ভাষা মুখোপাধ্যায়।
বিউটি কুইনের ক্রাউন ছেড়ে এ বার স্টেথোস্কোপ নিয়ে করোনা যুদ্ধে সরাসরি ময়দানে নামছেন ২০১৯-এর মিস ইংল্যান্ড ভাষা মুখোপাধ্যায়। ইদানীং কলকাতায় ব্রিটিশ হাইকমিশনের সঙ্গে সামাজিক কাজে যুক্ত ছিলেন তিনি। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানাচ্ছে, মার্চের শুরুতে মিস ইংল্যান্ড তার জন্মস্থান ভারতে দাতব্য প্রতিষ্ঠান কভেন্ট্রি মার্সিয়া লায়ন্স ক্লাবের আমন্ত্রণে চার সপ্তাহের জন্য এসেছিলেন। এখানে স্কুল শিক্ষার্থীদের সচেতন করে তুলতে ও প্রতিবন্ধীদের সাহায্যে কাজ করছিলেন তিনি। প্রসঙ্গত, ভাষার আর এক পরিচয়, তিনি চিকিৎসক। নটিংহ্যাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চিকিৎসা বিজ্ঞানে স্নাতক এই বঙ্গতনয়া।
ইংল্যান্ডে করোনা আক্রান্তদের সংখ্যাবৃদ্ধি দেখে তিনি আর স্থির থাকতে পারেননি। করোনার মোকাবিলায় ফিরে যাচ্ছেন তাঁর পুরনো কাজের জায়গায়। ভাষা সংবাদসংস্থা সিএনএন-কে জানিয়েছেন, “মিস ইংল্যান্ড শিরোপা নিয়ে এই সময় আমার ইংল্যান্ডের পাশে থাকাই সবচেয়ে জরুরি। একজন ডাক্তার হিসেবে আমার এখন পিলগ্রিম হাসপাতালে কাজ করা উচিত। আমি আমার সহকর্মীদের কাছে ওই অঞ্চলের খবর নিয়মিত শুনছি। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আমি কাজে যোগ দিতে চাই।"
গত বুধবার ইংল্যান্ডে ফিরেছেন তিনি। ফিরে যদিও সরাসরি কাজে যোগ দিতে পারেননি। নিয়ম মেনে তাঁকেও সপ্তাহ দুয়েক গৃহবন্দি থাকতে হচ্ছে। তারপর তিনি কাজে যোগ দেবেন বলে জানিয়েছেন ভাষা। উল্লেখ্য, বোস্টনের এই হাসপাতালেই জুনিয়র চিকিৎসক পদে চাকরি করতেন চিকিৎসা বিষয়ে দুটি পৃথক ডিগ্রিধারী ভাষা।
আরও পড়ুন: তালিকায় ত্রিপুরা, দেশে করোনা আক্রান্ত বেড়ে ৪৪২১, মৃত্যু ১১৪
আরও পড়ুন: সঙ্কটজনক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন, সরানো হল আইসিইউতে
ভারতীয় বংশোদ্ভূত এই বাঙালি তরুণী ভাষা মুখোপাধ্যায় ২০১৯ সালের মিস ইংল্যান্ড প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার জন্য চিকিৎসা পেশা ছেড়েছিলেন। সে বছর প্রতিযোগিতায় সেরা নির্বাচিত হওয়ার পর মডেলিং-এ যোগ দেন তিনি। তবে এবার করোনাভাইরাসের মোকাবিলায় পুরনো পেশায় ফিরে যাচ্ছেন তিনি। ভাষা আরও জানান, ভারতে লকডাউনের জেরে তিনি আটকে পড়েছেন। ফিরিয়ে নিয়ে যেতে ব্রিটিশ সরকারের কাছে আর্জি জানিয়েছেন তিনি। ইংল্যান্ডের যে হাসপাতালে ভাষা কর্মরত ছিলেন, সেখান থেকেও তাঁর ডাক আসে। তরুণী জানান, “এই সময়ে যদি দেশের কাজে না লাগতে পারি, তবে চিকিৎসকের ডিগ্রি আর কবে কাজে লাগবে?’’
ইংল্যান্ডে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির দিন দিন অবনতি হচ্ছে। দেশে এ পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ৪৮ হাজার ও মৃতের সংখ্যা পাঁচ হাজার ছাড়িয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে ভাষার মতো সেলিব্রিটির চিকিৎসা পেশায় প্রত্যাবর্তন নিঃসন্দেহে সে দেশের মানুষকে প্রেরণা যোগাবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy