কয়েক সপ্তাহ ধরে টলিউডের অন্দরে কানাঘুষো, প্রযোজক নীলরতন দত্ত নাকি বড় পদক্ষেপ করতে চলেছেন। শীঘ্রই তিনি জুটি বাঁধতে চলেছেন জাতীয় স্তরের চ্যানেলের সঙ্গে, খবর এমনই। চুক্তি অনুযায়ী, নাকি বছরে ৪০টি ছবি বানাবেন তিনি!
সবিস্তার জানতে আনন্দবাজার ডট কম যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছিল শহরের একটি প্রযোজনা সংস্থার কর্ণধার নীলরতনের সঙ্গে। তিনি ফোন ধরেননি। এ দিকে শোনা যাচ্ছে, ডিসেম্বর থেকেই চুক্তি লাগু হবে। প্রযোজনা সংস্থার হাতে ইতিমধ্যেই ২০টি তৈরি ছবি রয়েছে! সেই তালিকায় ‘কীর্তন ২’, ‘বিবি বক্সী’, ‘পলিট্রিক্স’, ‘গোর্কির মা’, ‘উৎসবের রাত্রি’, ‘পুবের জানালা’, ‘নতুন প্রেমের গান’, ‘সুলভ কমপ্লেক্স’, ‘সাদা গোলাপ’, ‘ইট্স নেভার টু লেট’, ‘ইস্কাবনের বিবি’, ‘মেঘবাড়ি’-সহ একগুচ্ছ ছবি। শুটিং চলছে ‘উল্টোরথ’-এর।
পাশাপাশি, স্ক্রিনিং কমিটির বৈঠকেও প্রযোজক জানিয়েছেন, ২০২৬ সালে তিনি চারটি ছবি প্রেক্ষাগৃহের জন্য আনবেন।
এই প্রসঙ্গে উঠছে একাধিক প্রশ্ন। এত ছবি একজন প্রযোজকের পক্ষ আদৌ কি বানানো সম্ভব? আর তা যদি সম্ভবও হয়, তা হলে সেই ছবির মান কী দাঁড়াবে? কারণ, ছবি তো মেশিন টিপে বানানো যায় না! কখনই বা এত ছবি বানালেন নীলরতন? প্রসঙ্গত, প্রযোজনা সংস্থার এখনও পর্যন্ত মুক্তি পাওয়া শেষ ছবি ‘অতি উত্তম’। সৃজিত মুখোপাধ্যায় পরিচালিত এই ছবি মুক্তি পেয়েছিল এক বছর আগে। তার পরে সংস্থার আর কোনও ছবি মুক্তি পায়নি।
নীলরতন দত্ত বা প্রযোজনা সংস্থার মুখপাত্র নীলাঞ্জন বসু এ বিষয়ে কথা বলেননি। তবে ওই প্রযোজনা সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, গত এক বছর ধরে নাকি জাতীয় স্তরের চ্যানেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা চলছিল তাদের। সেই কারণেই ছবিমুক্তিতে সাময়িক দাঁড়ি টেনেছিল প্রযোজনা সংস্থা। তার ফলে তাদের হাতে ২০টি ছবির ‘ব্যাঙ্কিং’। পাশাপাশি, ছবির শুটিং এবং কাহিনি বা চিত্রনাট্যে যাতে খামতি না থাকে তার জন্য এই প্রজন্মের নতুন দল নিযুক্ত করা হয়েছে। প্রযোজনা সংস্থাকে ঢেলে সাজিয়ে নতুন রূপে উপস্থিত করতেই নাকি এই পদক্ষেপ প্রযোজকের। একই সঙ্গে বছরে ৪০টি ছবি তৈরি করতে পারলে কাজের সুযোগ তৈরি হবে। নতুন মুখ উঠে আসবে বড়পর্দায়। খোঁজ মিলবে নতুন পরিচালক, চিত্রনাট্যকারদেরও। এতে টলিউডের সার্বিক উন্নতি হবে বলে সেই সূত্রের দাবি।