Advertisement
০৪ মে ২০২৪
Folk Artist Tilak Maharaj

প্রয়াত লোকশিল্পী শ্রীখোলবাদক তিলক মহারাজ

সোমবার সকালে বর্ধমানে মোহনপুরে নিজ আশ্রমে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।

Folk Artist tilak maharaj passes away

প্রয়াত লোকশিল্পী তিলক মহারাজ। ছবি: সংগৃহীত।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৩ এপ্রিল ২০২৩ ১৬:৪৩
Share: Save:

প্রয়াত লোকশিল্পী শ্রীখোলবাদক তিলক মহারাজ। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮০। মাস কয়েক আগেই হৃদ্‌যন্ত্রে অস্ত্রোপচার হয় শিল্পীর। সোমবার সকালে বর্ধমানে মোহনপুরে নিজের আশ্রমে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।

দীর্ঘ দিন গোষ্ঠগোপাল দাসের সঙ্গে সঙ্গত করেছেন। এ ছাড়াও পূর্ণদাস বাউল, সনাতন দাস বাউল, কালাচাঁদ দরবেশ, পরীক্ষিত বালা-সহ বাংলার বিশিষ্ট লোকসঙ্গীত শিল্পীদের সঙ্গে সঙ্গত করেছেন। পরে গোষ্ঠগোপাল দাসের অকালপ্রয়াণের পর কাঁচরাপাড়ায় নিজের নিবাস ছেড়ে চলে আসেন বর্ধমানের মোহনপুর শ্মশানে। সেখানেই বছরের পর বছর ধরে শ্মশানে সাধনা করেছেন। বর্তমানে লুপ্তপ্রায় একটি ধারা শ্রীখোল নিয়ে দিনের পর দিন সাধনা করেছেন তিনি। একটি চ্যানেলে বাংলা গানের রিয়্যালিটি শো-র মঞ্চে অতিথি হয়ে আসেন তিনি। সেই সময় শান্তনু মৈত্র, মোনালী ঠাকুর এবং শ্রীকান্ত আচার্যের মতো শিল্পীরা তাঁকে সম্মান জানিয়েছিলেন।

লোকসঙ্গীত শিল্পী দেব চৌধুরীর কথায়, ‘‘অপারেশন থিয়েটারে ঢোকার আগের মুহূর্তে আমরা সবাই খুবই দুশ্চিন্তায় ছিলাম, কিন্তু তিলকদার একই রকম এনার্জি আর মনের জোর দেখেছিলাম। লোকায়ত মানুষদের এই অফুরান প্রাণশক্তি আমাদের প্রতি মুহূর্তে বিস্মিত করে, আরও ভাল কাজের শক্তি জোগায়। আমরা সবাই মঞ্চে আর টেলিভিশনে তার স্বমহিমায় প্রত্যাবর্তনের আশায় ছিলাম। কিন্তু শেষরক্ষা হল না।’’বিশিষ্ট লোকসঙ্গীত শিল্পী তথা বিধায়ক অদিতি মুন্সি বলেন, ‘‘ওঁর সঙ্গে কখনও মুখোমুখি দেখা হয়নি। তবে ওঁর বাজনার কথা শুনেছি। ওঁর বাজনাও শুনেছি। ওঁর মতো বর্ষীয়ান শিল্পীর অভিজ্ঞতা আমাদের পাথেয়। ওঁর চলে যাওয়াটা সমগ্র লোকসঙ্গীতের ক্ষেত্রেই অপূরণীয় ক্ষতি। আমার আক্ষেপ, কখনও ওঁর সঙ্গে দেখা হল না।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Folk Artist Tilak Maharaj Folk Artists
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE