ভারত-পাক সম্পর্কের উত্তাপ গত এক মাসে বেড়েছে। আর সেই পরিস্থিতিতে নিজেদের মতামত ব্যক্ত করেছেন দু’দেশের খ্যাতনামীরা। সমাজমাধ্যমের রমরমার যুগে কোনও কথাই আর গোপন নেই। ফলে দ্বন্দ্ব বেড়েছে দু’পারেই। পহেলগাঁও কাণ্ডের পর ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ অভিযান প্রসঙ্গে বলিউডের গীতিকার ও চিত্রনাট্যকার জাভেদ আখতার বলেছিলেন, তিনি পাকিস্তানে যাওয়ার চেয়ে নরকে যাওয়া শ্রেয় মনে করেন। এর পর থেকেই নাকি বর্ষীয়ান গীতিকারের মৃত্যু কামনা করছেন ও দেশের তারকারা!
আরও পড়ুন:
গত কয়েক বছরে জাভেদের লেখক পরিচিতিকে ছাপিয়ে উঠেছে তাঁর প্রতিবাদী সত্তা। সমাজ-রাজনৈতিক যে কোনও বিষয়ে তিনি নিজের মত ব্যক্ত করেন সুস্পষ্ট ও নির্ভীক ভাবে। যদিও কোনও বিশেষ রাজনৈতিক দলের সঙ্গে তিনি যুক্ত নন। আর ঠিক এই কারণেই তাঁর দিকে ধেয়ে আসে কটাক্ষ, এমনকি তা কখনও কখনও হুমকির পর্যায়ে গিয়েও পৌঁছোয়। জাভেদ একবার বলে ছিলেন, “এমন আক্রমণ না হলেই ভয় পাই, মনে হয়, কী জানি সব ঠিক করছি তো আমি!”
দিত কয়েক আগে এক সাক্ষাৎকারে জাভেদ বলেন, “ভারত-পাকিস্তান উভয় পক্ষের মানুষই আমার উপর খড়্গহস্ত। পাকিস্তানিদের মতে এক পক্ষ বলে আমি ‘কাফির’, আমার জাহান্নমে (নরকে) যাওয়া উচিত। আবারা ভারতের একাংশ বলে আমি ‘জিহাদি’, আমার পাকিস্তানে চলে যাওয়া উচিত। যদি আমার কাছে যাওয়ার মতো এই দুটো জায়গাই থাকে, তা হলে আমি জাহান্নমটাই বেছে নেব।” এমনকি পাকিস্তানের শিল্পীদের নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গেও তিনি সুর চড়িয়েছিলেন। দাবি করেছিলেন, এ দেশে যতটা সম্মান পাকিস্তানি শিল্পীরা পান, ততটা সম্মান ভারতীয় শিল্পীদের দেওয়া হয় না ও দেশে।
এর পরই যেন জাভেদের উপর যেন খেপে ওঠেন পাকিস্তানের শিল্পীদের একাংশ। শোনা যায় তাঁরা নাকি, বিভিন্ন জায়গায় বর্ষীয়ান গীতিকারের মৃত্যু কামনা করছেন। তাঁদের মৃত্যু কামনার কথা শুনে জাভেদ বলেন, ‘‘ওদের চাওয়া-পাওয়ার কথা যদি ঈশ্বর শুনতেন, তা হলে ওঁরা যেখানে রয়েছেন, সেখানে থাকতে হত না।’’ খানিক রসিকতার ছলে তাঁদের কটাক্ষ করলেন গীতিকার।