মুম্বইয়ের রাস্তায় বেরোলেই নাকি ছেঁকে ধরছেন ছবিশিকারিরা। সৌজন্যে তাঁর পোশাক। তিনি নাকি উর্ফী জাভেদকেও ছাপিয়ে গিয়েছেন! তিনি খুশি মুখোপাধ্যায়। পদবি থেকেই বোঝা যায়, বাঙালিনি। ইদানীং সমাজমাধ্যমে যখন-তখন দেখা যাচ্ছে তাঁকে। পরিচিতি পাচ্ছেন দুঃসাহসী পোশাকের কারণে। তিনি এমন সব পোশাক পরছেন যে, হাত দিয়ে ঢেকে রাখতে হচ্ছে নিজের শরীর। কখনও গাড়ি থেকে নামছেন হাত দিয়ে নিতম্ব ঢাকতে ঢাকতে। আবার কখনও শুধুই ঊর্ধ্বাঙ্গ ঢেকেছেন, নিম্নাঙ্গের কাপড় হাওয়ায় উড়ে যাচ্ছে, স্পষ্ট হয়ে যায় তিনি অন্তর্বাস ছাড়াই বেরিয়েছেন রাস্তায়। খুশি অবশ্য আত্মবিশ্বাসী, ছবিশিকারিদের দিকে তাকিয়ে হাসছেন সপ্রতিভ। এই ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসতেই তাঁকে নিয়ে বিতর্কের ঝড় বয়ে যাচ্ছে। এ বার অভিনেত্রী নতুন কাণ্ড ঘটালেন। দিলেন খাঁটি ব্রাহ্মণ হওয়ার পরিচয়।
দিন কয়েক ধরে বিস্তর সমালোচনার মুখে পড়েছেন তিনি। টলিউড থেকে বলিউড, একাধিক অভিনেত্রীরা খুশি সমালোচনা করেছে। কেউ ‘নির্লজ্জ’ বলেছেন। কেউ আবার বলেছেন, ‘এমন পোশাক পরার জন্য জরিমানা হওয়া উচিত খুশির’। এ বার সমাজমাধ্যমে এসে হনুমান চল্লিশা পড়লেন খুশি। সাহসী জামাকাপড় পরলেও তিনি নিজের সংস্কৃতি ভোলেননি সেটা প্রমাণ করেছেন।
খুশির কথায়, ‘‘বাঙালি ব্রাহ্মণ বাড়ির মেয়ে আমি। নিজের সভ্যতা ভুলিনি। তাই সকলের সামনে হনুমান চল্লিশা পাঠ করলাম। আমি জানি লোকে আমাকে নিয়ে অনেক বাজে কথা বলে, কটাক্ষ করে। এটাই বলব, আমি সাহসী পোশাক পরি মানে ভারতীয় সংস্কৃতি ভুলে যাইনি।’’ খুশি এ-ও জানান, হুনমান চল্লিশা পাঠ করেই যে কটাক্ষ থেকে মুক্তি পাবেন তা নয়। যাঁদের সমালোচনা করার তাঁরা সেটা করবেই।