মৃণাল সেন-পুত্রকে সৃজিতের আমন্ত্রণ। গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।
‘পদাতিক’ ছবিমুক্তিতে যোগ দেবেন মৃণাল সেন-পুত্র কুণাল সেন। সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের আমন্ত্রণে মার্কিন মুলুক থেকে বাবার জীবনীচিত্র দেখতে আসবেন তিনি। এই প্রসঙ্গে পরিচালকের সঙ্গে কথা বলল আনন্দবাজার অনলাইন। কুণাল সেনের সহযোগিতা ছাড়া কোনও ভাবেই ‘পদাতিক’ সম্পূর্ণ হত না বলে জানালেন পরিচালক। ইতিমধ্যেই ছবির ঝলক দেখে তিনি অভিনন্দন জানিয়েছেন সৃজিতকে।
সৃজিতের কথায়, “কুণালদাকে বহু দিন ধরে চিনি। ওঁর সহযোগিতা ছাড়া এই ছবিটা সম্ভব হত না। কুণালদা ছবি বানানোর অনুমতি দেওয়ার পরে বলেছিলেন, ‘দেখ আমি অনুমতি দিলাম ঠিকই, কিন্তু আমার বাবা রক্তমাংসের মানুষ ছিলেন। জীবনীচিত্র বানাতে গিয়ে পুজো কোরো না। কিছু বিষয়ে তিনি অসাধারণ ছিলেন। আবার কিছু বিষয়ে খুবই সাধারণ ছিলেন। সেটা যেন থাকে ছবিতে।’ আমিও ছবিতে সেটা বজায় রাখার চেষ্টা করেছি।”
পরিচালক জানালেন, ভারত তথা বিশ্বে জীবনীচিত্রের ক্ষেত্রে সেই ব্যক্তিকে খুব মহান ভাবে প্রদর্শনের প্রবণতা থাকে। “উদাহরণস্বরূপ ‘ওপেনহাইমার’ ছবিতে নিউক্লিয়ার বিস্ফোরণের ঘটনাটি খুব হালকা ভাবে দেখানো হয়েছে”, বললেন পরিচালক। কিন্তু ‘পদাতিক’ ছবিতে তা করতে হয়নি। তার সবথেকে বড় কৃতিত্ব কুণাল সেনের, মত সৃজিতের।
কথার ফাঁকে পরিচালক বললেন, “আমি ফোন করে করে পাগল করে দিয়েছি কুণালদাকে। গীতা সেন কি পান খেতেন? উনি কি এটা করতেন? এমন হাজারো প্রশ্ন করতাম ওঁকে। উনি কি সম্বোধন করতেন, মানিকবাবু না মানিকদা?” সেই সময় ছবি তৈরির কাজ চলছে জোরকদমে। কুণাল সেনের ‘বন্ধু’ বই তখনও প্রকাশিত হয়নি। কিন্তু তিনি সেই বইয়ের খসড়াটি পাঠিয়ে দিয়েছিলেন সৃজিতকে। ছবি তৈরির নেপথ্যে সেই লেখার বেশ খানিকটা ভূমিকাও রয়েছে। যদিও পরিচালক সব বিষয় রাখতে পারেননি ছবিতে। তবে কিছু সমালোচনামূলক বিষয় যোগ করেছেন সৃজিত। তবে মৃণাল সেনের ব্যক্তিগত খুঁটিনাটি সম্পর্কে অবগত হতে পেরেছেন পরিচালক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy