প্র: ‘পাতাললোক’-এর সাফল্যের পরে ‘রকেট বয়েজ়’ সিরিজ়ে বিজ্ঞানী বিক্রম সারাভাইয়ের চরিত্রে অভিনয় করছেন। কতটা আশাবাদী এই চরিত্রটা নিয়ে?
উ: ‘রকেট বয়েজ়’-এর গল্প এবং সংলাপ দুই নিয়েই আমি খুব আশাবাদী। ভীষণ বিশ্বাসযোগ্য একটা গল্প। অনেক রিসার্চ করে গল্পটা লেখা হয়েছে। প্রস্তুতিপর্বও ছিল খুব লম্বা। আমি নিজেও বিক্রম সারাভাইকে নিয়ে লেখা বই পড়েছি চরিত্রটাকে বোঝার জন্য। একটা গল্প দর্শকের মনে কতটা দাগ কাটবে, তা অনেকটা নির্ভর করে একজন দক্ষ স্টোরিটেলারের উপরে।
প্র: এই সিরিজ়ে অভিনয় করার আগে বিক্রম সারাভাই সম্পর্কে কতটা জানতেন?
উ: মহান বৈজ্ঞানিক হিসেবে ওঁর নাম জানতাম। কিন্তু সিরিজ়টা করতে গিয়ে ওঁর ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে জানতে পেরেছি। ইসরো নিয়ে জানার আগ্রহ আমার বরাবর ছিল। বিভিন্ন আর্টিকল পড়তাম। তবে এখনকার বাচ্চারা অনেক বেশি সচেতন, ছোট বয়সে আমি এত আপডেটেড থাকতাম না।
প্র: জিম সরাভের সঙ্গে অভিনয়ের অভিজ্ঞতা কী রকম?
উ: জিম খুব এন্টারটেনিং একজন মানুষ। সেটে সারাক্ষণ সকলকে মাতিয়ে রাখত। এটা খুব বড় স্কিল। জিমের বহু বিষয়ে অনেক জ্ঞান রয়েছে। তাই ওর সঙ্গে কথা বলতে খুব ভাল লাগে। কাজের মাঝে আমাদের মধ্যে অনেক কথা হত। ওর কাছ থেকে অজান্তেই অনেক কিছু শিখেছি।
প্র: কমার্শিয়াল ছবিতে অভিনয় করতে চান?
উ: নিশ্চয়ই। আমি শাহরুখ খানের বিরাট ভক্ত। করণ জোহরের সব ছবি যেমন দেখেছি, তেমনই ‘ব্যান্ডিট কুইন’, ‘সত্য’র মতো ছবিও দেখেছি। আমার কাছে সিনেমা দু’রকম, ভাল ও মন্দ। নিজে শুধু ভাল ছবির সঙ্গে যুক্ত হতে চাই।
প্র: দশ বছর লড়াই করার পরে মুম্বইয়ে নিজের একটা জায়গা তৈরি করতে পেরেছেন। কখনও হতাশ হয়ে চেষ্টা ছেড়ে দেওয়ার কথা মনে হয়েছে?
উ: আমাকে যদি কেউ বলত ইন্ডাস্ট্রি ছেড়ে দাও, তা হলে তার সঙ্গে সম্পর্ক চুকিয়ে দিতাম। অভিনেতাদের জীবনে স্থিরতার খুব অভাব। কর্পোরেট চাকরির মতো ছকে বাঁধা জীবন নয়। এখানে একটা জায়গায় পৌঁছতেই দশ বছর লেগে যায়। আমি একজন দক্ষ আর্কিটেক্ট, তাই অভিনয় করার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় বাড়িতে আমাকে নিয়ে চিন্তা ছিল। তবে পরিবারের সমর্থন আমি পেয়েছি।
প্র: প্ল্যান বি নিয়ে কোনও দিন ভেবেছেন?
উ: না, ‘পাতাললোক’-এ দর্শকের অনেক ভালবাসা পেয়েছি। ইন্ডাস্ট্রিও আমার থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়নি। এখন আমার কথা ভেবে চরিত্র লেখা হয়, সেটা একটা বড় পাওনা।
প্র: কী ধরনের সিরিজ় বা ছবিতে অভিনয় করতে চান?
উ: কমেডি জ়ঁরে অভিনয় করার খুব ইচ্ছে রয়েছে। আমি দিল্লিতে বড় হয়েছি। বহু রকমের সংস্কৃতি, বিভিন্ন রকম হিউমরের সঙ্গে আমি পরিচিত। সেগুলোকে পর্দায় ফুটিয়ে তোলার খুব ইচ্ছে রয়েছে।