Advertisement
E-Paper

গিরিশের চোখে বিনোদিনী ছিলেন বারবণিতা, সোনার ডিম পাড়া হাঁস! কেন এ কথা বললেন ব্রাত্য বসু?

তিনি নটীকে ব্যবহার করেছিলেন। স্ত্রীর মৃত্যুর পর বন্ধুদের নিয়ে গিয়ে মদ্যপানের আসর বসাতেন। নিরুপায় বিনোদিনীও বোধহয় বাধ্য হয়েই মেনে নিতেন।

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৯ জুন ২০২৫ ০৯:১২
গিরিশ ঘোষ-নটী বিনোদিনী নিয়ে বললেন মন্ত্রী ব্রাত্য বসু।

গিরিশ ঘোষ-নটী বিনোদিনী নিয়ে বললেন মন্ত্রী ব্রাত্য বসু। ছবি: সংগৃহীত।

গিরিশ ঘোষের সঙ্গে নটী বিনোদিনীর সম্পর্ক কেমন ছিল? শুধুই কি গুরু-শিষ্যার? না কি অন্য কিছু?

সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের ‘লহ গৌরাঙ্গের নাম রে’ ছবিতে ‘গিরিশ ঘোষ’ হচ্ছেন মন্ত্রী ব্রাত্য বসু। প্রযোজক রানা সরকার এবং পরিচালকের পছন্দেই তিনি এই গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে। নিজের অভিনীত চরিত্রের কথা বলতে গিয়ে ছবির অন্যতম দুই গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রের উপর আলো ফেললেন অভিনেতা-মন্ত্রী। আনন্দবাজার ডট কমকে বললেন, “বিনোদিনী গিরিশ ঘোষকে শিক্ষকের আসনেই বসিয়েছিলেন। গিরিশ কিন্তু বরাবর তাঁকে বারবণিতা হিসাবেই দেখেছেন। তাঁর কাছে নটী সোনার ডিম পাড়া হাঁস!” ব্রাত্যের মতে, বিনোদিনীর অভিনয় প্রতিভাকে অবশ্যই স্বীকৃতি দিয়েছিলেন গিরিশ। কারণ, তিনিই ছিলেন মঞ্চের প্রথম ‘স্টার’। যাঁর নামে নাটকের টিকিট বিক্রি হত। কিন্তু কোনও দিন সম্মান করেননি।

সদ্য শুরু হয়েছে ছবির শুটিং। মঙ্গলবার মিনার্ভা থিয়েটারে গুরুত্বপূর্ণ বেশ কিছু দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি করলেন পরিচালক। ইতিহাস-আশ্রিত ছবির শুটিংয়ের একমাত্র সাক্ষী আনন্দবাজার ডট কম। সেখানেই চরিত্র নিয়ে, নিজের অভিনয় নিয়ে নিজের নানা ভাবনা তুলে ধরলেন ব্রাত্য। চরিত্র হয়ে ওঠার আগে পড়াশোনা করতে হয়েছে তাঁকে। জানতে পেরেছেন, “বিনোদিনীকে নানা ভাবে ব্যবহার করেছেন নাট্যাচার্য। তাঁর প্রথম স্ত্রী প্রমোদিনীর মৃত্যুর পর নিজেকে দায়ী করেছিলেন গিরিশ। তিনি হোমিয়োপ্যাথি চিকিৎসা করতেন। তাঁর দেওয়া ওষুধ খেয়ে মারা গিয়েছিলেন স্ত্রী। ফলে, হতাশা কাটাতে বন্ধুদের নিয়ে বিনোদিনীর বাড়িতে মদের আসর বসাতেন।” বিনোদিনীও হয়তো পরিস্থিতির চাপে পড়ে মেনে নিতে বাধ্য হয়েছিলেন সে সব।

গিরিশ ঘোষ-রূপী ব্রাত্য বসু।

গিরিশ ঘোষ-রূপী ব্রাত্য বসু। ছবি: সংগৃহীত।

খবর, তিনটি সময়কাল ধরে শ্রীচৈতন্যদেবকে পর্দায় ধরতে চলেছেন সৃজিত। বর্তমান সময়ের সঙ্গে যুগপুরুষকে কী ভাবে মেলাচ্ছেন? প্রশ্ন ছিল ব্রাত্যের কাছে। তিনি জানিয়েছেন, চৈতন্যদেবের সময়কালের পাশাপাশি তাঁর পরবর্তী সময়টাও দেখানো হবে। এখনকার সময়ও উঠে আসবে ছবির ভিতরে ছবির মাধ্যমে। সেই অনুযায়ী তখন এবং এখনকার শ্রীচৈতন্যদেবের ভূমিকায় দুই অভিনেতাকে দেখা যাবে। “গিরিশ ঘোষ একবারই আসবেন”, বললেন ব্রাত্য। রাজনীতির পাশাপাশি অভিনয়েও সমান মনোযোগী তিনি। তিনি অভিনেতা, এটাই তাঁর প্রথম পরিচয়। মন্ত্রিত্বের পাশাপাশি অভিনয়কে কী করে সামলান? “শুধুই অভিনয় নয়, পরিচালনাও করছি। অভিনয় ভালবাসি। মঞ্চ থেকে উঠে এসেছি। তাই হয়তো মন্ত্রিত্বের দায়িত্ব সামলানোর পাশাপাশি অভিনয়কেও ধরে রাখতে পেরেছি।”

Girish Ghosh Noti Binodini Srijit Mukherji Bratya Basu Laho Gouranger Naam Re Rana Sarkar
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy