আরজি কর-কাণ্ড নিয়ে সারা দেশ যখন উত্তাল, তখনই সমাজমাধ্যমে ধর্ষণের হুমকি পান মিমি চক্রবর্তী। সমাজমাধ্যমে পাল্টা প্রতিবাদের পাশাপাশি তিনি যে আইনি পদক্ষেপ করেছেন, সে কথা আনন্দবাজার অনলাইনকে জানিয়েছিলেন প্রাক্তন সাংসদ ও নায়িকা। এ বার সমাজমাধ্যমে পর পর দুটো পোস্ট করে জানালেন, অপরাধ দমন শাখার সহায়তায় তিনি এফআইআর দায়ের করেছেন। যথাযথ পদক্ষেপ করা হচ্ছে। পাশাপাশি, এই ধরনের হুমকি যাঁরা পাচ্ছেন তাঁদের একজোট হয়ে প্রতিবাদের পরামর্শ দিয়েছেন মিমি।
১৪ অগস্ট মধ্যরাতে তরুণী চিকিৎসকের সঙ্গে ঘটা নারকীয় ঘটনার প্রতিবাদে পথে নামেন মিমি। তার এক সপ্তাহের মধ্যে এক নেটাগরিক তাঁকে লেখেন, “এই ঘটনা মিমির সঙ্গে ঘটলে কী হত? মিমির পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা দিত নাকি? তা হলে মিমি আমার ঘরে এলে ১০ লক্ষ ক্ষতিপূরণ দেব।” এর পরেই অভিনেত্রীর হয়ে সমাজমাধ্যমে ক্ষোভ উগরে দেন তাঁর অনুরাগীরা। তাঁরা তাঁকে আইনি পদক্ষেপ করার পরামর্শও দেন।
আরও পড়ুন:
মিমি কি সেই পথে হাঁটলেন? তাঁর কী বক্তব্য? প্রশ্ন ছিল টলিপাড়া থেকে জনসাধারণের। মিমির লিখেছেন, “ইতিমধ্যেই অপরাধ দমন শাখার হস্তক্ষেপে অ্যাকাউন্টগুলি সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। নিষ্ক্রিয়ও করে দেওয়া হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত মূল দুই অভিযুক্তকে খুঁজছে পুলিশ। যদিও ইতিমধ্যেই তারা সমস্ত মন্তব্য মুছে সমাজমাধ্যম থেকে উধাও হয়ে গিয়েছে।”
কুরুচিকর মন্তব্য পাওয়ার পর ‘ব্যক্তি’ মিমি কি আগামী দিনে এ ভাবেই প্রতিবাদে শামিল হবেন? এই প্রশ্নও ছিল অনেকের। “আমার মতো এই ধরনের পরিস্থিতির সম্মুখীন যাঁরা, তাঁরাও এগিয়ে আসুন। আমরা সবাই এক কণ্ঠে, এক লড়াইয়ে একসঙ্গে আছি।”(মিমি চক্রবর্তীর সমস্ত বক্তব্য অপরিবর্তিত রাখা হল।)