Advertisement
১৬ এপ্রিল ২০২৪
Mimi Chakraborty

একমাত্র ছেলে চিকুকে হারালেন সাংসদ মিমি, হাহাকার ‘সব কষ্টের শেষ, এবার শান্তিতে থাক’

পোষ্য অসুস্থ হয়ে পড়ার পর থেকেই শহরের নানা চিকিৎসকের কাছে ছোটাছুটি করেছেন মিমি। আশার আলো না দেখতে পেয়ে অবশেষে তাকে চেন্নাইয়ে নিয়ে যান।

মিমির সঙ্গে চিকু।

মিমির সঙ্গে চিকু।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৭ এপ্রিল ২০২১ ২০:৩৭
Share: Save:

যুদ্ধ শেষ। মারণ রোগের সঙ্গে লড়তে লড়তে চির ঘুমের দেশে মিমি চক্রবর্তীর সন্তানসম পোষ্য চিকু। শনিবার ‘ছেলে’কে কবর দিয়ে এসে নেটমাধ্যমে হাহাকার সাংসদ-তারকার, ‘সব কষ্টের শেষ, এবার শান্তিতে থাক।’ ছেড়ে গিয়েও যেন চিকু রয়ে গিয়েছে মিমির মনে। তাঁর ইনস্টাগ্রামে ছবি হয়ে। তাঁর কবরের ছবিও শেয়ার করেছেন তিনি। ফুল ও মালায় সাজানো। ধূপ, মোমবাতি জ্বালানো সেখানে। ক্যাপশনে মিমির দাবি, ‘তুই চলে গেলি। আমার একটা অংশ যেন চলে গেল’। প্রতিজ্ঞা, আজীবন চিকুকে এ ভাবেই ভালবাসবেন তিনি।

খবরটি নেটমাধ্যমে পোস্ট করার সঙ্গে সঙ্গে ঝড়ের গতিতে ছড়িয়ে গিয়েছে সেটি। মিমির পোষ্য হারানোর শোক ছুঁয়ে গিয়েছে অনুরাগীদেরও। অভিনেত্রীর সমব্যথী ৩৪ হাজারেরও বেশি নেটাগরিক। জনৈকের মন্তব্য, ‘খবরটি পড়ে থমকে গেলাম। বড্ড ধাক্কা খেয়েছি। আমি এবং আমার পরিবার ভুক্তভোগী। সাড়ে ৬ বছর আগে আমাদের পোষ্য এ ভাবেই আমাদের ছেড়ে চলে গিয়েছে। আশা, এই শোক ধীরে ধীরে আপনি কাটিয়ে উঠবেন’। আর এক নেটাগরিক চিকুর ছবির কথা উল্লেখ করেছেন, ‘ছবিতে আমি ওর চোখ দুটো দেখছি। কী জীবন্ত! আমিও পশুপ্রেমী। তাই এই কষ্ট আমিও নিতে পারছি না’। কারও প্রার্থনা, চিকু যেন মিমির কাছে অন্য রূপে ফিরে আসে।

কিছু দিন আগেই ক্যান্সার আক্রান্ত চিকু চিকিৎসা করিয়ে আসে চেন্নাই থেকে। পোষ্য অসুস্থ হয়ে পড়ার পর থেকেই শহরের নানা চিকিৎসকের কাছে ছোটাছুটি করেছেন মিমি। আশার আলো না দেখতে পেয়ে অবশেষে তাকে চেন্নাইয়ে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। সেখান থেকে ফেরার পরে কিছু দিন ভালই ছিল চিকু। এ কথা নেটমাধ্যমে জানিয়েছিলেন সাংসদ-অভিনেত্রী স্বয়ং।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Tollywood Actress Mimi Chakraborty
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE