‘তিস্তা’ নাটকে শতাব্দী
পাঁচ বছর টানা বীরভূম-দিল্লির মাঝে হঠাৎ নাটক পাড়ায় ঢুকে পড়লেন যে?
আসলে যতই রাজনীতি করি না কেন সাধারণ মানুষ কিন্তু সব সময়ই জিজ্ঞেস করেছে, ‘‘দিদি অভিনয়টা একেবারেই কি ছেড়ে দিলেন?’’ অভিনেত্রী হিসেবে একটা খিদে তো ছিলই, তাই ভাবলাম নাটক করি। আমার নাট্য জগতে আসার পেছনে কিন্তু ব্রাত্য বসুর বিরাট অবদান।
কী রকম?
ব্রাত্যকে দেখতাম আর ভাবতাম, ও তো একজন এত ব্যস্ত মন্ত্রী। কিন্তু নাটক লেখা, পরিচালনা, এমনকী মন্ত্রী হওয়ার পর সিনেমায় অভিনয়ও বাড়িয়ে দিয়েছে! ও এত কিছু সামলাতে পারছে আর আমি নাটকে অভিনয় করতে পারব না! ওকেই বললাম আমার জন্য একটা নাটক লেখো। সেখান থেকেই শুরু। নাটকের নাম ‘তিস্তা’। ২১ জানুয়ারি প্রথম শো অ্যাকাডেমিতে। দ্বিতীয় শো ২২ জানুয়ারি। গিরিশ মঞ্চে।
আপনি বাংলা ছবিও পরিচালনা করেছেন। কিন্তু তেমন সাফল্য পাননি। সেই কারণেই কি নাটক?
আসলে পরিচালনার সময়টা ভুল ছিল। আমি যখন ‘অভিনেত্রী’ করেছিলাম তখন আইনক্স ছিল না। আবার যখন কমার্শিয়াল ছবি করলাম তখন আইনক্সের যুগ চলে এল। আজও অভিনয় করা বা পরিচালনার প্রচুর অফার পাই। কিন্তু আজকে রাজনীতির ব্যস্ততার মধ্যে ছবি পরিচালনার দায়িত্ব নেওয়ার সময় আমার সত্যিই নেই।
যাত্রাটাও তো ছেড়ে দিলেন! প্রথম নাটক করতে এসে তাপস পালকে মিস করছেন না?
(হেসে) আসলে মাধ্যমটা আলাদা বলে হয়তো তাপসকে সে ভাবে মিস করছি না। যাত্রা করলে সেখানে অনেক বেশি মিস করতাম।
প্রথম নাটক। টেনশন হচ্ছে?
মিথ্যে বলব না। খুব টেনসড... দেখুন আমি তিনশো বাংলা ছবি করেছি। নয় নয় করে একশো জন পরিচালকের সঙ্গে কাজ করা হয়ে গেল। ‘আতঙ্ক’ র মতো ছবি করেছি, আবার ‘লাল পান বিবি’ও করেছি। কিন্তু নাটকের জগৎ ও নাটকের দর্শকের কাছে আমি সত্যিই নতুন মুখ। এই নাটকে তিস্তা চরিত্রটাও খুব চ্যালেঞ্জিং।
কী রকম?
ডিভোর্সি এবং অল্পবয়েসি ছেলের প্রেমে পড়া এক মেয়ের কাহিনি। ব্রাত্য কবিতার মতো নাটকের স্ক্রিপ্টটা লিখেছে। আমি নিশ্চিত নাটকটা শেষ হওয়ার পর দর্শক সিট ছেড়ে কিছুক্ষণ উঠতে পারবে না। পরিচালক শেখর সমাদ্দার এবং আমার সহ-অভিনেতা অর্ণ মুখোপাধ্যায় খুব ভাল কাজ করছে। রিহার্সালেও সেটা টের পাচ্ছি। তবুও চিন্তা তো একটু হচ্ছেই। কুড়ি হাজার লোকের সামনে যাত্রা করা আর অ্যাকাডেমির মঞ্চে অভিনয় করা এক কথা নয়।
সামনে তো নির্বাচন। নাটক আর রাজনীতি দুটোই কি একসঙ্গে চলবে?
এই তো গতকাল বীরভূমে প্রায় সাড়ে ছ’হাজার প্রতিবন্ধীকে ইয়ারফোন, হুইলচেয়ার দিয়ে এলাম। রাজনীতি থেকে একটা ব্রেক নিয়ে আজ আবার নাটকের রিহার্সাল। এ ভাবেই এগিয়ে যেতে চাই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy