Advertisement
E-Paper

এই ইন্ডাস্ট্রিতে হিরোইন হওয়াই পাপ

কেন মনে করেন নুসরত জাহান? মুখোমুখি প্রিয়াঙ্কা দাশগুপ্ত।আমার ঘড়িটার দাম চার লক্ষ পঁচাত্তর হাজার টাকা। ঘড়ি কেনার টাকা সব্বার আছে। কিন্তু শখটাও তো থাকা চাই। লোকে ওই টাকা দিয়ে সোনা কিনবে কিন্তু ঘড়ি কিনবে না! আমাকে হয়তো এসে বলবে আরে এই ঘড়িটা আমি ছশো টাকা দিয়ে গড়িয়াহাট থেকে এনে দেব। ধরতেও পারবি না। কিন্তু আমি পারব। যেমন, কোনও ফার্স্ট কপি এনে দিন আমার সামনে। আমি সঙ্গে সঙ্গে ধরে ফেলব।

শেষ আপডেট: ২৪ নভেম্বর ২০১৪ ০১:০০

সাড়ে তিন বছর ইন্ডাস্ট্রিতে থেকে চারটে ছবি। তবে কাজ ছাড়াও আপনার অন্য অনেক কিছু নিয়ে চর্চা হয় ইন্ডাস্ট্রিতে।

হুমমমম্।

এই যেমন আপনার হাতের রোলেক্স ঘড়িটা। অনেকেই বলেন এটার দাম তো প্রায় আট লক্ষ টাকার কাছাকাছি। এত টাকা তাঁদের কাছে নেই ওই সব বিলাসিতা করার...

আমার ঘড়িটার দাম চার লক্ষ পঁচাত্তর হাজার টাকা। ঘড়ি কেনার টাকা সব্বার আছে। কিন্তু শখটাও তো থাকা চাই। লোকে ওই টাকা দিয়ে সোনা কিনবে কিন্তু ঘড়ি কিনবে না! আমাকে হয়তো এসে বলবে আরে এই ঘড়িটা আমি ছশো টাকা দিয়ে গড়িয়াহাট থেকে এনে দেব। ধরতেও পারবি না। কিন্তু আমি পারব। যেমন, কোনও ফার্স্ট কপি এনে দিন আমার সামনে। আমি সঙ্গে সঙ্গে ধরে ফেলব।

তবু নিন্দুকেরা বলে...

... আমি জানি কী বলে। হাউ দ্য হেল ডিড শি গেট দ্যাট। চারটে ছবি করে রোলেক্স ঘড়ি। গড়িয়াহাটে বাড়ি। আচ্ছা বলুন তো আমি কি শুধু ছবি করেই টাকা রোজগার করি? আমার বেসিক একটা ব্যাকগ্রাউন্ডও তো আছে। আমি যদি একটা জমি বিক্রি করে চারটে ফ্ল্যাট কিনি তাতে কার কী এসে যায়? আমার এগুলো শুনতে বেশ মজা লাগে। আসলে সিনেমায় অভিনয় করে নায়িকারা তেমন বেশি টাকা রোজগার করে না। এখানে মেল ডমিনেটেড সোসাইটি। নায়কেরা এখানে নায়িকার থেকে অনেক বেশি টাকা পায়। কমার্শিয়াল ছবি তো হিরোওরিয়েন্টেড হয়। আমরা তো গ্ল্যাম ফ্যাক্টর। আমরা যে গানগুলো পাই সেগুলো দিয়ে প্রচুর শো করি। ‘শত্রু’ করার পর দু’বছর কোনও কাজ করিনি। তবু আমার সংসার দিব্যি চলে গেছে। এটা শুধুমাত্র শো-য়ের রোজগার থেকেই হয়েছে। এটা কি আমার দোষ যে আমি এত শো পাই? কলকাতা শহরে যত ফিতে কাটার অনুষ্ঠান হয় তার ৭০ শতাংশ অফার আমার কাছে আসে। কেন আসে? পি আর করি বলে? আমার অত সময় নেই। সময় থাকলে আমি বাড়িতে বসে টেলিভিশন দেখে ঘুমিয়ে পড়ব। আমি খাব। রান্না করব। ছবি আঁকব। এই যে দেওয়ালে দুটো পেইন্টিং দেখছেন সব আমার আঁকা।

আসলে সব্বাই তো আপনার মতো বলতে পারেন না যে শো করে রোজগার করেন। সেটা বললে এত স্পেকুলেশন হয় না...

এটা বলার পরেও স্পেকুলেশন হবে। আমি জানি এই যে আমাদের পরিচালক-প্রযোজকেরা কাজ দেন, ওরা হলেন একটা মাধ্যম। ঈশ্বর সিদ্ধান্ত নেন কে কী করবে। সময় আর ভাগ্যের আগে কিছু হয় না। টলিউডের একটা পারসেপশন রয়েছে। মহিলাদের সাফল্য একমাত্র শুয়ে শুয়েই পাওয়া সম্ভব।

আমি এটা রেকর্ড করছি কিন্তু...

হ্যাঁ করুন। দ্য পারসেপশন ইজ এ ওম্যান ক্যান গেট মোর সাকসেসফুল ওনলি ইফ শি ইজ স্লিপিং অ্যারাউন্ড। আর যারা এ কথা বলছে তারা বাড়িতে বসে শুয়ে শুয়ে টেলিভিশন দেখে। তাদের আমার হাত জোড় করে নমস্কার। এই রকম লোকজন না থাকলে আমরা অনুপ্রেরণা পাই না। (হাসি)

এই যে বলা হয় আপনি এত টাকা রোজগার করেন কারণ আপনি কুড়ি হাজার টাকাতেও শো করতে রাজি হয়ে যেতে পারেন। আপনার একটাই লক্ষ্য। কোনও দিন ফাঁকা থাকবেন না...

তো? ‘শত্রু’র পরে আমি কম টাকায় শো করেছি? তখন সবে একটা ফিল্ম হয়েছে। যাদের জন্য কম টাকায় করেছি তারা আজও আমার কাছে কৃতজ্ঞ। এখন আমি অনেক বেশি চার্জ করি। এই ইন্ডাস্ট্রিতে হিরোইন হওয়াই পাপ। কই একটা হিরো কী করে বেড়াচ্ছে তা নিয়ে কেউ তো মাথা ঘামায় না। আমাকে ডিরেক্টরের সঙ্গে লিঙ্ক আপ করবে। ডিরেক্টর ফ্রি না হলে প্রযোজক। তা না হলে স্পট বয়। আমি যে রাত্রিবেলায় পার্টি থেকে ফিরি তা নিয়েও কত কথা। ‘ক্যায়া পাতা, ক্যায়া করতি হ্যায়?’ আমি কোনও দিন বদার করিনি এই সব নিয়ে। একমাত্র আমার বাবা-মাকে আমি বলতে বাধ্য যে আমি কোথায় যাচ্ছি। শো করে রাতে ফিরছি। আমার সঙ্গে ষণ্ডা গণ্ডা সিকিওরিটি গার্ড থাকে। আমি শুনলাম আলোচনা হচ্ছে: ‘রাত কো আদমি লোগ আতা হ্যায় ছোড়নে।’ আরে ওরা তো আমার সিকিওরিটি গার্ড। এরাই আবার তাদের বাচ্চাদের পাঠায় অটোগ্রাফ নিতে। বলে এই প্রোগ্রামে তেমন কোনও রেমুনারেশন নেই, তবু একটু করে দেবে? এখন আই ডোন্ট মাইন্ড। যখন জানি যে পৃথিবীতে বোকা বোকা লোক রয়েছে, তাদের সঙ্গে তর্ক করে কী করব?

সামনে মুক্তি পাবে আপনার ‘সন্ধে নামার আগে।’ সেখানে আপনার বিপরীতে রাহুল বসু। শুভশ্রী যে কারণে বাণিজ্যিক ছবি থেকে বেরিয়ে এসে অঞ্জন দত্তর ছবি করলেন আপনিও কি সে ভাবেই এই ছবিটা করলেন?

পরিচালক ঋতব্রত ভট্টাচার্য যখন আমাকে ছবিটার ব্যাপারে প্রথম বলেন তখন ছবির ফর্টি পারসেন্ট শ্যুট হয়ে গিয়েছে। আমি বলি, ‘আমার সঙ্গে ঠাট্টা করছেন, ফর্টি পারসেন্ট শ্যুট করে তার পরে নায়িকা নিতে এসেছেন’। পরে বুঝি যে ব্যাপারটা অসম্মানজনক ভাবে উনি বলেননি। আরও একটা ব্যাপার ছিল। আমার ‘খোকা ৪২০’ দেখে রাহুল বসু নাকি বলেছিলেন, ‘রিতো, ইউ ক্যান ওয়েট বাট ডোন্ট স্পয়েল দ্য ফিল্ম’। এই কথাগুলো আমি শুনে বলেছিলাম টাকা চাই না কিন্তু কাজটা করে চ্যালেঞ্জটা নেব। ছবির শ্যুটিংয়ের পরে রাহুল আমাকে বলেছিল যে, রুষা (ফিল্মে আমার নাম) নাকি আমার থেকে ভাল আর কেউ করতে পারত না।

ছবিতে আপনার চরিত্রটা কীসের?

এক এনআরএই মেয়ের জার্নি। এমন একটা মেয়ে যে তার বাবা-মায়ের সুবিচারের জন্য লড়াই করছে। এ ছবিতে রাহুলের প্রায় কোনও সংলাপ নেই। তাই সব সংলাপ আমার। ডিফিকাল্ট ব্যাপার। আমি তো রাহুলকে এটা বলেছিলাম যে ও প্রথমে আমাকে অ্যাপ্রুভ করেনি। এ ছবিতে হিরোইন নই। এখানে আমি ক্যারেকটার। স্মোকি আইস নেই, স্টাইলিস্ট নেই। টলিউডের এই যে ধারণা, বাণিজ্যিক সিনেমার নায়িকা মানে অভিনয় করতে পারে না এটা পাল্টানো দরকার। কই বলিউডে দীপিকাকে কেউ তো বলছে না।

সাধারণ মেয়েদের মতো জীবন যাপন না করাটা আপনি মিস করেন না?

অন্য আর্টিস্টদের থেকে আমি অনেক বেশি সাধারণ লাইফ লিড করি। মল-এ যাই। দশটা অটোগ্রাফ চাইলে দিই। আবার রাস্তায় দাঁড়িয়ে ফুচকাও খাই। অনেকে বলে নায়িকারা এই সব করলে নাকি হলে দর্শক আসে না। আমার ক্ষেত্রে তা হয়নি।

এক সময় আপনি জলে ভয় পেতেন?

হ্যাঁ।

তা হলে বিকিনি পরে শ্যুট করেন কী করে?

পেশার প্রয়োজনে। নাকের ওপরে জল গেলে আমার আগে দম বন্ধ লাগত। আমার বন্ধু অভিনেত্রী সায়ন্তিকা আমার এই ভয়টা কাটিয়েছে। শিখিয়েছে কী ভাবে নাক ডুবিয়ে নিশ্বাস নিতে হয়।

প্রয়োজনে কার থেকে উপদেশ নেন?

কেউ না। খুব দরকার হলে বাবা। আমি জানি আমার একটা অ্যারোগেন্ট ইমেজ আছে। কাউকে না চিনলে আমি নিজে থেকে গিয়ে আলাপ করতে পারি না।

একাকিত্বকে কী ভাবে ব্যাখ্যা করেন?

আমার সোলটাইম। একা থাকাটা আমার পছন্দ নয়। থাকলে আমি একা ড্রাইভে চলে যাব। বা হয়তো গিটার বাজাই। তিন বছর শিখেছি। ‘ওরিয়েন্ট এক্সপ্রেস’য়ের লিড গিটারিস্টের কাছে।

কখনও ভয়ঙ্কর একাকিত্ব ফেস করেছেন?

হ্যাঁ। খুব অল্প বয়সেই। অনেক কিছু ফেস করেছি। বইয়ের পাতা নয়, জীবন আমাকে শিখিয়েছে। তখন আমার বয়স মাত্র কুড়ি। আর জীবন একেবারে ঘেঁটে গিয়েছে। আমার বিশ্বাস যে জীবনের খারাপ সময়ের ‘কোটা’টা আমি পেরিয়ে এসেছি।

সব থেকে বাজে অভিজ্ঞতা কী ছিল?

পরিবার ছাড়া পাশে কাউকে তখন পাইনি।

কাউকে আশা করেছিলেন?

বন্ধুদের পাশে পাব ভেবেছিলাম। কিন্তু ওরা একটু অ্যালুফ হয়ে গিয়েছিল। বাট আই ডোন্ট ব্লেম দেম। কেউ চায় না গণ্ডগোলের সঙ্গে জড়াতে। আই ওয়াজ ভেরি লোনলি দেন। তিন মাস বাড়িবন্দি হয়ে থাকার পর বাড়ি থেকে বেরিয়েছি। আমার খুব কাছের বন্ধুরা আমাকে বলল যে, ডিস্কগুলো ১১টায় বন্ধ হয়ে যায় আমার জন্য! তা শুনে বাড়ি ফিরে মায়ের কোলে মুখ গুঁজে কাঁদতে বসি।

তখন তো হাতে কোনও কাজও নেই...

না, নেই। যে কাজগুলো আসছিল সেগুলো করতে সাহস পাচ্ছিলাম না। এ ছাড়া ক’টা ইমোশনাল লসও তো ছিল। আমি যে একলা বসে নিজের ক্ষতগুলোয় মলম লাগাব সেটার প্রাইভেসিও তো আমার ছিল না। দেখেছি মিডিয়া কী ভাবে আমার নামটা ব্যবহার করেছে তখন। আমার ছবি দিয়ে তো তখন কাগজ কম বিক্রি হয়নি! প্রোগ্রামের টিআরপি হাই। আমি তো আজীবন টিআরপি হাই করে গেলাম। বিকিনি পরে জল থেকে উঠলাম, তাতে টিআরপি হাই। ওই কেস নিয়ে খবর, তাতে টিআরপি হাই। ইনসিডেন্টের চার-পাঁচ মাস পরে ‘খোকা ৪২০’র গানের শ্যুটিং করে ভোরে বাড়ি ফিরছি। সকালে দেখি পেপারে সেই খবর নিয়ে স্টোরি। তার সঙ্গে আমার ছবি! দেখে খুশি হলাম যে আমার ছবি ছাপিয়ে কাগজ বিক্রি করতে হচ্ছে।

যে বন্ধুরা একসময় অ্যালুফ হয়ে গিয়েছিলেন, তাঁদের সঙ্গে আবার বন্ধুত্ব করলেন কী করে?

অনেকে বলে আমার মন নাকি বিশাল বড়। আসলে তখন ওরা পালিয়ে যায়নি। আমাকে জিজ্ঞেস করত ‘ঠিক আছি কি না’। তবে বলেনি ‘আমরা তোর পাশে আছি’। ‘ঠিক আছি কি না’ জিজ্ঞেস করেছিল বলেই আমি ওদের সঙ্গে আজও বন্ধুত্ব রেখে দিয়েছি। কিন্তু আমি বন্ধুদের ব্যাপারে খুব চুজি।

খুব মন খারাপ হলে কী ভাবে নিজেকে শান্ত করেন?

ঘুম। আই উইল গো অফ টু স্লিপ।

মেয়েদের অভ্যেস নিয়ে একটা নোংরা সত্যি বলুন তো!

আমরা খুব ‘বিচি’। সব বয়স, সব ক্লাসের মেয়েদের যেন এটা বার্থ রাইট।

ছেলেদের অভ্যেস নিয়ে একটা নোংরা সত্যি বলুন তো!

ভীষণ ইগোইস্টিক। যারা বেশি খারাপ তারা আবার কোনও মেয়ের তাদের থেকে বেশি সাফল্যকে সহ্য করতে পারে না।

সবথেকে অস্বস্তিকর মুহূর্ত কোনটা ছিল?

একবার গ্রামে শো করতে গিয়েছি। বুঝিনি যে আমার জামার প্রথম দু’টো বোতাম খোলা। গ্রামে তো নায়িকাদের একদম ঘরের মেয়ের মতো ইমেজ। ওখানে ওরকম হলে খুব অস্বস্তিকর ব্যাপার। যখন দেখলাম সেটা তখন সামনে দশ হাজার লোক। কী করে তখন বোতাম লাগাব? নাচতে নাচতে ঘুরে গিয়েছিলাম। তারপর বলি লাইট বন্ধ করতে!

কোন বলিউড নায়ককে নিয়ে দুষ্টুমি করতে চান?

রণবীর সিংহ।

এই কিছু দিন হল দীপিকা পাড়ুকোন কলকাতায় শ্যুটিং করে গিয়েছেন...

তো? এটা শুনে দীপিকা তো আমার বন্ধু হয়ে যেতে পারে। এক সময় ও রণবীর কপূরের সঙ্গে ছিল। এখন রণবীর সিংহ। আজকে রণবীর, কালকে কোন ‘বীর’ কেউ জানে না।

আদর্শ পুরুষের মধ্যে আপনি কী খোঁজেন?

বাড়িতে হাফ প্যান্ট পরে থাকলেও তাকে ক্লাসি হতে হবে। চার্মিং পার্সোনালিটি চাই। ভাল কথা বলতে পারা চাই। আর ম্যানলি ভয়েস।

আর কী চান না?

খেতে খেতে যদি ‘চাক-চাক’ আওয়াজ করে।

আর ইউ সিঙ্গল নাউ?

না। আমি একটা হেলদি রিলেশনশিপে আছি। তিন বছরের প্রেম আমাদের। জীবনের সব পজিটিভ ব্যাপারের জন্য ওকে আমার চাই।

আলাপ কী করে?

আকাশে! প্লেনে যাচ্ছিলাম...

তাঁর নাম কী **?

... বলবেন না প্লিজ। ওটা উহ্য থাক।

আপনাদের নাকি কোর্ট ম্যারেজ হয়েছে?

না না। আমরা এনগেজড।

ছবিতে ঘনিষ্ঠ দৃশ্য করলে উনি কী ভাবে রিঅ্যাক্ট করেন?

ও ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির নয়। তবে ভীষণ ‘চিল্ড আউট’। প্রথম প্রথম টেনশন হত। কিন্তু ও তো দৃশ্যগুলোয় আমাকে শ্যুটিং করতে দেখেছে। আমি কনশাস হয়ে গেলে ও আমাকে কাম ডাউন করত। ও আমার থেকেও বেশি আমাকে বোঝে। আমার অতীতে যা কিছু খারাপ হয়েছে সেখান থেকে আজকে যে আমি ভাল স্পেসে আছি তার জন্য ও অনেকটাই রেসপনসেবল। প্রথম দিন ওকে আমার অতীতের সব কথা বলে দিয়েছিলাম।

আপনার হবু শ্বশুর-শাশুড়ির সঙ্গে সম্পর্ক কেমন?

ভাল। আমার হবু শ্বশুর-শাশুড়ি আমাকে সুন্দরী বলে ডাকেন। ওঁদের বাড়ির কোনও অনুষ্ঠানই আমাকে ছাড়া হয় না। নারী হিসেবে মা আর হবু শাশুড়ি ভীষণ স্ট্রং। ওঁরা দু’জনে আমাকে শিখিয়েছেন যে মেয়েদের সব থেকে বেশি জরুরি হল স্বাধীনতা আর ডিগনিটি।

বিয়ে কবে করবেন?

আপাতত নয়। তবে বিয়ের দিন প্রচুর সাজব। মাল্টি কুজিন রিসেপশন দেব।

হানিমুন?

অনেক দেরি। তবে চাইব নিউজিল্যান্ড যেতে।

ananda plus nusrat jahan priyanka dasgupta interview
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy