বিশ্বনাথ বসু।
২ হাত ভর্তি রকমারি রং। অথচ দোল নিয়ে উন্মাদনা নেই! মাধ্যমিকের পরে থেকেই দিনটা এলে মন উড়ুউড়ু বিশ্বনাথ বসুর। বাবাইদা হয়ে রঙে সিঁদুর মিশিয়ে কোনও দিন পরিয়েছেন কাউকে? মুখ খুললেন আনন্দবাজার ডিজিটালের কাছে।
প্রশ্ন: নেটমাধ্যম বলছে বিশ্বনাথ বসু প্রচুর রং কিনেছেন...
বিশ্বনাথ: একদম। গুছিয়ে প্রস্তুতি নিচ্ছি। ২ ছেলে আছে। ওরা না হলে মাথাখারাপ করে দেবে।
প্রশ্ন: এ বছরের পরিকল্পনা কী?
বিশ্বনাথ: আমার যে কোনও উৎসব মানেই দেশের বাড়ি। দালানের মাঝখানে একটা সুন্দর মাঠ আছে। সারা পৃথিবীর সঙ্গে সংযোগ বিচ্ছিন্ন। শুধু আমি, পরিবার, আর পাড়ার বন্ধু...ব্যস।
প্রশ্ন: গত বছর অতিমারির আক্রমণ। দোল খেলতে পেরেছিলেন?
বিশ্বনাথ: গত বছরেই চুটিয়ে দোল খেলেছিলাম। সপরিবার পুরীতে ছিলাম। ওখান থেকে ফেরার পরেই সব বন্ধ হয়ে গেল।
প্রশ্ন: এ বছরের উদযাপন নিশ্চয় বিধিনিষেধ মেনে?
বিশ্বনাথ: একদম। ওই জন্যই দেশের বাড়িতে। চার দেওয়ালের মধ্যে যাবতীয় আনন্দ, উল্লাস। বাইরের কোনও অপরিচিত মানুষের সংস্পর্শে যাতে আসতে না হয়।
প্রশ্ন: বিশ্বনাথ আর পেটপুজো তো সমানসমান...
বিশ্বনাথ: দোলের আগের দিন থেকেই এলাহি আয়োজন চলছে। দুপুরে পুকুরের মাছের ঝোল, ডাল, ভাত, মোচা, ডুমুরের তরকারি, ভাজা। রাতে দিশি মুরগির মাংস। দোলের দিন কচি পাঁঠার ঝোল। খাওয়া না হলে উৎসব জমে!
প্রশ্ন: সবটাই স্ত্রী একা হাতে সামলাচ্ছেন?
বিশ্বনাথ: স্ত্রী সাহায্য করছেন। আমার এক বন্ধুর মেয়ে দারুণ রাঁধে। ওর কাঁধে পুরো দায়িত্ব।
প্রশ্ন: দোলের স্মৃতি ভিড় করছে?
বিশ্বনাথ: রং নিয়ে খুব মাতামাতি কোনও কালেই করিনি। অভিনয়ে আসার পরে তো নয়ই। সারা গায়ে রং লেগে থাকলে পরে শ্যুটিংয়ে সমস্যা হবে। ফলে, দূর থেকে দেখতেই বেশি ভাল লাগে।
প্রশ্ন: রাজ চক্রবর্তীর ‘বাবাইদা’র মতো রঙে সিঁদুর মিশিয়ে কাউকে পরাননি?
বিশ্বনাথ: তখন একান্নবর্তী পরিবারের কড়া শাসন ছিল। রং মাখাতে ইচ্ছে করলেও সম্ভব হত না। আমরা খুব ভয়ে থাকতাম, এই বুঝি কারওর চোখে পড়ে গেলাম। ফলে, রাজ চক্রবর্তীর ‘বাবাইদা’ এ জন্মে আর হতে পারলাম না! তবে ব্যারাকপুরে থাকার সময় ২-১ বার জমিয়ে রং খেলেছি। মাধ্যমিকের পর দোল এলে মনটাও উড়ুউড়ু করত। ওই যে, চৈত্রমাস...সর্বনাশ। যাকে ঘিরে সব কিছু তার নাম এখন আর নেওয়ার উপায় নেই। তার ছেলে বড় হয়ে গিয়েছে। আমার ছেলেরাও বড় হচ্ছে। স্ত্রী-র কড়া শাসন, এ সব আর চলবে না।
প্রশ্ন: এ বছর তো রং বদলের খেলাও চোখে পড়ছে ভীষণ ভাবে...
বিশ্বনাথ: নেট কানেকশনে ভয়ানক সমস্যা হচ্ছে। আমি কিছুই শুনতে পাচ্ছি না! (হাসতে হাসতে) কী উত্তর দেব? (হ্যালো হ্যালো বলতে বলতেই মুঠোফোন স্তব্ধ!)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy