সময় কাটানোও তার আর একটি উদ্দেশ্য। প্রিয়ম পেশায় আইটি কর্মী। তবে প্রবাসে সুখের সময় বেশি দিন স্থায়ী হয় না। রুদ্রাণী-প্রিয়ম দু’জনেই জড়িয়ে পড়ে এক রহস্য-সন্ধানে। সিগমন্ড শুমেখার নামে এক ব্যক্তি কিছু ক্রিপ্টোগ্রাফিক কোড সমাধানের জন্য সাহায্য চায় রুদ্রাণীর। নিজেদের অজান্তেই এক আন্তর্জাতিক চক্রান্তের জালে জড়িয়ে পড়ে তারা। অন্য দিকে, চল্লিশের দশকে আবিষ্কৃত সেই ভাইরাসের আতঙ্ক ফের ছড়িয়ে পড়ে। খোঁজ শুরু হয় অ্যান্টিডোটের ফরমুলার। সুভাষ চ্যাটার্জি নামের এক চরিত্র গল্পে এসে পড়ে, যার বাবার হাত ধরে অতীতের সঙ্গে যোগসূত্র তৈরি হয় রুদ্রাণী-প্রিয়মের। কী করে খোঁজ মিলবে অ্যান্টিডোটের, ভাইরাসের নিরাময়ই বা কী উপায়ে সম্ভব, এই ধাঁধার মধ্য দিয়েই এগোবে সায়ন্তন ঘোষালের আগামী ছবি ‘স্বস্তিক সঙ্কেত’-এর কাহিনি। রুদ্রাণী ও প্রিয়মের চরিত্রে জুটি বেঁধেছেন নুসরত জাহান এবং গৌরব চক্রবর্তী। ছবিতে নুসরতকে ডিগ্ল্যাম অবতারে দেখা যাবে। আইটি ইঞ্জিনিয়ারের কর্পোরেট লুকে দেখা যাচ্ছে গৌরবকে। শতাফ ফিগার রয়েছেন সিগমন্ড শুমেখারের চরিত্রে। জার্মান এই চরিত্রটির বাবা ভারতীয়, মা জার্মানির। শতাফকে তাঁর সল্ট অ্যান্ড পেপার লুকেই দেখা যাবে এখানে।