স্পেশ্যাল ক্রিসমাস
প্রতি বছর যশোজিতের ক্রিসমাসের রুটিন অনেকটা একই রকম থাকে। ২৪ ডিসেম্বর রাতে সে যা উইশ করে, তা নাকি পরের দিন সকালে অলৌকিক ভাবে চলে আসে। কিছু নিমন্ত্রণ থাকে। কেক খেয়ে, নিউ মার্কেট, পার্ক স্ট্রিট গিয়ে কাটে যশোজিতের ক্রিসমাস। তবে এ বার কিছুটা আলাদা। কারণ ২১ ডিসেম্বর মুক্তি পাবে প্রথম ছবি। ‘‘আমি কিন্তু এ বারে এখনও কিছু প্ল্যান করিনি। স্কুলে ২১ তারিখেই ছুটি পড়ছে। আর ওই দিনই রিলিজ,’’ শেয়ার করল খুদে অভিনেতা।
আরও পড়ুন, বিয়ের পরের জীবনটা এনজয় করছি, বলছেন শুভশ্রী
জঙ্গলে শুটিং
অরুণাচলে বেশির ভাগ অংশের শুটিং করেছেন রাজ। সেটে ছিল অরুণাচলেরই হাতি। যশোজিত্ বলল, ‘‘হাতিটা খুব কোঅপারেটিভ, ফ্রেন্ডলি ছিল। প্রথম প্রথম আমি আর আলম (অন্য এক অভিনেতা) যখন হাতির পিঠে চড়ে ডায়লগ বলছিলাম, তখন কাঁপছিলাম। ভেতর ভেতর কী একটা হচ্ছিল যেন। আমি এমনিতে অ্যানিম্যাল ফ্রেন্ডলি। আমার টয় পুডল কুকুর আছে। আড়াই বছর বয়স। ওর নাম জোরো। ও অ্যাকচুয়ালি আমাদের নেবারের। বাট মোস্ট অফ দ্য টাইম আমাদের কাছেই থাকে।’’
মনে রাখার মতো মুহূর্ত
শুটিংয়ে অনেক মুহূর্তই মনে থাকবে যশোজিতের। তবে যেটা সে ভুলতে পারবে না একেবারেই, তা হল, ‘‘একটা শট ছিল আমি আর আলম হাতির পিঠে। দুটো হাতি ছিল আমাদের। ভাই হাতি আর দিদি হাতি। ভাই জঙ্গলের ভিতর ছিল। আমরা দিদি হাতির পিঠে ছিলাম। ভাই হাতি দিদিকে ডাক দেয়। আর শটের মাঝখানে দিদি দৌড়ে চলে যায়। ওরা তো শুটিং বোঝে না। সেটা আমার কাছে মেমরেবেল এক্সপিরিয়েন্স।’’
অভিনেতার স্বাধীনতা
যশোজিত্ জানাল, প্রথম ছবি হলেও রাজ নাকি তাঁকে অবাধ স্বাধীনতা দিয়েছেন। ভাল ভাবে সিচুয়েশন বুঝিয়ে দিতেন পরিচালক। সংলাপের মানে বলে দিতেন। তার পর নাকি বলতেন, ‘‘তুই ইম্প্রোভাইস করে বল, মিনিংটা সেম হতে হবে।’’ কখনও আবার অভিনয় করেও দেখিয়ে দিতেন রাজ।
আরও পড়ুন, একটা ফাঁকা ছেলে খুঁজে দিন, আই উইল লভ টু ডেট, বলছেন স্বস্তিকা
বাবা-মা শুটিংয়ে থাকাটা প্রেশার নয়
যশোজিতের মা শ্রেয়া অরুণাচলে শুটিংয়ে প্রথম থেকেই ছিলেন। বাবা জয়জিত্ পরে গিয়েছিলেন। কিন্তু মা-বাবা সেটে থাকলেও তাতে বিন্দুমাত্র সমস্যা হয়নি যশোজিতের। তার কথায়, ‘‘ওরা থাকাটা প্রেশার ছিল না। শট দিয়ে ওদের এক্সপ্রেশন দেখার চেষ্টা করতাম হয়তো। কিন্তু ওদের এক্সপ্রেশন নিউট্রালই থাকত। জাস্ট টু গিভ মি কম্পানি দে ওয়ার দেয়ার।’’ কখনও কোনও সিন নিয়ে নাকি বাবার সঙ্গে কথা হত না তার। আর শুটিংয়ের পরে আলম,বুবুন, তুতুন, টবুর (সহ-অভিনেতারা) সঙ্গে মজা করে সময় কাটাত পর্দার ‘জোজো’।
আর অভিনয় নয়
যশোজিত্ কিন্তু এই ছবির পর আর অভিনয় করতে চায় না। স্পষ্ট বলল, ‘‘এই ছবিটার যদি সিকুয়েল আসে, তা হলেই করব। না হলে আর করব না। দেয়ার ইজ আ বিগ যদি…। আর এখন কিছু বলতে পারছি না।’’
ছবি রিলিজের আগে টেনশন?
না! কোনও টেনশন নেই। অন্তত যশোজিতের তেমনই দাবি। ‘‘বাড়িতে কেউ টেনশন করছে না। সবাই খুব রিল্যাক্সড। (একটু পজ নিয়ে) হয়তো ওদের টেনশন হচ্ছে। আমার মনে হচ্ছে, সেটা ওরা দেখাতে চাইছে না। আমার কোনও টেনশন নেই। তবে টেনশন আর ভয়ের একটা মিক্সচার কোথাও একটা ভেতরে ভেতরে হয়। একটা নার্ভাসনেস। নাথিং এলস। আমার এক্সাইটমেন্টটা ভেতরেই থাকবে,’’ হাসিমুখে জবাব দিল যশোজিত্।
(সেলেব্রিটি ইন্টারভিউ, সেলেব্রিটিদের লাভস্টোরি, তারকাদের বিয়ে, তারকাদের জন্মদিন থেকে স্টার কিডসদের খবর - সমস্ত সেলেব্রিটি গসিপ পড়তে চোখ রাখুন আমাদের বিনোদন বিভাগে।)