আদিত্য এবং সৃজিতের সঙ্গে কাজ করেছেন যিশু।
শনিবার আনন্দবাজার অনলাইনের লাইভে এই প্রশ্নের সম্মুখীন হন ‘জাতিস্মর’-এর অভিনেতা। দ্বিধা করেননি উত্তর দিতে। তাঁর চটজলদি উত্তর, ‘আদিত্য চোপড়া অবশ্যই। সৃজিতও বড় ছবি করে। কিন্তু আদিত্য চোপড়ার পিছনে একটা ‘যশরাজ’ ছিল। সৃজিতের পিছনে ‘যশরাজ’ নেই। আদিত্য চোপড়া ‘যশরাজ’-এর ছবিতে যা করবে, সৃজিত তা করতে পারবে না। ওকে সেই বাজেটটাই দেওয়া হবে না।”
একসঙ্গে একাধিক ছবিতে কাজের পরে আদতে সৃজিতের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক কেমন? যিশুর কথায়, “আমরা খুব ভাল বন্ধু। তাই আমাদের মধ্যে ঝামেলাটাও চলে।” কিন্তু সেই মনোমালিন্য মিটিয়ে নিতে কী করেন তাঁরা? “আমরা নিজেদের সময় দিই। আস্তে আস্তে সব ঠিক হয়ে যায়। তবে আমি একটা কথাই বলব। আমি ক্ষমা করে দিই ঠিকই। কিন্তু কিছুই ভুলি না।”
‘লহ গৌরাঙ্গের নাম’ ছবিকে ঘিরে সৃজিত-যিশুর সম্পর্কে ফাটলের গুঞ্জন গাঢ় হয়েছে টলিপাড়ায়। যিশু জানান, সৃজিতের ছবির জন্য তিনি সময় বার করে উঠতে পারেননি। সেখান থেকেই তাঁর সঙ্গে পরিচালকের বিতণ্ডার সূত্রপাত। তিনি বলেন, “সৃজিতের একটা অভিমান ছিল আমার প্রতি। তার পরে ও যা বলার বলেছে। সৃজিতের অনেক সাক্ষাৎকার হয়েছে তার পরে। সেগুলিতে বলা হয়েছিল, ‘চৈতন্য’ হিসেবে আমি সৃজিতের প্রথম পছন্দ নই। সৃজিত যদিও বলেছিল, ও এ রকম কিছু বলেনি। কিন্তু কথাটা সত্যি। সৃজিত কিন্তু সত্যিই আমাকে চৈতন্যের চরিত্রে অভিনয় করতে বলেনি।”
'উমা'র অভিনেতা জানিয়েছেন, চার-পাঁচ বছর আগে চৈতন্যের চরিত্রে অভিনয়ের প্রস্তাব পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু অবশেষে যখন ছবিটির ঘোষণা হয়, তখন তাঁকে আর ওই চরিত্রে অভিনয়ের জন্য ডাকা হয়নি। তবে যেন খানিকটা অভিমান নিয়েই যিশুর সংযোজন, “সৃজিত বারবার এই কথাটাই বোঝাতে চেয়েছেন। কিন্তু সংবাদমাধ্যমে শিরোনাম করার তাগিদে বিষয়টিকে অন্য ভাবে দেখানো হয়। কিন্তু এ ছাড়াও সৃজিত এমন কিছু কথা বলেছে, যেগুলো না বললেও চলত। এগুলো নিজেদের ব্যাপার। মিটিয়ে নেওয়া যেত।”
তবে অভিমানের আস্তরণ সরিয়ে এখন একে অপরের সঙ্গে কথা বলছেন তাঁরা। তরকা-রুটি সহযোগে আড্ডাও বসেছে যিশুর বাড়িতে। পেশাগত পরিসরেও কি একসঙ্গে ফের কাজ করবেন দু’জন? যিশুর কথায়, “এখনই বলতে পারব না। আমরা প্রায় তিন-চার বছর কাজ করিনি। আমরা দু’জনেই এখন খুব আলাদা ভাবে কাজ করি। ও আমাকে কোন ধরনের চরিত্রের প্রস্তাব দেয়, আমার কাজের ধরনের সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে কাজ করতে পারবে না কি না, এই সমস্ত কিছু বুঝেশুনে ওর সঙ্গে কাজ করতে পারি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy