টেলিভিশনে কাজ করতে রাজি হলেন কেন? তিনি ইতিবাচক,“প্রথম কথা হচ্ছে যে আমি কোনও কাজেই ‘না’ বলিনি কখনও। টেলিভিশন, ফিল্ম বা ওয়েব, যে কোনও ফরম্যাটেই আমি কাজ করতে রাজি। কারণ প্রত্যেকটাই খুবই চ্যালেঞ্জিং। ফিল্ম করি লোকে করতে দেয় তাই। ফিল্ম, থিয়েটার বা ওয়েব— সবকিছুরই তো লিমিটেশনস আছে। টেলিভিশনের মাধ্যমে অনেক বেশি সংখ্যক মানুষের কাছে পৌঁছনো যায়। সেটা এই কাজটা করার অবশ্যই একটা কারণ। আর মহালয়ার প্রতি একটা দুর্বলতা বাঙালি মাত্রই আছে। মহালয়া নিজেরও একবার করার ইচ্ছে ছিল। সুযোগ এল।স্টার জলসার নিবেদনে প্রোডাকশন হাউস ‘ডাবল হাফ’-এর তরফ থেকে আমরা এই প্রযোজনাটা করলাম।মানুষের যদি ভাল লাগে আমাদেরও ভাল লাগবে, এটা বলতে পারি।”কম্পিউটার গ্রাফিক্স এবং কালার কারেকশনে রয়েছে ‘ফ্লাইং টম্যাটোজ’। সম্পাদনায় রবিরঞ্জন মৈত্র।
অসুর ধীমানভট্টাচার্য
কেমন অভিজ্ঞতা হল? দেবজ্যোতি মিশ্র শেয়ার করলেন, “অভূতপূর্ব অভিজ্ঞতা!মহালয়া শোনা আমাদের অভ্যাসের মধ্যেই আছে। সেটা যখন একদম নতুন রকমভাবে নতুন আলোয় উদ্ভাসিত করার সুযোগ মেলে,অন্য আনন্দ হয়। কাজ করার সময় যেটা হয়েছে... একটা ক্লাসিক একটা মাস্টার ওয়ার্ক... সেটার মধ্য দিয়ে আবার যেতে হয়েছে। যখন এই কাজটার মধ্যে ইন মাইক্রো ডিটেলে গিয়েছি, উপলব্ধি করতে পেরেছি কি অসাধারণ, কি অনন্য কাজ করেছিলেন এসমস্ত মানুষ। আর কমলের (কমলেশ্বর) আমার মনে হয় এটা সিগনেচার কাজ।”
পঙ্কজ কুমার মল্লিকের সময়েও তো লাইভ মিউজিক রেকর্ড হত। আপনি কী করলেন? দেবজ্যোতি অনুভূতিপ্রবণ:“আমরাও লাইভ রেকর্ড করেছি। মানে যেরকমভাবে তখনকার দিনে মহালয়া রেকর্ড করা হত সেরকমভাবেই। চেষ্টা করেছি যে ওই রকমভাবে ওই নিবেদনটা কী করে ফুটে বেরয়।কাজটা করবার সময় মনে হয়েছে, যেন সেই সময়ে ফিরে গেছি। মনে হয়েছে, আমি যেন পঙ্কজ মল্লিকের সহকারী।”
দেবীর মানবী রূপে অভিনয় করেছেন ইন্দ্রাণী হালদার
‘মহিষাসুরমর্দিনী’র দুর্গার চরিত্রে মধুমিতাসরকার, অসুর ধীমানভট্টাচার্য। বিশেষ চরিত্রে দেবীর মানবী রূপে অভিনয় করেছেন ইন্দ্রাণী হালদার। তিনি বললেন, “এখানে আমাকে টোটালি ক্ল্যাসিক্যাল ডান্স করতে হয়েছে। ভালই এক্সপিরিয়েন্স। আমি তো সবসময় দুর্গা করি, মহিষাসুরমর্দিনী করি। ইট ওয়াজ ডিফারেন্ট।কমলেশ্বরের সঙ্গে আমার প্রথম কাজ। খুব ভাল লাগল। অন্য রকম করে কাজটা করেছে।”
আরও পড়ুন-সলমনকে খুনের হুমকি! আদালতে এলেন না ভাইজান
‘ঊরুভঙ্গম’ নাটকের আশিতম শো করেছেন এই প্রোগ্রামের মহিষাসুরধীমান। সারা রাত ধরে চলাএই নাটকের প্রত্যেকটি চরিত্র ইন্টারচেঞ্জেবল।নাটকের শেষে ভোরের দিকে দুর্যোধন হিসেবেও দেখা গেছে তাঁকে। তিনি বললেন, “এরকম একটা মিথিক্যাল চরিত্র করতে পেরে সব মিলিয়ে ভাল লাগছে। এত বড় মাপের একজন ডিরেক্টরের সঙ্গে কাজ করা আমার কাছে বড় পাওনা।’’
পুরনো ও নতুনের এই সহাবস্থানে দেবীর অসুরবধ এখন দেখা ও শোনার অপেক্ষায়, মহালয়ার ভোর পর্যন্ত!