কাদের খানের সঙ্গে এই ছবিটিই ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেছেন গোবিন্দ।
কাদের খানের মৃত্যুর পর তাঁকে নিয়ে ইনস্টাগ্রামে একটি লম্বা লেখা লিখেছিলেন বলি অভিনেতা গোবিন্দ। সে লেখায় কাদের খানকে শুধু ‘ওস্তাদ’ বলেই ক্ষান্ত হননি অভিনেতা। সঙ্গে ‘ফাদার ফিগার’ বলেও তাঁকে অভিহিত করেছিলেন গোবিন্দ। সেই গোবিন্দর দিকেই আঙুল তুললেন প্রয়াত অভিনেতার পুত্র সরফরাজ়।
একটি সংবাদমাধ্যমের কাছে কাদের খান পুত্র সরফরাজ় বলেছেন, ‘‘প্লিজ গোবিন্দকে এক বার জিজ্ঞেস করুন, ফাদার ফিগারের শরীর নিয়ে কত বার খোঁজ নিয়েছেন? এমনকি আমার বাবা মারা যাওয়ার পর কি একটাও ফোন করার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেছেন? আমাদের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিটাই এখন এ রকম হয়ে গিয়েছে। ভারতীয় চলচ্চিত্রে যাঁদের অবদান অনস্বীকার্য, তাঁদের প্রতিই ইন্ডাস্ট্রির লোকজনের মন থেকে কোনও শ্রদ্ধা আসে না।’’
এক সঙ্গে বহু ছবিতে কাজ করেছেন গোবিন্দ এবং কাদের খান। ‘হাসিনা মান জায়েগি’, ‘হিরো নম্বর ওয়ান’, ‘রাজা বাবু’, ‘সাজন চলে শ্বশুরাল’, ‘কুলি নম্বর ওয়ান’ এই সব ছবিতে দাপটের সঙ্গে অভিনয় করে গিয়েছেন কাদের খান এবং গোবিন্দর হিট জুটি। অন্য দিকে কাদের খানের পুত্র সরফরাজও ‘তেরে নাম’, ‘ওয়ান্টেড’, ‘ওয়ান্স আপন আ টাইম ইন মুম্বই দোবারা’ ইত্যাদি ছবিতে অভিনয় করেছেন।
তবে শেষ দিনগুলোতে কাদের খান কেবল বন্ধু অমিতাভ বচ্চনের কথাই বলতেন, সে কথাও বললেন সরফরাজ। তাঁর কথায়, ‘‘এই ইন্ডাস্ট্রির বহু মানুষেরই খুব কাছের ছিলেন আমার বাবা। তবে যে মানুষটাকে আমার বাবা সব থেকে বেশি ভালবাসতেন, তিনি অমিতাভ বচ্চন। আমিও বচ্চন সাবকে জানাতে চাই যে, জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত আমার বাবা তাঁর নামই করে গিয়েছেন।’’
আরও পড়ুন: অমিতাভকে ‘স্যরজি’ না বলায় কাজ গিয়েছিল কাদের খানের!
মিষ্টি একটা হাসি হেসেই মারা গিয়েছেন আমার বাবা, বললেন সরফরাজ। কাদের পুত্রের কথায়, ‘‘আর এই হাসিটা আমার কাছে জীবনের সবচেয়ে দামি। জীবনের শেষ কয়েকটা বছর খুবই কষ্টে কাটিয়েছেন কাদের খান।’’
আরও পড়ুন: কী ভাবে প্রোপোজ করেছিলেন অভিষেক?
কানাডার টরন্টোর একটি কবরস্থানে আজই শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে কাদের খানের।
(হলিউড, বলিউড বা টলিউড - টিনসেল টাউনের টাটকাবাংলা খবরপড়তে চোখ রাখুন আমাদেরবিনোদনের সব খবরবিভাগে।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy