রাজনীতির আঁচ লেগে বাংলা ফিল্ম এবং টেলিভিশন ইন্ডাস্ট্রিতে পারস্পরিক সম্পর্কগুলোয় যে ভাবে ভাঙন ধরছে, সেটা বোধহয় এর আগে দেখা যায়নি। পুরোটাই ঘটছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। কিন্তু তার রেশ থেকে যাচ্ছে বাইরেও। তা হলে কি বন্ধুত্বেও লেগে যাচ্ছে রাজনৈতিক রং?
সম্প্রতি দিল্লি গিয়ে বিজেপি শিবিরে যোগ দেন পার্নো মিত্র। তিনি কেন ওই দলে যোগ দিয়েছেন, সেই রাজনীতিগত অবস্থান জানিয়েও ছিলেন পার্নো। কিন্তু মঙ্গলবার নাম না করে পার্নোর এই সিদ্ধান্তকে প্রশ্নচিহ্নের মুখে দাঁড় করিয়ে পরিচালক অঞ্জন দত্ত ফেসবুকে লিখেছেন, ‘‘আমার চেয়ে বয়সে অনেকটাই ছোট সহকর্মী, যার ব্যাপারে আমি বেশ যত্নশীলও ছিলাম, যে এতটা ভুল রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নিল, এটা আমার বিশ্বাসই হচ্ছে না। আমি লজ্জিত।’’ ওই পোস্টেই পরিচালকের প্রশ্ন, ‘‘আমি যাদের কাছের লোক বলে ভাবতাম, তারা শুধুমাত্র টাকার জন্য দেশের এমন অবস্থাতেও একটা বিপজ্জনক দিককে বেছে নিচ্ছে?’’
ঘটনাচক্রে অঞ্জনের পরিচালনায় ‘রঞ্জনা আমি আর আসবো না’ এবং ‘দি বংস এগেন’ ছবিতে অভিনয় করেছেন পার্নো। দু’জনের সম্পর্ক ভাল বলেই সকলে জানেন। পার্নোর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘‘অঞ্জনদাকে আমি খুবই শ্রদ্ধা করি। ওঁর কাছে ঋণীও। এই ফেসবুক পোস্টটি যদি আমার দিকে ইঙ্গিত করে লেখা হয়ে থাকে, তা হলে আমার প্রশ্ন, ফেসবুকে লিখতে গেলেন কেন? আমার কাছের লোক হয়ে থাকলে ফোন করতে পারতেন!’’ গোটা পোস্টটা পড়ে পার্নোর প্রতিক্রিয়া, ‘‘অন্য কেউ আমার চয়েস নিয়ে কথা বলবেন কেন? চয়েসটা আমার নিজস্ব। টাকার প্রসঙ্গ তুলে আমাদের ইন্টিগ্রিটি নিয়ে প্রশ্ন করা হচ্ছে। আমার পাল্টা প্রশ্ন, ওঁরই প্রযোজকের নামে অ্যারেস্ট ওয়ারেন্ট বেরিয়েছে। সে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। আর তারই পয়সায় উনি এখনও ছবি বানিয়ে যাচ্ছেন। বড়রাই বা কী শেখাচ্ছেন আমাদের!’’