সম্পর্ক টেকাতে জয়ার টোটকা। ফাইল চিত্র
নাতনির পডকাস্টে গিয়ে অন্য মেজাজে জয়া বচ্চন! এ যুগের প্রেম শীর্ষক আলোচনায় জয়া যা বললেন তাতে ‘থ’ হয়ে যান নাতনি নব্যা। যে সম্পর্কে কাছের মানুষ দূরে থাকে, যার পোশাকি নাম ‘লং ডিসট্যান্স রিলেশনশিপ’, সেই ধরনের সম্পর্ক নিয়ে নিজের মত প্রকাশ করলেন অমিতাভ-ঘরনি। দিলেন সম্পর্ক মজবুত রাখার টোটকা। পাশাপাশি বিয়ের আগে শারীরিক ঘনিষ্ঠতা নিয়ে ভারতীয় সমাজে ঢাকঢাক-গুড়গুড় রয়েছে, সেই প্রচলিত ধ্যানধারণার সঙ্গে তিনি সহমত নন। বরং ঠিক তাঁর উল্টোটাই। তিনি জানান, একটা সম্পর্কে শারীরিক ঘনিষ্ঠতার গুরুত্ব ঠিক কোথায়! দূরত্ব মিটিয়ে পরস্পরের পরশটাও যে অনেক কিছু, তা স্পষ্ট করেই জানালেন মিসেস বচ্চন।
পডকাস্টের নাম ‘হোয়াট দ্য হেল নব্যা’। সেখানে নাতনির সামনে এসে বসেছিলেন দিদা জয়া। কিন্তু দু’জনের কথোপকথন শুনে কে বলবে, দিদিমা-নাতনির মধ্যে কথা চলছে! মনে হবে এক বান্ধবী কথা বলছে অন্য বান্ধবীর সঙ্গে। আধুনিক সমাজে সম্পর্কের সংজ্ঞা বদলেছে। কারণ, সময় বদলেছে। এই প্রজন্মের যুগলদের পক্ষ নিয়ে বছর ৭৪-এর অভিনেত্রী বলেন, ‘‘এই প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের তাঁদের শারীরিক ঘনিষ্ঠতা নিয়ে কুণ্ঠাবোধ করার কোনও অবকাশ থাকা উচিত নয়। সম্পর্কে পরস্পরের প্রতি ঘনিষ্ঠ থাকাটাই স্বাভাবিক, ঘনিষ্ঠতা থাকলে তবে পোক্ত হয় সম্পর্ক। অনেক অল্পবয়সি মেয়ে রয়েছেন, যাঁরা প্রাণ খুলে কথা বলতে সঙ্কোচ বোধ করেন। কারণ সমাজ জোর করে অনেকগুলো ধারণা চাপিয়ে রেখেছে।’’
জয়া আরও বলেন, ‘‘এই যুগে দাঁড়িয়ে শারীরিক ঘনিষ্ঠতা প্রয়োজন। যদিও আমাদের সময় এই সুযোগ ছিল না।’’ জয়ার সাফ কথা, ‘‘সম্পর্কে ঘনিষ্ঠতা প্রয়োজন, নয়তো সম্পর্ক টেকে না। একটা সম্পর্কে ভালবাসা এবং বোঝাপড়াটাই শেষ কথা নয়।’’
দিদিমা জয়া নাতনির কাছে এত খোলামেলা, মা হিসাবে তিনি কেমন? নব্যার পডকাস্টের প্রথম পর্বে এসেছিলেন শ্বেতা। তিনি কিন্তু মা জয়ার ব্যাপারে বলেছিলেন সম্পূর্ণ অন্য কথা। জয়া প্রয়োজনে ছেলেমেয়েদের মারধরও করতেন। শক্ত হাতেই ছেলেমেয়েদের মানুষ করেছেন অমিতাভ-ঘরনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy