কনীনিকা VS মধুমিতা, এগিয়ে কে?

এক জন রক্ষণশীল বাড়ির বউ। ইচ্ছে না থাকলেও বাধ্য হয়েই মেনে নিতে হয় অনেক কিছু। মানিয়ে নিতে হয় প্রতিকূল পরিস্থিত।

আর এক জনও বাড়ির বউ। তবে ডাক্তারি পড়ুয়া বউটি পরিবর্তনের খোলা হাওয়ায় বদলে দিয়েছেন বাড়ির সকলকে। হার না মানা জেদে অটল থেকে শ্বশুরবাড়ির অনেকেরই বহু পুরনো ধারণা ভেঙে দিয়েছেন।

প্রথম জন কনীনিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। থুড়ি ‘পরমেশ্বরী’। ‘অন্দরমহল’ ধারাবাহিকে মুখ্য চরিত্রে অভিনয়ের সুবাদে এখন তাঁকে দর্শক ‘পরমেশ্বরী’ নামেই চেনেন।

আরও পড়ুন, আমরা যে সময় বেড়ে উঠেছি, তখন প্রেমটা এতটা শরীরী ছিল না

আর দ্বিতীয় জন মধুমিতা সরকার। বিয়ের পর অনেকেই তাঁকে মধুমিতা চক্রবর্তী নামে চেনেন। ‘কুসুমদোলা’ ধারাবাহিকের প্রধান চরিত্র ‘ইমন’ এখন তিনি। পর্দার নামে বাস্তবেই তাঁকে ডাকেন দর্শকদের অনেকেই।

আরও পড়ুন, ‘যাঁরা সমালোচনা করছেন তাঁরাই নিয়মিত প্রত্যেকটা এপিসোড দেখছেন’

দু’টি প্রতিদ্বন্দ্বী চ্যানেলের হায়েস্ট টিআরপি-র ধারাবাহিকের দায়িত্ব এখন দুই অভিনেত্রীর কাঁধে। পর্দায় দর্শককে ধরে রাখার চ্যালেঞ্জ তো রয়েইছে। তার বাইরেও তাঁদের মধ্যে লড়াই রয়েছে। সে লড়াই ভার্চুয়াল।

ওপরের গ্রাফটা দেখুন। গুগল ট্রেন্ডে কনীনিকাকে পিছনে ফেলে অনেকটা এগিয়ে গিয়েছেন মধুমিতা। নীল গ্রাফ মধুমিতার রেজাল্ট। আর লাল গ্রাফে বোঝা যাচ্ছে কনীনিকাকে নিয়ে দর্শকদের আগ্রহ। গত এক মাসে পশ্চিমবঙ্গে সার্চের হিসেবে মধুমিতা এগিয়ে। অর্থাত্ সিরিয়ালের ‘ইমন’কে নিয়ে গুগল সার্চ হয়েছে বেশি।

এর কারণ কী?

বেশ কিছু ব্যাখ্যা পাওয়া যাচ্ছে ইন্ডাস্ট্রিতে। যে সিরিয়ালে যখন নাটকীয় মুহূর্ত বেশি তৈরি হয়, তখন সেই সিরিয়ালের অভিনেতা-অভিনেত্রীদের নিয়ে দর্শকদের জানার আগ্রহ বেশি দেখা যায়। গত এক মাসে ‘কুসুমদোলা’র টিআরপি চ্যানেল কর্তৃপক্ষের মুখে হাসি ফুটিয়েছে। আর সম্প্রতি ‘কুসুমদোলা’ ধারাবাহিকটি নিয়ে কিছু বিতর্ক তৈরি হয়েছে। মেয়েদের ওপর গার্হস্থ্য হিংসার ঘটনা দেখাতে গিয়ে এমন কিছু দৃশ্যের অবতারণা করা হয়েছে যা নিয়ে দর্শকদের মধ্যে মতভেদ তৈরি হয়েছে। সে কারণেই হয়তো ভার্চুয়াল রেজাল্টেও এগিয়ে ‘কুসুমদোলা’র ‘ইমন’।

আপনি কি একমত? আপনার বেশি পছন্দ কাকে? জানান আমাদের।