মহাকুম্ভে গিয়ে সন্ন্যাস নিয়েছেন মমতা কুলকার্নি। তবে এক সময়ে বহু বিতর্কে জড়িয়েছে তাঁর নাম। খোলামেলা দৃশ্যে অভিনয় থেকে শুরু করে, মাদকযোগেও জড়িয়েছে তাঁর নাম। এমনকি দাউদ ইব্রাহিমের সঙ্গে যোগ থাকার অভিযোগও উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে। এখানেই শেষ নয়। হরিণের মাংস খাওয়ার অভিজ্ঞতাও রয়েছে তাঁর। সেই ঘটনা কেন্দ্র করে অমিশা পটেলের সঙ্গে বাগ্যুদ্ধেও জড়িয়েছিলেন মমতা।
বলিউডে একটা সময়ে নাকি অনেকের সঙ্গেই রূঢ় আচরণ করতেন মমতা। তাঁর রূঢ় আচরণের শিকার হয়েছিলেন অমিশাও। এই প্রসঙ্গে সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে মুখ খুলেছেন তিনি। মমতা বলেছেন, “আমরা একটা বিজ্ঞাপনের শুটিংয়ের জন্য এক জায়গায় গিয়েছিলাম চার-পাঁচ দিনের জন্য। দিনের বেলা শুটিং হত। রাতে আমরা সকলে একসঙ্গে খাওয়াদাওয়া করতাম। বুফেতে খাবার রাখা থাকত। তবে শুধুই আমিষ খাবার থাকত। কিন্তু সেই খাবার যে কতটা খারাপ, বলে বোঝানো যাবে না।”
খাবারের কথা বলতে গিয়ে মমতা বলেন, “বাধ্য হয়ে আমিষ খাবারই খেয়েছিলাম। কারণ আর কিছু ছিল না। কিন্তু মাংস খেতে গিয়ে দেখি, চিবোনো যাচ্ছে না। আমি সঙ্গে সঙ্গে বলি, ‘জঘন্য খাবার। চিবোতেই পারছি না।’ মিস্টার বজাজ ছিলেন সেখানে। তিনি জানান, এটা নাকি হরিণের মাংস। এই শুনে আমি বলে দিয়েছিলাম, পরের বার থেকে যেন আগেই বলে দেওয়া হয়। কারণ, আমরা মুরগি বা পাঁঠার মাংস ও মাছ খাই। হরিণের মাংস কে খায়!”
কিন্তু এখানেই সমস্যা বাধে অমিশার সঙ্গে। এই সব দেখে অমিশা মন্তব্য করেছিলেন, “এই নায়িকাদের নাটক করার প্রবণতা খানিক বেশিই। এরা তিলকে তাল করতে ওস্তাদ।” এই শুনে তৎক্ষণাৎ মমতার মন্তব্য, “অমিশা তখন নতুন। আমি চিনতামও না। আমি বলেছিলাম, ‘কে এই মেয়েটা! ও কেন নাক গলাচ্ছে? আমি তো ওর সঙ্গে কথাও বলছি না!'” সেই হোটেলের ওয়েটারের সঙ্গেও খাবার নিয়ে তর্কে জড়িয়েছিলেন মমতা।