বাগানে
এ মাসেই কাজের সূত্রে বাংলাদেশ থেকে ভারতে আসার কথা ছিল জয়া আহসানের। ‘অর্ধাঙ্গিনী’ ছবির ডাবিংয়ের কাজ বাকি আছে। কিন্তু এ মাস কেন, পরের মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত এখন তাঁর এ দেশে আসা অনিশ্চিত। বাংলাদেশের পরিস্থিতি কেমন? জয়া বললেন, “এই একটু আগে আমার বাড়ির নীচে কীটনাশক দিয়ে গেল। এখানে রাস্তায় সেনাও নামানো হয়েছে। তবে মানুষ এত ভয় পেয়ে আছে যে, অকারণে বেশি করে সব জিনিস কিনছে। ফলে দ্রব্যমূল্য বেড়ে যাচ্ছে হু-হু করে। ‘দিন আনি দিন খাই’ মানুষগুলোর কথা তো ভাবতে হবে। একে এখন সকলের কাজ বন্ধ, ওদের হাতে টাকা নেই। তার মধ্যে আবার জিনিসপত্রের দাম বাড়লে ওদের চলবে কী ভাবে? চাল, ডাল তো অন্তত কিনবে, সেটাও তো কিনতে পারবে না। আমাদের ছবির জগতেও এমন অনেকেই আছেন, যাঁদের হাতে এখন প্রায় কিছুই নেই। তাঁদের জন্য আমি ফান্ড তোলার চেষ্টা করছি। যতটা সাহায্য করা যায়। তবে এখানে তো মূল ব্যবসা গারমেন্টসের। সেটা অবিলম্বে বন্ধ হওয়া দরকার। সরকার এখনও তা করেনি। জানি না ভবিষ্যতে এ রকম কোনও পরিকল্পনা আছে কি না!” দুশ্চিন্তা স্পষ্ট তাঁর কণ্ঠস্বরে। অভিনেত্রীর মতে, ঢাকাকে কেন্দ্র করেই বাংলাদেশ আবর্তিত হয়। কিন্তু ঢাকার বাইরের মানুষ কেমন আছেন, তাঁরা সব কিছু পাচ্ছেন কি না তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন অভিনেত্রী।
আপাতত শুটিং বন্ধ। জয়াও গৃহবন্দি। এমনিতে বাড়ির মানুষের সঙ্গেই সময় কাটাতে ভালবাসেন জয়া। কিন্তু এখন চেয়েও তা পারছেন না। কেন? জয়ার কথায়, “বাড়ির মানুষের মাঝে আছি ঠিকই। কিন্তু ভয়ে কোয়ালিটি টাইম কাটাতে পারছি না। সব সময়ে মনের মধ্যে একটা টেনশন। সিনেমা দেখতে দেখতে চোখে জ্বালা ধরে যাচ্ছে। আর ভালও লাগছে না। সকালে উঠে বাগানে চলে যাই। নিজে হাতেই বাগানের সব কিছু করি। মাটি করা, টব বদলানো, গাছ লাগানো... ওখানেই সকালে দু’-তিন ঘণ্টা কেটে যাচ্ছে। বিকেলেও বাগানে গিয়ে গাছে জল দিচ্ছি। এই টালমাটাল সময়ে বাগানেই একটু শান্তি খুঁজে পাচ্ছি। আর আমার পোষ্য আছে, ক্লিয়োপেত্রা আর ওর বন্ধু সল্টি। এই ক’দিন ওরাও আমার সারা দিনের সঙ্গী। মনেপ্রাণে চাইছি যেন তাড়াতাড়ি আমরা সকলেই এই পরিস্থিতি থেকে বেরোতে পারি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy