প্রতীকী ছবি।
নেটিফ্লিক্সের মতো আন্তর্জাতিক ওটিটি মঞ্চে সব ধরনের ছবি মুক্তি পায়। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের উৎকৃষ্ট ছবির সংগ্রহ তৈরি করায় এই ভার্চুয়াল মঞ্চের বিশেষ সুনাম ও জনপ্রিয়তা রয়েছে। তবে রয়েছে সমস্যাও। সব ধরনের বিষয় যে সকলের মনের মতো হয়, তা নয়! অনেক সময় শিল্পিত নির্মাণও শুধুমাত্র প্রান্তিক বিষয়স্তু হওয়ার দরুণ জনরোষের শিকার হয়েছে। ফল ভুগতে হয়েছে নেটফ্লিক্সকে। তবে আর নয়, এ বার শৈল্পিক স্বরকেই প্রাধান্য দেবে কর্তৃপক্ষ। সে জন্য তৈরি হল অ্যাপের নতুন শাখা, যার নাম ‘আর্টিস্টিক এক্সপ্রেশন’ বা শৈল্পিক অভিব্যক্তি।
শোনা যায়, গত বছর ডেভ চ্যাপেলের ছবি ‘দ্য ক্লোজার’ রূপান্তরকামী সম্প্রদায়ের মনে ক্ষোভ তৈরি করেছিল। ছবির মুক্তির পর প্রতিবাদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছিল নেটফ্লিক্স৷ সংস্থার প্রধান কার্যনির্বাহী টেড সারানডোস শুরুতে আক্রমণাত্মক কমেডি তৈরি করার জন্য চ্যাপেলেরই পক্ষ নিয়েছিলেন। এটি শিল্পীর অধিকার মনে করছিলেন কিন্তু পরে দেখলেন একদল কর্মচারীও এতে আহত হয়েছেন। তাঁরা চাকরি ছেড়ে দেওয়ার কথা ভাবছেন। তখনই বিষয়টা তলিয়ে ভাবেন উদ্যোক্তারা।
যার ফলশ্রুতি হিসেবেই সংস্থার নতুন সিদ্ধান্ত। নেটফ্লিক্সের সাংস্কৃতিক স্বাস্থ্য এবং মুক্তস্বর বজায় রাখতেই শৈল্পিক অভিব্যক্তির নীতি যোগ করা হল। এই নীতিতে বলা হয়েছে, বিনা শর্তে যে কোনও রকম ধারণা এবং প্রতিবাদী শিল্পকে আশ্রয় দেবে নেটফ্লিক্স। এতে যদি কর্মচারীদের সমস্যা হয়, তা হলে তাঁদের অন্য কোথাও কাজ করা উচিত—এ কথাও স্পষ্ট ভাবে জানানো হয়েছে।
আসলে কর্তৃপক্ষ চান, আরও বড় পরিসরে বিরাজ করবে এই ওটিটি মঞ্চ। সব ধরনের দর্শক তাঁদের পছন্দ মতো বিষয় খুঁজে নিতে পারবেন এখানে।
কর্ণধার সাফ জানান, সকলের মন যুগিয়ে চলা তাঁদের কাজ নয় বটে, কিন্তু বিতর্ক চান না। কর্মীরা চাকরি ছেড়ে দিলে দিক, দর্শকদের মন রাখাই শেষ কথা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy