বাঙালি বাড়ির ছোটখাটো মেয়েটিকে দেখা গিয়েছিল ‘মহানগর’ ছবিতে। দাদা-বৌদির দাঁতে দাঁত চেপে লড়াইয়ের দুনিয়ায় আদুরে বোন হয়েই মন জয় করেছিলেন জয়া ভাদুড়ী। পরবর্তী কালে তিনি হয়ে ওঠেন বচ্চন পরিবারের বধূ। বলিউডে বার বার প্রশংসা কুড়িয়েছে তাঁর অভিনয়। কিন্তু জয়া আটকে থাকতে চাননি সেখানেই। সমাজসেবা, সেখান থেকে রাজনীতি— দৃঢ় মনোভাবের পরিচয় রেখেছেন তিনি। এমনকি, স্বামী অমিতাভ বচ্চনই যে তাঁর একমাত্র পরিচয় নয়, রাজ্যসভায় দাঁড়িয়ে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়কেও।
জয়ার দৌহিত্রী নব্য নভেলি নন্দ চান দিদিমার মতো মানুষ হতে। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে নব্য দাবি করেছেন, রুপোলি পরিবারের সন্তান হয়েও তিনি বলিউডে নাম লেখাতে চান না। তাঁর অনুপ্রেরণা তাঁর মা শ্বেতা বচ্চন নন্দ এবং দিদিমা জয়া। তাঁদের আদর্শই নব্যর চালিকাশক্তি। তাঁর কথায়, “আমার মা, দিদিমা দু’জনেই দৃঢ়চেতা, আত্মবিশ্বাসী। ওঁরা যেমন, তেমনই থাকেন, নিজের অস্তিত্বকে সরিয়ে অন্য কিছু গ্রহণ করতে দেখিনি। আমি ঠিক ওঁদের মতো এক নারী হয়ে উঠতে চাই।”

দিদিমার সঙ্গে নব্য নভেলির সম্পর্ক খুবই গভীর। ছবি: সংগৃহীত।
নব্যর দিদিমা, দাদামশায় বলিউডের অন্যতম ক্ষমতাধর দম্পতি। তাঁর মামা-মামি— অভিষেক বচ্চন, ঐশ্বর্যা রাই বচ্চন। অন্য দিকে, নব্যর বাবা নিখিল নন্দ হলেন রাজ কপূরের মেয়ে ঋতু নন্দর ছেলে। ফলে সব দিক থেকেই বলিউডের অভিজাত রক্ত বইছে নব্যর শিরায়। কিন্তু পেশা হিসাবে তিনি বেছে নিতে চান ব্যবসা, বাবার মতো। দিল্লিতে বড় হওয়া তরুণী বলেছেন, “আমি কখনওই চলচ্চিত্র জগতে আসতে চাইনি। আমি ব্যবসা করতে চাই। ছোটবেলা থেকে বাবার কাছে ট্রাক্টরের কথা শুনে শুনে আমার আগ্রহ তৈরি হয়েছে ওই বিষয়ে।”
এ দিকে নব্যর ভাই অগস্ত্য বলিউডকেই বেছে নিতে চান। ইতিমধ্যেই তিনি জ়োয়া আখতারের ‘আর্চি’ ছবিতে কাজ করে ফেলেছেন।