সিজান খান।—ইনস্টাগ্রাম
বিরিয়ানি খেয়ে প্রেমে পড়েছেন ‘অনুরাগ বাসু’।একসময়ে টেলিভিশনে টিআরপির ঝড় তোলা ধারাবাহিক ‘কসৌটি জিন্দগি কি’-র নায়ক সিজান খান। ‘প্রেরণা’ শ্বেতা তিওয়ারির সঙ্গে যাঁর রোম্যান্স ভারতীয় টেলিভিশনের দর্শকদের মনে বসন্ত এনেছিল। জানা গেল, দীর্ঘদিন একা থাকার পর সেই ‘অনুরাগ’ ই এবার খুঁজে পেয়েছেন তাঁর জীবনের ‘প্রেরণা’কে। সমাজমাধ্যমে খবরটা জানিয়েছেন সিজান নিজেই। বললেন, শুধু প্রেমই নয়, ২০২১ এ বিয়ে পর্বও সেরে ফেলার সিদ্ধান্তও নিয়েছেন তিনি।
পাত্রী উত্তরপ্রদেশের আমরোহার মেয়ে। নাম অবশ্য জানাননি সিজান। তবে জানিয়েছেন, ‘ওর সঙ্গে আমি ভীষণ সহজ থাকতে পারি।’
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রেমিকার জন্মদিন পালনের একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেছেন সিজান। সেখানেই জানিয়েছেন তাঁদের গল্প। ৩ বছর ধরে সম্পর্কে রয়েছেন দু’জনে। লিখেছেন, ‘ওর সঙ্গে সুখি আমি। বিয়ে করছি। ২০২০ তেই হওয়ার কথা ছিল বিয়ে। কিন্তু, অতিমারির জন্য আর এগোইনি।’ শেষে ২০২১-এ শুরুর দিকেই বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দু’জনে।
আরও পড়ুন : সারা নয়, জাহ্নবীর সঙ্গে গোয়ায় ছুটি কাটাচ্ছেন কার্তিক!
বিয়ের খবর দেওয়ার পাশাপাশি, প্রথম দেখার গল্পও সমাজমাধ্যমে বলেছেন সিজান। এক চেনা বন্ধু পরিচয় করিয়ে দিয়েছিল তাঁদের। ‘‘প্রথম থেকেই ওঁর রান্নার প্রশংসা করছিল ওই বন্ধু। এ দিকে আমিও খেতে ভালবাসি।পৃথিবীর অনেক দেশের বিখ্যাত খাবার ঘুরে ঘুরে খেয়েছি আমি। আর সেই আমাকেই এক সন্ধ্যায় বিরিয়ানি বানিয়ে তাক লাগিয়ে দিল ও।’ অকপট জানিয়েছেন সিজান।
এক সন্ধ্যায় ডিনারের নিমন্ত্রণে প্রেমিকার হাতের বিরিয়ানি খেয়ে মুগ্ধ হয়ে তাঁকে প্রেমের প্রস্তাব দেন সিজান। বলেছিলাম, সারা জীবন তোমার হাতের রান্না খেতে চাই’। প্রেমিকার প্রশংসায় পঞ্চমুখ সিজান এখানেই থামেননি। বলেছেন, খুব সহজ মানুষ ও। হাসি ঠাট্টায় থাকতে ভালবাসে। একেবারেই গড়পড়তা প্রেমিকার মতো হাবভাব নয়।
আরও পড়ুন : অক্ষয় কুমারের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের প্রতি লোভ অনিল কপূরের
একতা কপূরের ‘কাসৌটি জিন্দগি কি-র টেলিভিশন সিরিজে টানা ২০০১-২০০৮ সাল পর্যন্ত অভিনয় করেছেন সিজান খান। জন্মসূত্রে পাকিস্তানি সিজান আদতে ভারতীয় নাগরিক। তাঁর জন্মও মুম্বইয়ে। ‘কসৌটি জিন্দগি’ শেষ হওয়ার পর অনেকেই ভেবেছিলেন তিনি দেশ ছেড়েছেন। কিন্তু সিজান জানিয়েছেন, ‘আমি বরাবর ভারতেই ছিলাম। ভাল কাজের অপেক্ষায় ছিলাম। এখন একটি কাজের কথা চলছে। তবে যখন কাজ ছিল না, তথনও কোনও অর্থনৈতিক সমস্যায় পড়তে হয়নি আমায়।’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy