মুম্বইয়ের আকাশে চাঁদ। কলকাতার আকাশে জমাট মেঘ। মঞ্চে গাইছেন শান। কাকতালীয় ভাবে তখনই তাঁর কণ্ঠে, ‘ফনা’ ছবির গান ‘চাঁদ সিফারিশ’। হঠাৎ মঞ্চে এল ফোন। ‘ভিডিয়ো কলে’ গায়কের স্ত্রী রাধিকা মুখোপাধ্যায়! করবা চৌথের নিয়ম মেনে আকাশের চাঁদ দেখেছেন তিনি। এ বার যে স্বামীর মুখে দেখার পালা!
অগত্যা, ফোন-ক্যামেরায় শানের মুখ চালুনি দিয়ে দেখলেন রাধিকা! মঞ্চেই একটা মুহূর্ত তৈরি হল।
অবাক হয়েছিলেন? না কি লজ্জা ঘিরেছিল গায়ককে? প্রশ্ন করেছিল আনন্দবাজার ডট কম। শান বুঝি তখনও সেই ঘোর থেকে বেরোতে পারেননি। একটু ভেবে জবাব দিলেন, “সাধারণত, ও ভাবে মঞ্চে ফোন ধরি না। রাধিকাও করে না। উইংসের পিছনে গিয়েও হয়তো পালন করা যেত নিয়ম। দলের বাকিরা বললেন, মঞ্চেই হোক।” জানালেন, সত্যিই প্রথমে হকচকিয়ে গিয়েছিলেন। তার পর প্রকাশ্যে ব্যাপারটা ঘটতেই লজ্জা পেয়েছেন একটু। “ভালও লেগেছে”, অস্বীকার করেননি তিনি। উপভোগ করেছেন পুরো ব্যাপারটা।
আরও পড়ুন:
আপাতত শান-রাধিকা সমাজমাধ্যমে ভাইরাল। চর্চায় তাঁদের করবা চৌথ। “সত্যিই যদি এ রকম কিছু হয়ে থাকে তা হলে তো ভালই”, দাবি গায়কের। একটু থেমে যোগ করলেন, “এখন ঘরে ঘরে বিয়ে ভাঙছে। এই প্রজন্ম বিয়েতেই বিশ্বাসী নয়। আমাদের ভিডিয়ো যদি তাঁদের মনে বিয়ের প্রতি আস্থা ফেরায়, ক্ষতি কী?”
প্রেম কি আরও গাঢ় হল? “এ বছর আমাদের বিয়ের ২৫ বছর। প্রেম গাঢ় বলেই তো এতগুলো বছর আমরা একসঙ্গে”, সঙ্গে সঙ্গে জবাব এল এ বার। শানের যুক্তি, শুক্রবার তাঁদের ২৫তম করবা চৌথ ছিল। মুম্বই থাকলে কী করেন? গায়ক জানালেন, খুব সুন্দর করে সাজেন তাঁর পঞ্জাবি স্ত্রী। সারা দিন একফোঁটা জল মুখে দেন না। সন্ধ্যায় আকাশে চাঁদ দেখে শানের মুখ দেখার পালা। “আমার মা কত বার বলেছেন, ‘তোর জন্য রাধিকা কেন এত কষ্ট করবে’! আমি বাধা দিই না। কারও বিশ্বাসে কেন বাধা দেব?”, প্রশ্ন গায়কের।