নিজেই ‘নেতাজি’ সাজছেন অভিষেক বসু। ছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া।
আড়াই মাস পড়ে ইন্দ্রপুরী স্টুডিওর চেনা সবুজ গেট। নতুনের মতো ঝকঝক করছে! রং হল নাকি আবার? চিলতে ফাঁক হতেই দেখা গেল একদিনে সেট বানানোর তোড়জোড় প্লাইউড কেটে। র্যাঁদা চালিয়ে পালিশের চমক ফোটানো হচ্ছে পুরনো সেটে। অন্যদিকে পাতা হচ্ছে ট্রলির লাইন। এখানেই বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়েছে জি বাংলার ‘রাণী রাসমণি’, ‘কাদম্বিনী’, ‘নেতাজি’ মেগার শুট।
মেকআপ রুমে উঁকি দিতেই একটা ঘরে দেখা গেল কলকাতার প্রথম মহিলা ডাক্তার কাদম্বিনী গঙ্গোপাধ্যায় ওরফে ঊষসী রায়। মোটা দুই বিনুনি, শাড়ি, ঘটি হাতা ব্লাউজ, মাঝকপালে ছোট্ট টিপ, কানে রিং, হাতে স্ক্রিপ্ট, সবটাই আগের মতো। মেকআপ ম্যানের মুখে শিল্ড!
মেকআপ শেষ হতেই ঊষসী উবাচ, ‘‘নতুন ছন্দে ফিরবে বাঙালি। তাই আবার শুরু শুট। ৮৪ দিন ধরে সবাই জানতে চাইতেন, কবে তোমায় কাদম্বিনী হিসেবে পর্দায় দেখা যাবে? এখন বলছি, তার তোড়জোড় শুরু হল।’’
আরও পড়ুন: গ্রামের কুয়োয় ‘নেমে পড়ল’ স্ত্রী চিতাবাঘ, তারপর কী হল দেখুন...
আর একটি রুমে পাওয়া গেল ‘মথুরবাবু’ গৌরব চট্টোপাধ্যায়কে। তিনি জানালেন, কস্টিউম ধোওয়ার জন্য স্টুডিয়োয় ওয়াশিং মেশিন আনা হয়েছে। সেখানে রোজ ধোওয়া হবে জামাকাপড়। স্যানিটাইজড, ইস্ত্রির পর পরবেন সবাই।
কাদম্বিনী গঙ্গোপাধ্যায়ের চরিত্রে ঊষসী রায় এবং মথুরবাবুর চরিত্রে গৌরব চট্টোপাধ্যায়। ছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া।
তবে সবথেকে বড় চমক দিলেন ‘নেতাজি’ অভিষেক বসু। আড়াই মাসে মাথা ভর্তি চুল! কিন্তু কারও হাতে মাথা ছাড়তে রাজি নন অভিনেতা। তাই আপনা হাত জগন্নাথ হয়ে ইলেকট্রিক রেজার দিয়ে নিখুঁত ভাবে কামিয়ে নিলেন কপালের সামনের অংশ। তারপর সেট করতে নিজেই তুলে নিলেন চিরুনি, কাঁচি। চুলের লুক সেট হতেই শেভিং শুরু। ক্লিন শেভিংয়ের পর চোখে নিকেলের গোল চশমা তুললেই অভিষেক পুরোপুরি ‘নেতাজি’।
আরও পড়ুন: অনলাইন ক্লাসের জন্য বাড়িতেই অভিনব ট্রাইপড বানিয়ে ফেললেন এই শিক্ষিকা
এভাবেই নতুন ছন্দে, নিজেদের মতো করে সতর্কতা মেনে ফের চলছে টেলিপাড়া।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy