পর্দায় তিনি ‘ওয়ান্ডার ওম্যান’। কিন্তু বাস্তবে ভয়াবহ পরিস্থিতি পার করেছেন গ্যাল গ্যাডট। অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় তাঁর মস্তিষ্কে হয়েছে জটিল অস্ত্রোপচার। সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে সেই অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিয়েছেন গ্যাল।
চতুর্থ কন্যাসন্তান ওরি যখন গর্ভে, তখন জটিল অসুখে আক্রান্ত হয়েছিলেন গ্যাল। অভিনেত্রী ও তাঁর সন্তান দু’জনেরই প্রাণের ঝুঁকি তৈরি হয়েছিল। হলিউড অভিনেত্রী তখন আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা। মস্তিষ্কে রক্ত জমাট বেঁধেছিল তাঁর।
গত বছরের ঘটনা। অন্তঃসত্ত্বা অবস্থাতেই পরিবার ও কাজ, সব দিক সামাল দিতেন গ্যাল। এক দিন হঠাৎই প্রবল মাথাযন্ত্রণা শুরু হয় তাঁর। অভিনেত্রীর কথায়, “গত বছর, আমার জীবন এক অন্য দিকে মোড় নিয়েছিল। আমি তখন আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা। পরিবার ও কাজের ব্যস্ততাও থাকত। একদিন এমন মাথাযন্ত্রণা শুরু হল, তিন সপ্তাহের জন্য গোটা পৃথিবী যেন থমকে গিয়েছিল।”
কন্যার প্রবল মাথাযন্ত্রণা দেখে চিকিৎসা করানোর পরামর্শ দেন গালের মা। এমআরআই করা হয় অভিনেত্রীর মস্তিষ্কের। রিপোর্ট দেখে বোঝা যায় গালের অবস্থা বেশ ঝুঁকিবহুল। হাসপাতালের চিকিৎসক অভিনেত্রীকে বলেছিলেন, “এই মুহূর্তে তোমাকে হাসপাতালে আসতে হবে। পরিস্থিতি বেশ জটিল। তোমার মাথায় খুব বাজে ভাবে রক্ত জমাট বেঁধেছে।” সেই পরিস্থিতিতে বেশ ঘাবড়ে গিয়েছিলেন ‘ওয়ান্ডার ওম্যান’। কী ঘটছে, কিছুই বুঝতে পারছিলেন না। নিজের মনে প্রশ্ন উঠত, “আমি কি মরে যাব?”
পরের দিনই অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে নির্দিষ্ট সময়ের আগেই সন্তানের জন্ম দেন গ্যাল। পরের দিন তাঁর মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচার হয়। অভিনেত্রী সেই ঘটনা স্মরণ করে জানান, চিকিৎসক ও হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্যেই তিনি বেঁচে ফিরেছেন। একসঙ্গে সেই দিন দুটি উপহার পেয়েছিলেন গ্যাল— কন্যা ও নিজের জীবন।