নীল বিকিনি ঝড় তুলেছে বাঙালি দর্শকদের বুকে! পঞ্চমী থেকে বড়পর্দা মাতাচ্ছেন তিনি। ‘আমার চোখের নীলে, সেই তুমি ডুব দিলে’! সমুদ্রপাড়ে ‘রক্তবীজ ২’-এর পুলিশ অফিসার ‘সংযুক্তা’ মিমি চক্রবর্তীর এই অমোঘ আকর্ষণ এড়ানো যায়? পর্দার বাইরে সেই নায়িকারই ভিন্নরূপ। পর্দার আর বাস্তবের মিমির মধ্যে বিস্তর ফারাক। এই মিমি সংযত, ঈশ্বরভক্ত। নিষ্ঠার সঙ্গে দেবীর আরাধনায় মগ্ন।
অষ্টমীতে চওড়া লালপাড়ের হলুদ রঙের কাঞ্চিভরম সিল্ক। ঘাড়ের কাছে হাতখোঁপা। পোশাকের সঙ্গে মানানসই সোনার গয়নায় সেজে পুজোপ্রাঙ্গনে এসে দাঁড়াতেই চার দিক আলো! কোমরে আঁচল গুঁজে নিজেই নেমে পড়লেন পুজোর জোগাড়ে! কখনও পুজোর মঞ্চে, দেবীকে উৎসর্গ করা সমস্ত আয়োজন গঙ্গাজল ছড়িয়ে শুদ্ধ করছেন। কখনও পুজোর থালা গোছাচ্ছেন। এ ভাবেই তিনি আবাসনের পুজোর সঙ্গে প্রত্যক্ষ ভাবে জড়িয়ে।
আবাসনের পুজোর কাজে ব্যস্ত মিমি চক্রবর্তী। ছবি: ফেসবুক।
পুজোর দিনগুলো কী ভাবে কাটছে মিমির? আপ্তসহায়ক রুদ্রদীপের কাছে প্রশ্ন ছিল আনন্দবাজার ডট কম-এর। তিনি জানিয়েছেন, পুজোর সময়টুকু ছাড়া নিজের বাড়িতেই সময় কাটাতে ভালবাসেন তিনি। কাছের কিছু বন্ধু যেমন, পোশাকপরিকল্পক অভিষেক রায়, অভিনেতা অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়-সহ বেশ কিছু জনের সঙ্গে আড্ডা দেন। সারা বছর শুটিংয়ে ব্যস্ত থাকেন। তাই পুজোর সময় পরিবারকেও বেশি করে সময় দেন নায়িকা।
আর পুজোর ছবির প্রচার? এ বছর তাঁর ‘রক্তবীজ ২’ ভালই ব্যবসা করছে। রুদ্রদীপের কথায়, “দিদি আর প্রচারে বেরোচ্ছেন না। তিনি নিজের সমাজমাধ্যমে ছবির প্রচার সারছেন।”