সৌজন্যের অনুরোধে বদলে গেল গুনগুন!
স্টার জলসার ‘খড়কুটো’ ধারাবাহিকে মোচড়ের পর মোচড়। আদিলের উপস্থিতি। তার সঙ্গে গুনগুনের ঘনিষ্ঠ মেলামেশায় সৌজন্যের রাগ। সেই কারণে গুনগুনকে বাবার বাড়িতে চলে যেতে বলা। আদিল মুখোপাধ্যায় বাড়ির বড় মেয়ে মুনিয়ার ছেলে জানার পরেই গুনগুনের প্রতি অন্যায় আচরণের জন্য সবার আফসোস— সব মিলিয়ে নানা ঘটনায় যখন জমে উঠেছে ধারাবাহিক তখনই মোক্ষম চমক দিলেন নেটাগরিকেরা। সৌজন্য আর গুনগুনের অদলবদল ঘটিয়ে দিলেন তাঁরা। প্রকৃত ঘটনা জানার পর গুনগুন এবং তার বাবার কাছে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে সৌজন্যের বারবার অনুরোধ, ‘‘আমার জায়গায় নিজেদের বসিয়ে তার পর পুরো বিষয়টির বিচার করো।’’ সৌজন্যের এই অনুরোধ পর্দার স্ত্রী-শ্বশুরমশাই কানে না তুললেও টনক নড়েছে অনুরাগীদের। ফলাফল? প্রযুক্তির সাহায্যে গুনগুনকে তাঁরা সৌজন্য বানিয়েছেন। আর সৌজন্যকে গুনগুন!
ধারাবাহিকের ফ্যানপেজে ইতিমধ্যেই নেটাগরিকদের এই কীর্তি জনপ্রিয়। ছবি সম্বন্ধে লিখতে গিয়ে রসিকতা করার লোভও সামলাতে পারেননি অনুরাগীরা, ‘যদি এই উলটপুরাণ বাস্তব হত তা হলে কী হত ভাবুন! তবে আমাদের গুনগুন আর বাবিন কুমারকে মানিয়েছে বেশ এই উল্টো রূপে’! ২ অভিনেতার নয়া রূপ দেখে মন্তব্যও ছড়িয়েছে অজস্র। কেউ বলেছেন, ‘গুনগুনকে বিক্রম চট্টোপাধ্যায়ের মতো দেখতে লাগছে!’ কারও দাবি, ‘যমজ ভাই-বোন মনে হচ্ছে দু’জনকে’। এই রূপবদল দেখে জনৈক অনুরাগীর রেখা অভিনীত ‘ঝুটি’ ছবির কথা মনে পড়েছে। তিনি গুনগুনের মধ্যে মিল খুঁজে পেয়েছেন বলিউড সুন্দরীর।
নেটমাধ্যমে ‘সৌগুন’-এর এই রূপবদল নিয়ে যখন জোর হইচই তখন পর্দায় জোরদার বিরহ পর্ব চলছে তাঁদের। পরীক্ষায় প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হতে আদা-জল খেয়ে পড়াশোনা শুরু করছে মুখোপাধ্যায় বাড়ির ছোট বৌমা। সৌজন্যের ফোন, ক্ষমা চাওয়া, কাতর মিনতিও টলাতে পারছে না তাকে। অন্য দিকে সৌজন্যের দুঃখ সহ্য করতে না পেরে অনুরাগীরা যে এমন কাণ্ড ঘটাবেন সেটা বোধহয় স্বপ্নেও কল্পনা করতে পারেননি স্বয়ং ‘খড়কুটো’র নির্মাতা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy