অনেক দিন পরে হিন্দি ছবিতে দেখা দেবেন জেনেলিয়া ডি’সুজা। তাঁকে দেখা যাবে আমির খানের আসন্ন ছবি ‘সিতারে জমিন পর’-এ, আমিরের বিপরীতেই। প্রযোজনা সংস্থার তরফ থেকে ছবির আনুষ্ঠানিক ঘোষণার সময় অভিনেতাদের নাম প্রকাশ্যে আসে। তখনই জেনেলিয়ার নাম দেখে নড়ে বসেছিল বলিউড। ২০ জুন প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাচ্ছে ‘সিতারে জমিন পর’। ছবির প্রচারে শহরের এক প্রান্ত থেকে আর এক প্রান্তে দৌড়ে বেড়াচ্ছে গোটা টিম। তারই মধ্যে এক সাক্ষাৎকারে জেনেলিয়া ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন বলিউডের বিরুদ্ধে। দাবি, নায়িকার বিয়ে হয়ে গেলে বলিউড তাকে কোণঠাসা করে দেয়। অভিনয়ের সুযোগ দেয় না। তাঁর ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটেছে।
আমির যদিও জেনেলিয়াকে সরাসরি ডেকে নেননি। অভিনীত চরিত্রের জন্য তিন বার পরীক্ষা দিতে হয়েছিল তাঁকে। তাতে বিন্দুমাত্র বিরক্ত নন অভিনেত্রী। উল্টে তাঁর দাবি, “এ ভাবেও তো আমায় ডাকা যায়। বিয়ের পর থেকে সেটাও কেউ প্রয়োজন মনে করেন না! আমির স্যরের কাছে কৃতজ্ঞ, তিনি পরীক্ষার মাধ্যমে আমায় বেছে নিয়েছেন।” তাঁর মতে, সময়ের সঙ্গে ছবি তৈরির ধারা বদলে গিয়েছে। তাল মিলিয়ে তাই মানসিকতা বদলের প্রয়োজন। ইদানীং ছবিতে অনেক কমবয়সি অভিনেত্রী বেশি বয়সের চরিত্রে অভিনয় করছেন। এই বিষয়েও জেনেলিয়া তাঁর মতামত জানিয়েছেন। অভিনেত্রীর উপলব্ধি, যে বয়সের চরিত্র সেই বয়সি কোনও অভিনেতা বা অভিনেত্রীকে বাছা হলে চরিত্রটি দর্শকের সামনে নিখুঁত ভাবে ফুটে ওঠে। কমবয়সি অভিনেত্রী অনেক সময়েই ছোট ছোট অনেক বিষয় বুঝতে পারেন না বা ধরতে পারেন না।
২০১৮-র স্প্যানিশ ছবি ‘ক্যাম্পিওনসে’র হিন্দি রূপান্তর ‘সিতারে জমিন পর’। ছবিতে আমির এবং জেনেলিয়া চল্লিশের দশকের প্রতিনিধি। চরিত্রের খাতিরে আমিরের প্রকৃত যা বয়স তাঁর থেকে অনেকটাই পিছিয়ে যেতে হয়েছে তাঁকে। এই নিয়ে নানা অনুষ্ঠানে তাঁকে প্রশ্নও করা হয়েছিল। অভিনেতা অবশ্য পর্দায় তাঁকে বয়স্ক দেখানোর সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছেন। তাঁর আশ্বাস, জেনেলিয়ার সঙ্গে তাঁর বয়সের পার্থক্য উন্নতমানের প্রযুক্তির কারণে পর্দায় ছাপ ফেলবে না।