মায়ের সঙ্গে সেলেবরা।
সোশ্যাল মিডিয়ায় আজ শুধুই মায়েদের ভিড়। সেলেব থেকে সাধারণ সবাই আজ খানিক ইমোশনাল। একের পর এক পোস্ট করে যাচ্ছেন ছোটবেলার স্মৃতির টুকরো। আবার কেউ বা অতীতের পাতা খুলে হাতড়ে বেড়াচ্ছেন না ফিরে পাওয়া দিনগুলি ।
আজ বিশ্ব মাতৃত্ব দিবস। মা’দের ‘ভালবাসি’ বলার দিন। প্রশ্ন উঠতেই পারে মা’কে ভালবাসার এমন নির্দিষ্ট দিন হয় নাকি? মা’ তো মা-ই হয়। পাল্টা যুক্তি দেখিয়ে একদল বলছেন “শেষ কবে মা’কে জড়িয়ে ভালবাসি বলেছেন মনে পড়ে”?
নেটাগরিকদের পাশপাশি সকাল থেকেই সেলেবরাও একের পর এক ছবি পোস্ট করছেন তাঁদের মায়ের সঙ্গে। কেউ কেউ শেয়ার করে নিচ্ছেন ছোটবেলার নানা মজার মুহূর্ত। স্মৃতির সরণিতে সিক্ত হতে হতে আবেগে ভাসছেন তাঁরা। তারকা নন, আজ তাঁরা শুধুই ‘মায়ের সন্তান’।
নুসরত জাহান
নুসরত যেমন ছোটবেলার ছবি শেয়ার করেছেন ইনস্টাগ্রামে। নিজের হাতে ভাত মেখে ছোট্ট নুসরতকে খাইয়ে দিচ্ছেন মা। আর এক ছবিতে আবার ঘোড়ার পিঠে মায়ের সঙ্গে ঘুরছেন বসিরহাটের সাংসদের। “তোমার কাছে মার খেয়েছি বলেই মানুষ হতে পেরেছি”, ছবি শেয়ার করে নিজেই বলছেন নুসরত। ভাবা যায়, সুন্দরী গ্ল্যামারাস নায়িকা-সাংসদকেও নাকি ছোটবেলায় মায়ের হাতে বেদম পিটুনি খেতে হয়েছে কখনও-সখনও।
মিমি চক্রবর্তী
মিমিও আজ ফিরে গিয়েছিলেন ছোটবেলার দিনে। এখন-তখন ছবি শেয়ার করেছেন তিনি। অর্থাৎ কিনা মায়ের সঙ্গে ছোটবেলার ছবি এবং মায়ের সঙ্গে এখনকার ছবি। দু’টি ছবিতেই মেয়েকে জড়িয়ে ধরে আছেন মা। কী মায়া সেই ছোঁয়ায়।
রুক্মিণী মৈত্র
না, মায়ের সঙ্গে ছবি শেয়ার করেননি রুক্মিণী। কিন্তু দুনিয়ার সমস্ত মায়েদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তিনি। রুক্মিণীর মতে একজন সন্তানের কাছে তাঁর মা-ই ‘ভেরি ফার্স্ট হিরো’।
ঐন্দ্রিলা সেন
বরাবরই মায়ের আদুরে তিনি। লকডাউনে মায়ের সঙ্গে আপাতত তিনি রয়েছেন বয়ফ্রেন্ড অঙ্কুশের বাড়িতে। ঐন্দ্রিলা আবার শেয়ার করেছেন ভিডিয়ো। ভোরে উঠেছে ঐন্দ্রিলা এবং তাঁর মায়ের একসঙ্গে কাটানো নানা মুহূর্তের টুকরো ছবি।
প্রিয়ঙ্কা সরকার
তিনিও মা। লকডাউনে ছেলে সহজকে নিয়ে তাঁর দিন কাটছে। কিন্তু আজ প্রিয়ঙ্কা হয়ে গিয়েছেন সেই ছোট্ট মেয়েটি। শেয়ার করেছেন মায়ের সঙ্গে সিঁদুরখেলার ছবি।
মধুমিতা সরকার
মায়ের সঙ্গে ছবি শেয়ার করেছেন মধুমিতা সরকারও। মায়ের মুখ যেন বসানো। তাঁদের সেই ছবি দেখে কমেন্টের পাহাড় জমিয়েছেন অনুরাগীরা।
মানালি মনীষা দে
মা’কে হারিয়েছেন বেশ কিছু বছর আগে। তিনি আজ আবেগঘন। মন ভারাক্রান্ত। মানালির মায়ের নাম ছিল মনীষা। মা’মারা যাওয়ার পর সেই নামকেই নিজের নামের সঙ্গে জুড়ে দিয়েছেন তিনি। মানালি লিখছেন, “একটা বয়সের পর মা’কে জড়িয়ে ধরা হয় না। আজ না হয় সবাই মা’কে জড়িয়ে ধরে হ্যাপি মাদারস ডে বলব”।
শুধু নায়িকারাই নন, নায়করা পিছিয়ে নেই কোনও অংশে। প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় থেকে অঙ্কুশ হাজরা, যশ দাশগুপ্ত এই বিশেষ দিনে সবাই মনে করছেন মা’কে। পোস্ট করছেন নানা অদেখা ছবি। প্রসেনজিৎ যেমন সাদা-কালোতে একটি ছবি শেয়ার করে লিখেছেন, “জীবনযুদ্ধে প্রথম নামার সময় যাঁর সস্নেহ হাত দু’টো আমার সঙ্গে ছিল”।
এমনিতে অঙ্কুশ মাঝে মাঝেই মায়ের সঙ্গে মজার ভিডিয়ো পোস্ট করতে থাকেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। দিন কয়েক আগে সরাসরি বলেই দিয়েছিলেন,
“আমার মা-ই আমার সবচেয়ে বড় শত্রু”। মা-ছেলের ঝগড়া হয়নি মোটেও। ছেলে জিম করে আসার পর মা’ তাঁর সামনে তুলে ধরেছিল গরমগরম লুচি-মাংস। মায়ের হাতের রান্নার লোভ সামলান যায়। তাই কার্ডিওতে ঝরানো মেদ পুনরায় ইনটেক করতে হয়েছিল তাঁকে।
মা-দিবসের রেশ ছড়িয়ে গিয়েছে সুদূর মুম্বই নগরীতেও। অমিতাভ বচ্চন থেকে অক্ষয় কুমার, সারা আলি খান থেকে সোনম কপূর মায়ের সঙ্গে কাটানো মুহূর্ত পোস্ট করেছেন তাঁরাও। স্টারডমের মুখোশ নেই, নেই চকমকে জামাকাপড়। ঠিক যেন ‘আমার আপনার ঘরের সন্তান’। এই কিছু বিশেষ দিনে তারারাও নেমে আসেন মাটির কাছাকাছি। বুঝিয়ে দেন সেলেব বা সাধারণ যাই হন না কেন, মায়ের প্রতি অনুভূতি সকলেরই সমান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy