এসেছিলেন মুম্বইয়ে শাস্ত্রীয় নৃত্যের তালিম নিতে। মণিপুরি, ভরতনাট্যম থেকে একেবারে মায়াবী রাতের মক্ষীরানি বেশে বলিউডি গ্ল্যামারের শেষ কথা হয়ে ফিরেছেন তিনি। এক কথায় যার নাম হেলেন। আজও তেমনই টগবগে। ফুরফুরে মেজাজে। পোশাকে, সাজে নানা রকম এক্সপেরিমেন্ট করে চলেছেন। কোথাও এতটুকু ক্লান্তি নেই।
বললেন, ‘‘মণিপুরি, ভরতনাট্যম শিখলেও আমি সব সময় বিদেশি ছবি দেখতাম। বিদেশি নাচ দেখতাম। ক্যাবারে ডান্সারের পোশাক হিসেবে চুলের পালক, চোখের লেন্স সবই আমি বিদেশ থেকেই আনাতাম। তখন সাদা-কালোর ফ্রেমে অভিনেত্রীরা যখন শাড়ির মধ্যেই নানা রকম এক্সপেরিমেন্ট করছেন, আমি সেই সময় পশ্চিমী পোশাকেও যথেষ্ট সাহস দেখিয়েছি। এটা বলতে আমার কোনও দ্বিধা নেই।’’
অথচ এখন ইন্ডাস্ট্রিতে কেউ কাউকে জায়গা দেয় না। সকলের মধ্যেই বড্ড বেশি প্রতিযোগিতা। কিন্তু হেলেন বললেন, ‘‘ওয়াহিদাজি, নন্দাজি আমার দুর্দিনে যে ভাবে পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন আমি তো কোনও দিন ভুলব না।’’ গল্পটা এ রকম। সাউথ মুম্বই থেকে বান্দ্রায় হেলেন হন্যে হয়ে বাড়ি খুঁজছেন। কিন্তু কোথাও থাকার জায়গা পাচ্ছেন না। সে রকম একটা সময় নন্দা তাঁর ফ্ল্যাটের চাবি ধরিয়ে দেন হেলেনকে। টানা বারো মাস তিনি নন্দার বাড়িতেই ছিলেন। ‘‘ভাবুন, ওই সময় নন্দাজি আমার কাছ থেকে একটা পয়সাও নেননি।’’ জি ক্লাসিকে পাওয়া গেল এক খুল্লামখুল্লা হেলেনকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy