Advertisement
E-Paper

মুভি রিভিউ ‘মুখার্জীদার বউ’: এ ছবি শেখাল, বন্ধুত্বই পারে সব বিবাদ মেটাতে

‘মুখার্জীদার বউ’ ছবিটি দেখতে দেখতে এ সব কথাই মনে হচ্ছিল। মনে পড়ছিল, ছেলেবেলা থেকে দেখে আসা বাড়ির মা-দিদিদের।

দেবর্ষি বন্দ্যোপাধ্যায়

শেষ আপডেট: ০৮ মার্চ ২০১৯ ১৯:০৯
‘মুখার্জিদার বউ’ সিনেমায় অনসূয়া মজুমদার ও কণীনিকা বন্দ্যোপাধ্যায়।

‘মুখার্জিদার বউ’ সিনেমায় অনসূয়া মজুমদার ও কণীনিকা বন্দ্যোপাধ্যায়।

নারী তুমি অর্ধেক আকাশ। এই সাবেক প্রবাদের আড়ালে যুগ যুগ ধরে চেপে রাখা হয়েছে মেয়েদের। রবিঠাকুর লিখেছিলেন, মেয়েরা কয়লাখনির মত। চাপা শক্তি একদিন বেরিয়ে আসবে তাই। আর তা এতাবৎকালের অসাম্যকে ধুয়ে মুছে দেবে। ‘মেলাবেন তিনি মেলাবেন’।

‘মুখার্জীদার বউ’ ছবিটি দেখতে দেখতে এ সব কথাই মনে হচ্ছিল। মনে পড়ছিল, ছেলেবেলা থেকে দেখে আসা বাড়ির মা-দিদিদের। তারা তো সবাই আসলে ‘মেঘে ঢাকা তারা’র নীতা। তারা তো গুমরে গুমরে আজন্ম বলে গেলেন, দাদা, আমি বাঁচতে চেয়েছিলাম। আমি বাচতে চাই।

কেমন এই ছবি? ভীষণ অভিনব কিছুই মনে হল না দেখে। দুনিয়ায় নারী স্বাধীনতা নিয়ে যে সাম্প্রতিক ছবি হচ্ছে, তার তুলনায় অনেকটাই সাদামাটা এর বয়ান। কিন্তু তা বলে সান্ধ্যবিনোদন সিরিয়ালের রোজনামচা থেকেও অনেকটা আলাদা। উইন্ডোজ প্রযোজিত ছবির মতোই মধ্যবিত্তের সরল জীবনের হাসিকান্না। তবু, কোথাও ছুয়ে যায় যেন, আড়ালে।

আরও পড়ুন: ‘আমি ভাগ্যবান #মিটু ফেস করিনি, কিন্তু কেন ভাগ্যবান বলব বলুন তো?’

আরও পড়ুন: খোয়াজার ১০৪, ফিঞ্চের ৯৩, সিরিজ জিততে ভারতের চাই ৩১৪ রান

মধ্যবিত্ত বাড়ির এক বউমা কনীনিকা। সারাজীবন ঘরের বাইরে পা রাখতে চেয়েছিলেন তিনি। চেয়েছিলেন একটু স্বাধীনতা। ঠিক যেমন, তার শাশুড়িও চেয়েছিলেন এক দিন। কিন্তু পাননি। আর সেই না পাওয়ার শূন্যতা ঢেলে দেন বউয়ের সুখে। সংসারে অশান্তি নামে। বাড়ে দূরত্ব। ছোট ছোট খিটিমিটি লেগেই থাকে। এমনকি, নিজের স্বাধীন আকাশে অন্য পুরুষ এসে ধরা দেন। অশান্তির পাহাড় কালো হয়ে আসে। শেষে কী ভাবে সমাধান খুজে নেবেন বউমা? সে পথেই কি সমাধান হতে পারে আজকের পারিবারিক সমস্যার?

পরিচালনা: পৃথা চক্রবর্তী

অভিনয়: কনীনিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, বিশ্বনাথ বসু, অনসূয়া মজুমদার, ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত, বাদশা মৈত্র

প্রশ্নগুলো সহজ। আর উত্তরটাও। এ ছবি সরল ভাবে আর এক বার সেটাই মনে করিয়ে দেয়। বলে, বন্ধুত্বই পারে সব বিবাদ মেটাতে। মেয়েরা একটু যদি মেয়েদের বন্ধু হয়, মুছে যেতে পারে শতাব্দীর যত না-পাওয়া। এখানেই ভাল লাগে এ ছবি। অসামান্য না হলেও, মনে হয়, সপরিবার দেখা যেতে পারে। তাতে যদি মিটে যায় বিবাদগুলো, খুলে যায় প্যাঁচপয়জার!

ভাল লাগে কনীনিকা, বিশ্বনাথের অভিনয়। তাঁদের অভিনয় আখ্যানকে সাবলীল ভাবে এগিয়ে নিয়ে যায়। ছবির শেষে অতিথি অভিনেতা হিসেবে ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তকে মঞ্চে দেখতেও ভাল লাগে। সেই মঞ্চেই শাশুড়ি ও বউমা মন খুলে কথা বললেন। বড় সুন্দর এই মুহূর্ত।

সত্যিই কি নারী দিবসে নারীদের এই ছবি কোনও মুক্তির কথা বলবে? হয়তো হ্যাঁ, বা না। তবু এ ছবির মতোই যদি আমরা হিংসার বদলে একটু বন্ধু হতে পারি, তা হলে, বাড়ি থেকে সমাজ, অন্য রকম হতে পারে সব কিছুই।

(মুভি ট্রেলারথেকে টাটকা মুভি রিভিউ - রুপোলি পর্দার সব খবর জানতে পড়ুন আমাদের বিনোদন বিভাগ।)

Mukhjarjeedar Bou Movie Review
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy