যশ-নুসরতের সম্পর্কে ভাঙন।
ইনস্টাগ্রামেই তাঁদের প্রেমের কথা প্রকাশ্যে। ইনস্টাগ্রামেই একে অপরকে স্বামী-স্ত্রী হিসেবে স্বীকৃতি! শুক্রবার সকালে ফের সেই ইনস্টাগ্রামে উঠে এল তাঁদের সম্পর্ক। নুসরত জাহান আর যশ দাশগুপ্তের টাটকা ‘স্টোরি’ ঘিরে জমে উঠছে জল্পনা! অনুরাগীদের একাংশের প্রশ্ন— তবে কি ভাঙতে চলেছে ‘যশরত’ জুটি? এমন পোস্টে কি তারই ইঙ্গিত? আর এক দল ভক্তের পাল্টা দাবি— ইনস্টাগ্রামের পাতায় নিছকই খুনসুটিতে মেতেছেন প্রেমিক-প্রেমিকা। সম্পর্কে ভাঙন ধরলে এ ভাবে সে কথা নিশ্চয়ই প্রকাশ্যে আনতেন না তারকা-দম্পতি!
ঠিক কী ঘটেছে? শুক্রবার ইনস্টাগ্রামে দু’টি স্টোরি দেন নুসরত। একটিতে ছেলে ঈশান প্যারাম্বুলেটরে, শীত-সকালের ঘোরাঘুরির মজা। দ্বিতীয়টিই মোক্ষম। সেই পোস্টের বক্তব্য, ‘যে ঘরে শান্তি নেই, সেই ঘর দুনিয়ার সবচেয়ে খারাপ জেলখানা! যে কোনও মানুষের জন্যই সবচেয়ে ভাল জেলখানা সেখানেই, যেখানে ভালবাসা আছে। কেউ সেই ঘর ছাড়তে চায় না।’ নুসরতের এই পোস্টের কিছুক্ষণ পরেই ভেসে উঠল যশের ইনস্টাগ্রাম স্টোরি— ‘কেন জেলখানায় বন্দি হয়ে থাকছ? খাঁচার দরজা তো খোলাই আছে!’ জল্পনা তুঙ্গে তার পর থেকেই।
অধুনা প্রাক্তন স্বামী নিখিল জৈনের সঙ্গে বিচ্ছেদ নিয়ে তখন তুমুল টানাপড়েন। সঙ্গী দেদার বিতর্ক। তার ক’দিন পরে, ২৬ অগস্ট সন্তানের জন্ম দেন নুসরত। পাশে ছিলেন যশ। তার পরে ১০ অক্টোবর যশের জন্মদিনের কেকের উপরে লেখা ‘হাসবেন্ড’। ইনস্টাগ্রামকে সাক্ষী রেখে সে দিন থেকেই ‘স্বামী-স্ত্রী’ হয়ে ওঠেন যশরত-জুটি। এর পরে কখনও বরফে মোড়া কাশ্মীরে প্রেমের উষ্ণতা, কখনও বা দীপাবলিতে দুই ছেলে রিয়াংশ ও সদ্যোজাত ঈশানকে নিয়ে ‘সপরিবার’ উদযাপন— দু’জনের ইনস্টাগ্রাম পোস্ট বরাবরই চর্চার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে থেকেছে।
নুসরত-নিখিল জৈনের বিচ্ছেদে যে দিন শিলমোহর দেয় আদালত, সে দিনও ইনস্টাগ্রামে একটি পোস্ট করেছিলেন যশ। তাতে তাঁর বক্তব্য ছিল, ‘আমার ষষ্ঠ ইন্দ্রিয়কে দুর্বল ভেব না। তুমি কোন পথে হাঁটবে, আমি আগাম তা আন্দাজ করতে পারি।’ সে দিনও যশের এই স্টোরি ছিল গরমাগরম চর্চার কেন্দ্রে। টলিপাড়া সে দিনও মেতেছিল ‘যশরত’-এর সম্পর্ক নিয়ে।
তবে ব্যক্তিগত সম্পর্কে যা-ই ঘটে থাকুক, কাজের দুনিয়ায় জুটিতে ফিরতে চলেছেন খুব শিগগিরিই। শিলাদিত্য মৌলিকের ‘মাস্টারমশাই আপনি কিচ্ছু দেখেননি’ ছবিতে দেখা যাবে তাঁদের। ছবির একটি গান ইতিমধ্যেই ক্যামেরাবন্দি হয়েছে কাশ্মীরে। দীপাবলিতেও দুই ছেলেকে নিয়ে অনুরাগীদের দেখা দিয়েছিলেন ‘স্বামী-স্ত্রী’। সেই ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy