সম্পর্কের নতুন একটি দিক উন্মোচন করতে চলেছেন মৈনাক ভৌমিক। যেখানেই মা-মাসি, সেখানেই সোহাগ-শাসনের যুগলবন্দি। থাকবে ঠাকুমা-দিদিমার প্রশ্রয়ও। সমস্ত অনুভূতি একটি ছবিতে ভরে পরিচালকের গরমের ছুটির উপহার ‘মিনি’। দুই মুখ্য চরিত্রে মিমি চক্রবর্তী, অয়ন্না চট্টোপাধ্যায়।
মাসি হয়ে কেমন লাগল মিমির?
মায়ের চেয়ে মাসির দরদ বেশি? মায়ের জায়গা অন্য কেউ পূরণ করতে গেলে এ কথা হামেশাই শুনতে হয়! কিন্তু একুশ শতকে মাসি কি সত্যিই মায়ের পরিপূরক হয়ে উঠতে পারে? এমনই বিষয়বস্তু নিয়ে সম্পর্কের নতুন একটি দিক উন্মোচন করতে চলেছেন মৈনাক ভৌমিক। যেখানেই মা-মাসি, সেখানেই সোহাগ-শাসনের যুগলবন্দি। থাকবে ঠাকুমা-দিদিমার প্রশ্রয়ও। সমস্ত অনুভূতি একটি ছবিতে ভরে পরিচালকের গরমের ছুটির উপহার ‘মিনি’। টলিউডের দাবি, ছবির কলাকুশলী এবং সংবাদমাধ্যমের দেখা আগেই ফাঁস হয়ে গিয়েছে ছবির ঝলক। এ বার দক্ষিণ কলকাতার প্রথম সারির একটি মলে শুক্রবার আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রকাশ্যে এল ছবির ঝলক।
গুঞ্জনে সিলমোহর দিয়েছেন স্বয়ং পরিচালক। জানিয়েছেন, দুই অভিনেত্রীর সঙ্গে খুনসুটির লোভ সামলাতে পারেননি। তাই এই কাণ্ড ঘটিয়ে ফেলেছেন। ঝলকের হাত ধরেই গরমের সন্ধেয় দমকা হাওয়ার মতো উপস্থিত মাসি-বোনঝির রসায়ন। সেই দুই মুখ্য চরিত্রে মিমি চক্রবর্তী, অয়ন্না চট্টোপাধ্যায়। সঙ্গে রয়েছেন মিঠু চক্রবর্তী, কমলিনী বন্দ্যোপাধ্যায়, সপ্তর্ষি মৌলিক, রুদ্রজিৎ মুখোপাধ্যায় প্রমুখ। গানে স্যাভি, রণজয় ভট্টাচার্য, মৈনাক মজুমদার। গেয়েছেন সোমলতা আচার্য, লগ্নজিতা চক্রবর্তী, সায়নী মজুমদার, সুনিধি নায়েকও।
ঝলকের ছোট্ট ছোট্ট দৃশ্য বলছে, অভিনয় করতে করতে মিমি যেন অয়ন্নার মাসি-ই হয়ে উঠেছেন। এত নিখুঁত অনুভূতি ফোটাতে বিস্তর প্রস্তুতি নিতে হয়েছে? অভিনেত্রীর দাবি, ‘‘পর্দার আগেই বাস্তবে মাসি হয়ে গিয়েছি। আমারও বোনঝি আছে। যদিও সে অয়ন্নার বয়সী নয়। অনেক ছোট। কিন্তু আমার ভূমিকা তার জন্য তো বদলায়নি! ফলে, মহড়া, চর্চা ছাড়াই ‘মিনি’তে মিমি চক্রবর্তী ১০০ শতাংশ ‘মাসি।’’ যে মাসি ম্যাগি পুড়িয়ে ফেলে বোনঝির খেতে কষ্ট হবে ভেবে মুখ কালো করে বসে থাকে। যে মাসির প্রথম ডেটে বোনঝি বন্ধুর মতো পরামর্শ দেয়, সে পরে কাবাব মে হাড্ডি হবে। প্রথম দিন একান্তই তার মাসির আর তার হবু মেসোর!
বাস্তবে সত্যিই কি মায়ের চেয়ে মাসির দরদ বেশি হয়? আনন্দবাজার অনলাইন প্রশ্ন রেখেছিল মৈনাকের কাছে। তাঁর কথায়, ‘‘দরদ বেশি হয় কিনা জানা নেই, তবে বন্ধুত্ব যে বেশি হয়ে যায়, সেটাই দেখাবে ‘মিনি’। কারণ, মায়ের ঘাড়ে সব সময়েই শুধু শাসনের দায়। ছবি আরও বলবে, মা আর মাসির মাঝে পড়ে গিয়ে মিমির মতো মেয়েরা কতটা অসহায়। বিশেষ করে যে সব মেয়েরা সন্তান ধারণের আগে না চাইতেই জোর করে মা হয়ে উঠতে বাধ্য হন।’’ শেষ পর্যন্ত মিমি কি তাঁর পর্দার বোনঝির পুরোপুরি মা হয়ে উঠবেন? পরিচালকের দাবি, তার জন্য ৬ মে প্রেক্ষাগৃহে আসতে হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy