Advertisement
E-Paper

বিয়ে করলেও ধর্মেন্দ্রকে প্রথম সংসার থেকে দূরে সরিয়ে আনিনি, বললেন হেমা

‘শোলে’-র বাসন্তীর কথায়, ‘‘ধর্মেন্দ্রকে দেখামাত্রই আমি বুঝতে পারি, উনি-ই আমার মনের মানুষ। আমি সারা জীবন ওঁর সঙ্গে কাটাতে চেয়েছিলাম। কিন্তু সেইসঙ্গে এটাও দেখেছি, যাতে ওঁর প্রথম সংসার ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। ওঁর প্রথম স্ত্রী এবং সন্তানরা, কারও জীবনেই আমি অনুপ্রবেশ করিনি।’’

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২৩ অক্টোবর ২০১৯ ১৪:৫৩
ধর্মেন্দ্রকে দেখামাত্রই আমি বুঝতে পারি, উনি-ই আমার মনের মানুষ : হেমা মালিনী

ধর্মেন্দ্রকে দেখামাত্রই আমি বুঝতে পারি, উনি-ই আমার মনের মানুষ : হেমা মালিনী

তিনি ধর্মেন্দ্রকে তাঁর প্রথম স্ত্রী ও সন্তানদের কাছে থেকে দূরে সরিয়ে আনেননি। বললেন হেমা মালিনী। সম্প্রতি তিনি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন এক সংবাদপত্রে। সেখানেই উঠে এসেছে স্বপ্নসুন্দরীর ব্যক্তিগত জীবনের নানা দিক। ‘শোলে’-র বাসন্তীর কথায়, ‘‘ধর্মেন্দ্রকে দেখামাত্রই আমি বুঝতে পারি, উনি-ই আমার মনের মানুষ। আমি সারা জীবন ওঁর সঙ্গে কাটাতে চেয়েছিলাম। কিন্তু সেইসঙ্গে এটাও দেখেছি, যাতে ওঁর প্রথম সংসার ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। ওঁর প্রথম স্ত্রী এবং সন্তানরা, কারও জীবনেই আমি অনুপ্রবেশ করিনি।’’

সাতের দশকে ধর্মেন্দ্র-হেমা জুটির রসায়ন জমে উঠেছিল পর্দার বাইরেও। তাঁদের প্রথম ছবি ‘তুম হাসিন ম্যায় জওয়ান’, মুক্তি পেয়েছিল ১৯৭০ সালে। দু’জনে একসঙ্গে অসংখ্য ছবিতে অভিনয় করেছেন। সেগুলির মধ্যে ‘শরাফত’, ‘নয়া জমানা’, ‘সীতা অউর গীতা’, ‘দোস্ত’, ‘জুগনু’, ‘আজাদ’, ‘দিল্লাগি’, ‘শোলে’ অন্যতম।

অনেক সহ-অভিনেতাই ‘ড্রিম গার্ল’-এর গুণমুগ্ধ ছিলেন। জিতেন্দ্র, সঞ্জীব কুমারের দুর্বলতা ছিল হেমার প্রতি। পাত্র হিসেবে জিতেন্দ্রকে পছন্দ ছিল হেমার বাবা মায়েরও। কিন্তু ‘বাসন্তী’-র মন জয় করে নিয়েছিলেন, ‘বীরু’-ই। বহু প্রতিকূলতা পেরিয়ে দু’জনে বিয়ে করেন ১৯৮০ সালে। এর পরের বছর জন্ম ধর্মেন্দ্র-হেমার প্রথম সন্তান এষার। তার চার বছর পরে জন্ম অহনার। বড় মেয়ে এষা হিন্দি ছাড়াও অভিনয় করেছেন কন্নড় ও তেলুগু ছবিতে। গত দেড় দশকেরও বেশি সময় ধরে তিনি ইন্ডাস্ট্রিতে আছেন। অন্যদিকে অহনা মূলত নৃত্যশিল্পী। বহু বার তিনি মা এবং দিদির সঙ্গে মঞ্চে অনুষ্ঠান করেছেন। কেরিয়ারের পাশাপাশি দুই বোনই এখন ব্যস্ত সংসার ও সন্তানদের নিয়ে। দুই মেয়ে, জামাই, নাতি নাতনি এবং স্বামী ধর্মেন্দ্র তাঁর জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানোর জন্য খুব তাড়াতাড়ি তিনি রাজনীতি ছেড়ে দেবেন বলেও জানিয়েছেন মথুরার বিজেপি সাংসদ।

প্রথম স্ত্রী প্রকাশ কউরের সঙ্গে ধর্মেন্দ্র। ছবি: সোশ্যাল মিডিয়া

সাম্প্রতিক ওই সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, ‘‘ধর্মেন্দ্রজিকে বিয়ে করেছি ঠিকই, কিন্তু প্রথম পক্ষের সংসার থেকে সরিয়ে আনিনি।” ১৯৫৪ সালে প্রকাশ কউরের সঙ্গে মাত্র ১৯ বছর বয়সে বিয়ে হয়েছিল ধর্মেন্দ্রর। তাঁদের চার সন্তান। দুই ছেলে সানি ও ববি এবং দুই মেয়ে বিজেতা ও অজিতা। ধর্মেন্দ্র-প্রকাশের বিবাহবিচ্ছেদ হয়নি। সব জেনেই ধর্মেন্দ্রর প্রেমে পড়েছিলেন হেমা।

আরও পড়ুন: নেটে ছড়িয়ে পড়ল রণবীর-আলিয়ার বিয়ের কার্ড!

আরও পড়ুন: বিনোদনে রাজনীতি-কাঁটা

আরও পড়ুন: কৃত্রিম পায়েই পুনর্জন্ম, ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনাও বন্ধ করতে পারল না সরস্বতীর বরপুত্রী সুধার বিশ্বজয়

Dharmendra Hema Malini Bollywood
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy