বিয়ের আগে পলাশ মুচ্ছলের সঙ্গে একাধিক মহিলার পাশাপাশি নাম জড়িয়েছে মেরি ডি’কোস্টা নামে এক মহিলারও। শোনা গিয়েছিল, মেরি নাকি পেশায় কোরিয়োগ্রাফার। মঙ্গলবার থেকে তাঁর ও পলাশের কথোপকথনের ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। হঠাৎ এই স্ক্রিনশটগুলি প্রকাশ করার নেপথ্যে তাঁর উদ্দেশ্য কী? তা নিয়ে মুখ খুললেন সেই মহিলা।
সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর, স্মৃতি মন্ধানা ও পলাশের সঙ্গীত অনুষ্ঠানের নাচের কোরিয়োগ্রাফিও করেছিলেন এই মেরি ডি’কোস্টা। অবশেষে এই সব জল্পনায় মুখ খুলেছেন সেই মহিলা। বিতর্কিত স্ক্রিনশটগুলি প্রকাশ করার পরেই তিনি নিজের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেন। তবে শেষে পুরো ঘটনা নিয়ে একটি পোস্ট করেছিলেন। তাতে মেরি দাবি করেন, তাঁর কোনও অসৎ উদ্দেশ্য ছিল না। সমাজমাধ্যমে অযথাই তাঁকে আক্রমণ করা হচ্ছে।
সেই পোস্টে মেরি জানিয়েছিলেন, পলাশের সঙ্গে হওয়া তাঁর এই কথোপকথন বেশ কয়েক মাস আগের। ২০২৫ সালের মে থেকে জুলাই মাসের মধ্যে কথাবার্তা হয়েছিল। মেরি তাঁর পোস্টে লেখেন, “আমি কখনওই চাইনি আমার পরিচয় প্রকাশ্যে আসুক। মাত্র এক মাস আমাদের কথা হয়েছিল। আমি কখনওই ওর সঙ্গে দেখা করিনি। কোনও কিছুতে জড়াইওনি। আমি ক্রিকেট ভালবাসি। স্মৃতি মন্ধানাকে আমার ভাল লাগে। তাই মনে হয়েছিল, মানুষের এটা জানা দরকার। তাই ওর (পলাশ) এই রূপ প্রকাশ্যে এনেছি।”
আরও পড়ুন:
স্মৃতি-পলাশের বিয়ের আসরে যিনি কোরিয়োগ্রাফার ছিলেন, তিনি সেই ব্যক্তি নন বলেও জানান মেরি। তিনি বলেন,“বিয়ের আসরে উপস্থিত কোরিয়োগ্রাফার মহিলাটি আমি নই। সেই মহিলার সঙ্গেই পলাশ গোপনে সম্পর্ক রাখছিল। ওটা আমি নই।”
স্ক্রিনশট প্রকাশ্যে আনার পর থেকে মেরিকেও কটাক্ষ করা হচ্ছে। অথচ তিনি কখনও দেখাই করেননি পলাশের সঙ্গে। তাই তাঁর আক্ষেপ, “আমি এই কটাক্ষ প্রত্যাশা করিনি। তাই নিজের অ্যাকাউন্টকে ব্যক্তিগত করে রেখেছি। কথোপকথন পড়ে বোঝাই যাচ্ছিল, আমার কোনও দোষ নেই। বরং আমিই কোনও কথা বাড়াইনি। দয়া করে আমাকে আক্রমণ করবেন না। আমি আর এ সব নিতে পারছি না। যা হচ্ছে, তার কোনওটাই আমি চাইনি।”
স্মৃতি মন্ধানার কোনও ক্ষতি করতে চাননি মেরি। তাই তিনি লেখেন, “আমি কোনও মহিলার সঙ্গে খারাপ করতে পারব না। সে মহিলা খ্যাতনামা হোন বা না হোন। আমি সত্যিই ভাবিনি আমাকে এ সব সইতে হবে।”