(বাঁ দিকে) রিনা দত্ত এবং আমির খান, কিরণ রাও (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।
বিবাহবিচ্ছেদের পর দেখা করা তো দূর, একে-অপরের মুখ দেখাদেখি বন্ধ হয়ে যায়। তারকা দম্পতিদের মধ্যে এমন উদাহরণ ভূরি ভূরি। তবে ব্যতিক্রমী আমির খান, কিরণ রাও ও রিনা দত্ত। এই তিন জন যেন একই সুতোয় গাঁথা। বর্তমানে তিন জনেই একে অপরের প্রাক্তন। তবু এক পরিবার তাঁরা। আমিরের প্রথম স্ত্রী রিনা। প্রেম করেই বিয়ে করেন তাঁরা। ১৯৮৬ সালের ১৮ এপ্রিল রিনার সঙ্গে ঘর বাঁধেন আমির। ২০০২ সালে তাঁদের বিচ্ছেদ হয়। তবে তাঁদের বিচ্ছেদ নিয়ে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা সামনে আসেনি। বরং আমির এখনও প্রাক্তন স্ত্রী রিনাকে যথেষ্ট সম্মান দিয়েই কথা বলেন। রিনার কথাবার্তাতেও আমিরের প্রতি সম্মান প্রকাশ পায়। রিনার সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের বছর কয়েক পর কিরণকে বিয়ে করেন অভিনেতা। তবে দু’জনের দেখা হয় ‘লগান’ ছবির সময়। সেই সময় পরিচালক আশুতোষ গোয়ারিকরের সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করছিলেন কিরণ। এত বছর ধরে বিভিন্ন সময় অনেকেই অনুমান করে এসেছেন, এই ছবির সময়ই হয়তো কাছাকাছি আসেন কিরণ-আমির! অবশেষে সত্যিটা জানালেন অভিনেতার প্রাক্তন স্ত্রী।
প্রাক্তন স্ত্রী রিনা দত্তের সঙ্গে বিচ্ছেদের কয়েক বছর পরে ২০০৫ সালে কিরণের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধেন অভিনেতা। দু’জনেই কাজপাগল, মননেও বেজায় মিল তাঁদের। দীর্ঘ ১৫ বছরের দাম্পত্যে হঠাৎই বিচ্ছেদ। যদিও একসঙ্গে কাজ করেন তাঁরা। এ বার নিজের সদ্য মুক্তি পাওয়া ছবি ‘লাপাতা লেডিস’-এর প্রচারে এসে তাঁদের দাম্পত্য ও প্রেম জীবনের কথা প্রকাশ্যে আনলেন কিরণ। তাঁর ও আমিরের সম্পর্ক নিয়ে যে চলতি ধারণা রয়েছে সেই ভুল ভাঙালেন তিনি। কিরণ সাফ জানান, তাঁর কারণে রিনা ও আমিরের বিচ্ছেদ হয়নি। তিনি ও আমির সম্পর্কে জড়ান আমিরের প্রথম বিয়ে ভাঙার বছর দুয়েক বাদে। কিরণের কথায়, ‘‘আসলে ‘লগান’ ছবির সময় আমার আর আমিরের কথাই হত না। আমার জন্য ওদের সংসার ভাঙেনি। বরং ‘লগান’ ছবির সময় আমি অন্য এক জনের সঙ্গে সম্পর্কে ছিলাম। ২০০৪ সালে ফের আমাদের কথাবার্তা শুরু হয়, আমরা সম্পর্কে জড়াই।’’ পাশাপাশি কিরণ এ-ও জানান, বিয়ের আগে দু’জনেই রীতিমতো মনোবিদের কাছে গিয়েছিলেন জুটিতে কাউন্সেলিং করানোর জন্য।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy