এত দিন জগন্নাথ ধাম মানেই বাঙালির কাছে ছিল পুরী। কয়েক মাস আগে দিঘায় নতুন জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উদ্বোধনের দিন দিঘায় উপস্থিত থাকতে পারেননি তৃণমূল বিধায়ক ও অভিনেতা কাঞ্চন মল্লিক। সে সময় মেয়ে কৃষভির অন্নপ্রাশন ছিল, তাই কলকাতাতেই ছিলেন তিনি। তবে জগন্নাথদেবের স্নানযাত্রা উপলক্ষে সপরিবারে দিঘায় গিয়েছেন তাঁরা। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি ছবি পোস্ট করেছেন বিধায়ক পত্নী শ্রীময়ী চট্টরাজ। মেয়ে কৃষভিও এই প্রথম কলকাতার বাইরে গেল।
তাই তাঁরাও খুব উত্তেজিত। স্নানযাত্রার দিনটা শ্রীময়ীর জন্য আরও স্মরণীয় হয়ে থাকবে। আনন্দবাজার ডট কমকে এমনটাই জানালেন অভিনেত্রী। শান্তি মনে জগন্নাথদেবের দর্শন করেছেন তাঁরা। প্রসাদ পেয়েছেন। দিঘায় এমন মন্দির, সেই সঙ্গে হাত বাড়ালেই সমুদ্র— মেয়েকে নিয়ে প্রতিটা মুহূর্ত উপভোগ করছেন তাঁরা।
আনন্দবাজার ডট কমকে শ্রীময়ী বললেন, “মেয়েকে নিয়ে প্রথম বার কলকাতার বাইরে বেরোলাম। একটু ভয়েই ছিলাম। ভিড় হলে মেয়েকে সামালানো কঠিন হবে। তবে এখানে এত সুন্দর নিয়ম, লোকজন থাকলেও, কোনও ঠেলাঠেলি নেই। মেয়েকে নিয়ে কোনও অসুবিধাই হল না। খুব ভাল দর্শন করেছি।”
মঙ্গলবার দিঘা গিয়েছেন তাঁরা। বুধবারই ফিরে আসবেন কলকাতায়। কারণ, কাঞ্চন-শ্রীময়ীর বাড়িতেও জগন্নাথদেবের পুজো হয়। এমনিতে তাঁদের বাড়িতে প্রায় সব পুজোই হয়। স্নানযাত্রার দিনেও পুরোহিত এসে ঠাকুরকে স্নান করিয়ে পুজো করে গিয়েছেন। শ্রীময়ীর কথায়, “ভগবান তো বলেননি কঠোর নিয়ম পালন করলেই আশীর্বাদ দেবেন। তাই আমি অনেক নিয়মই ভাঙি। এ দিন উপোস করে পুজো দিয়েছি। তার পর মাংসও খাইনি। মাছ-ভাত খেয়ে দুপুরের খাওয়া সেরেছি।”
সদ্যই একটি ধারাবাহিকের কাজ ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন শ্রীময়ী। আপাতত কিছু দিন মেয়েকে সময় দেবেন। তার পর ভাল কোনও কাজের সুযোগ এলে ভেবে দেখবেন।