আমিরকে বাবার পরিচয় দিতে অস্বীকার জুনেইদের। ছবি: সংগৃহীত।
শৈশবে বাবা-মায়ের বিচ্ছেদ দেখেছিলেন জুনেইদ খান। তবে বিচ্ছেদের পরেও বাবা-মায়ের মধ্যে সুসম্পর্কই দেখেছেন। কিন্তু একটা সময় অটোচালকের সামনে নিজের বাবা অর্থাৎ আমির খানকে চিনতে অস্বীকার করেছিলেন জুনেইদ, সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে জানান আমির-পুত্র।
৭ ফেব্রুয়ারি মুক্তি পাচ্ছে জুনেইদের ছবি ‘লভইয়াপ্পা’। ছবির প্রচার নিয়ে এই মুহূর্তে ব্যস্ত তিনি। প্রথম ছবি ‘মহারাজ’ সে ভাবে সফল না হলেও, অভিনয়ের জন্য প্রশংসা পেয়েছেন জুনেইদ। তারকাসন্তান তকমা থাকলেও সাধারণ জীবনযাপন করেন তিনি। নিজস্ব গাড়ি নয়, অটোয় চড়ে যাতায়াত করেন। রাস্তাঘাটে পথচলতি লোকজন তেমন চিনতেও পারেন না। কিন্তু একবার এক অটোচালক চিনে ফেলেছিলেন তাঁকে।
জুনেইদ বলেছেন, “মুম্বইয়ের মতো শহরে যাতায়াতের জন্য অটোই সবচেয়ে ভাল। নিজের গাড়ি চালাতে গেলে, ট্রাফিকে দীর্ঘ ক্ষণ আটকে থাকতে হয়। তার উপর গাড়ি পার্ক করারও সমস্যা রয়েছে। তাই স্বাভাবিক ভাবেই অটোয় যাতায়াত সহজ মনে হয়। মানুষ আমাকে সে ভাবে চেনেও না। একবার এক অটোচালক আমাকে চিনে ফেলেছিলেন।” তখনই মজার এক কাণ্ড ঘটে। সেই ঘটনাই বিশদে জানালেন জুনেইদ। তাঁর কথায়, “আমি আন্ধেরি থেকে বান্দ্রায় যাচ্ছিলাম। একটা ট্রাফিক সিগনালে আমার অটোর পাশে এসে দাঁড়ায় আমার বাবার গাড়ি। আমি সেই সময় ফোনে কথা বলছিলাম। বাবা গাড়ির কাচ নামিয়ে আমার দিকে হাত নাড়েন। আমিও তাকিয়ে হাসি।”
এই দেখেই কৌতূহলী অটোচালক জুনেইদকে প্রশ্ন করেছিলেন, “আপনি ওঁকে (আমির খান) চেনেন?” জুনেইদ তখন তাঁকে বলেছিলেন, “হ্যাঁ, চিনি। আমরা একই এলাকায় থাকি। ওঁর মা এবং আমার ঠাকুমা দু’জনেই বারাণসীতে থাকতেন।” এই বলেই থেমে গিয়েছিলেন জুনেইদ। আসল পরিচয় সেই অটোচালকের থেকে লুকিয়ে রেখেছিলেন অভিনেতা। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, জুনেইদের ছবি ‘লভইয়াপ্পা’-তে তাঁর বিপরীতে অভিনয় করেছেন শ্রীদেবীর কনিষ্ঠ কন্যা খুশি কপূর। এটিই খুশির প্রথম ছবি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy