আরও পড়ুন: ‘আমি ভাগ্যবান #মিটু ফেস করিনি, কিন্তু কেন ভাগ্যবান বলব বলুন তো?’
আরও পড়ুন: খোয়াজার ১০৪, ফিঞ্চের ৯৩, সিরিজ জিততে ভারতের চাই ৩১৪ রান
মধ্যবিত্ত বাড়ির এক বউমা কনীনিকা। সারাজীবন ঘরের বাইরে পা রাখতে চেয়েছিলেন তিনি। চেয়েছিলেন একটু স্বাধীনতা। ঠিক যেমন, তার শাশুড়িও চেয়েছিলেন এক দিন। কিন্তু পাননি। আর সেই না পাওয়ার শূন্যতা ঢেলে দেন বউয়ের সুখে। সংসারে অশান্তি নামে। বাড়ে দূরত্ব। ছোট ছোট খিটিমিটি লেগেই থাকে। এমনকি, নিজের স্বাধীন আকাশে অন্য পুরুষ এসে ধরা দেন। অশান্তির পাহাড় কালো হয়ে আসে। শেষে কী ভাবে সমাধান খুজে নেবেন বউমা? সে পথেই কি সমাধান হতে পারে আজকের পারিবারিক সমস্যার?
পরিচালনা: পৃথা চক্রবর্তী
অভিনয়: কনীনিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, বিশ্বনাথ বসু, অনসূয়া মজুমদার, ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত, বাদশা মৈত্র
প্রশ্নগুলো সহজ। আর উত্তরটাও। এ ছবি সরল ভাবে আর এক বার সেটাই মনে করিয়ে দেয়। বলে, বন্ধুত্বই পারে সব বিবাদ মেটাতে। মেয়েরা একটু যদি মেয়েদের বন্ধু হয়, মুছে যেতে পারে শতাব্দীর যত না-পাওয়া। এখানেই ভাল লাগে এ ছবি। অসামান্য না হলেও, মনে হয়, সপরিবার দেখা যেতে পারে। তাতে যদি মিটে যায় বিবাদগুলো, খুলে যায় প্যাঁচপয়জার!
ভাল লাগে কনীনিকা, বিশ্বনাথের অভিনয়। তাঁদের অভিনয় আখ্যানকে সাবলীল ভাবে এগিয়ে নিয়ে যায়। ছবির শেষে অতিথি অভিনেতা হিসেবে ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তকে মঞ্চে দেখতেও ভাল লাগে। সেই মঞ্চেই শাশুড়ি ও বউমা মন খুলে কথা বললেন। বড় সুন্দর এই মুহূর্ত।
সত্যিই কি নারী দিবসে নারীদের এই ছবি কোনও মুক্তির কথা বলবে? হয়তো হ্যাঁ, বা না। তবু এ ছবির মতোই যদি আমরা হিংসার বদলে একটু বন্ধু হতে পারি, তা হলে, বাড়ি থেকে সমাজ, অন্য রকম হতে পারে সব কিছুই।
(মুভি ট্রেলারথেকে টাটকা মুভি রিভিউ - রুপোলি পর্দার সব খবর জানতে পড়ুন আমাদের বিনোদন বিভাগ।)