কার্তিক আরিয়ান। ছবি: সংগৃহীত।
কেরিয়ার এই প্রথম কোনও বায়োপিকে অভিনয় করতে চলেছেন কার্তিক আরিয়ান। সম্প্রতি এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই মায়ানগরীতে শোরগোলের সূত্রপাত। কার বায়োপিকে অভিনয় করেছেন পর্দার সোনু? ছবির নাম ‘চন্দু চ্যাম্পিয়ন’। পরিচালক কবীর খান। নির্মাতারা এই প্রসঙ্গে মুখে কুলুপ আঁটলেও খবর কিন্তু চেপে রাখা যায়নি। মঙ্গলবার এই ছবিতে কার্তিকের ফার্স্ট লুক প্রকাশ্যে আসতেই জল্পনা আরও বেড়েছে।
শোনা যাচ্ছে, এই ছবিটি প্যারা অলিম্পিক্সে ভারতের প্রথম সোনাজয়ী ক্রীড়াবিদ মুরলীকান্ত পেটকরের বায়োপিক। ১৯৭২ সালে হাইডেলবার্গে অনুষ্ঠিত প্যারাঅলিম্পিক্সে ৫০ মিটার ফ্রিস্টাইল সাঁতারে সোনা জেতেন মুরলীকান্ত। পাশাপাশি আরও তিনটি বিভাগে তিনি চূড়ান্ত পর্বেও পৌঁছন। ২০১৮ সালে ভারত সরকার তাঁকে পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত করে। গত সপ্তাহেই লন্ডনে এই ছবির শুটিং শুরু হয়েছে।
মঙ্গলবার নির্মাতাদের তরফে যে ছবি প্রকাশ করা হয়েছে, সেখানে কার্তিকের পরনে নীল রঙা ব্লেজ়ার দেখা গিয়েছে। পকেটের উপর লেখা ‘ভারত’। চুল ছোট করে ছাঁটা। চোখের পাশে কাটাছেঁড়ার দাগ। তবে অভিনেতার কঠিন অভিব্যক্তিতে একাগ্রতা এবং জেদ ফুটে উঠেছে। ছবিটি সমাজমাধ্যমে ভাগ করে নিয়ে কার্তিক লিখেছেন, ‘‘বুকের উপর ভারত লেখা থাকে, তখন তার অনুভূতিটাই অন্য রকম।’’
শোনা যাচ্ছে, এই ছবির জন্য মারাত্মক পরিশ্রম করছেন কার্তিক। নিয়মিত ডায়েট এবং জিমে সময় কাটিয়ে সুঠাম শরীরের অধিকারী হতে তিনি কোনও খামতি রাখেননি। লস অ্যাঞ্জেলেসে বিশেষ একটি দলের কাছে তার জন্য অভিনয়ে প্রশিক্ষণও নিয়েছেন। ১৯৬৫ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে গুলিবিদ্ধ হন মুরলী। বিশেষ ভাবে সক্ষম এই চরিত্র কার্তিকের কাছে বেশ কঠিন হতে চলেছে বলেই মনে করছেন ইন্ডাস্ট্রির একাংশ। সূত্রের খবর, কার্তিক ছাড়াও ছবিতে নির্মাতারা বিজয় রাজ, রাজপাল যাদব, ভূব অরোরার মতো শক্তিশালী অভিনেতাদের নির্বাচন করেছেন।
ইন্ডাস্ট্রির অনেকেই মনে করছেন, এখনও পর্যন্ত কার্তিকের কেরিয়ারে এটাই সবথেকে কঠিনতম চরিত্র হতে চলেছে। কার্তিকের শেষ ছবি ‘সত্যপ্রেম কি কথা’ নিয়ে দর্শক মহলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছিল। ক্রীড়াবিদের ভূমিকায় তাঁর অভিনয় দর্শকদের কতটা পছন্দ হয় দেখা যাক। ‘চন্দু চ্যাম্পিয়ন’ আগামী বছর জুন মাসে মুক্তি পাওয়ার কথা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy