জয়া আহসান।—ছবি আতা মোহাম্মদ আদনান।
জয়া আহসান অন্ধকারে মাস্ক পরে আছেন। তিনি যেন বড়ই বিষণ্ণ। এই অতিমারি কি তাঁকে বিষাদের দিকে নিয়ে যাচ্ছে? ঘটনাটা কী?
বেশি বলা বারণ, তা-ও বলে ফেললেন অভিনেত্রী জয়া আহসান।রবিবার রাতে ঢাকা থেকে ফোনে আনন্দবাজার ডিজিটালকে তিনি বললেন, “এই অতিমারি, লকডাউন নিয়ে ১৫ দিনে ছবি করে ফেললাম।” এই সময়ের মানসিক অস্থিরতার দিনগুলোতে যখন বাসায় বসে ভয় আর আশঙ্কায় দিনগুলো কাটাচ্ছিলাম সেই সময় পরিচালক ফোনে বললেন, ‘চলেন ছোট করে একটা শর্ট ফিল্ম বানিয়ে ফেলি।’
অতিমারির মধ্যে দিয়ে চলা বিশ্বের যে কোনও মানুষ এই ছবির সঙ্গে নিজেকে মেলাতে পারবেন বলে দাবি জয়ার। গল্পের মধ্যে ছবি তৈরি হতে হতে তা দীর্ঘতর হল। তৈরি হল ফিচার ফিল্ম। কবে মুক্তির কথা ভাবছেন? জয়া বললেন, “দিন তো ঠিক হয়নি। তবে ছবি যাতে সকলে দেখতে পান, তাঁর ব্যবস্থা করব আমরা।”
জীবনের খণ্ড খণ্ড না-বলা অনুভূতি জুড়ে তৈরি এই ছবি মানুষের মনের জটিল বিষয় নিয়ে নাড়াচাড়া করেছে।
জয়ার মতে, ছবি অনেক সময় ছবি হয়ে ওঠে, বানাতে হয় না!তাঁর কথায়, “আশায় থাকলাম কী করলাম সেটা দেখার জন্য! কিন্তু ১৫ দিনের শুটিংটা একটা পাগলামি ছিল, এত কম মানুষ নিয়ে একটা ছবি শুট করা যায় সেটাও জানা হল। পিপলু ভাই আর নুসরাত মাটি-র চিত্রনাট্যে আপাতত নাম আসেনি।” নিজের প্রযোজনা সংস্থা ‘C তে cinema’-ও এই ছবির প্রযোজনার অংশ!
এই ছবি থ্রিলারের মোড়কে মানুষের মনের জটিল বিষয় নিয়ে নাড়াচাড়া করেছে।—ছবি আতা মোহাম্মদ আদনান।
লকডাউনের মধ্যেই জানা গিয়েছে, শিলাদিত্য মৌলিকের নতুন ছবি ‘ছেলেধরা’-র কেন্দ্রীয় ভূমিকায় থাকবেন জয়া। 'ছেলেধরা'তে উঠে আসবে এক জন অ্যালকোহলিক মা ও মেয়েকে অপহরণের গল্প। দেখা যাবে, অপহৃত হওয়ার পর থেকেই অপহরণকারীর ছেলেকে নিজেদের নাগালের মধ্যে পেতে চান ওই অ্যালকোহলিক মহিলা। অবশেষে সেটা সম্ভবও হয়। নিজের ছেলেই যখন অপহরণের শিকার, তখন অপহরণকারীর ঠিক কী অনুভূতি হতে পারে? এই পটভূমিতেই তৈরি হচ্ছে 'ছেলেধরা'।
আরও পড়ুন: ‘এসো ওদের টেনে নামাই’, কঙ্গনাকে ‘থ্যাঙ্ক ইউ’ দিয়ে ফের টুইট পায়েলের
লকডাউনে সোশ্যাল মিডিয়ায়, নানা ভিডিয়ো পোস্ট করেছিলেন জয়া সেখানে দেখা গিয়েছে জয়ার বাড়ির বারান্দায়, ছাদে বড়-ছোট-মাঝারি মাপের অসংখ্য টব। তিনি নানা ধরনের গাছের যত্ন নেওয়ার পাশাপাশি নতুন চারাও লাগাচ্ছেন। পাশে আছে তাঁর সঙ্গী সারমেয়। ক্যাপশনে জয়া লেখেন, “সবচেয়ে ভাল সময় কাটানোর উপায় গাছ লাগানো। সবুজের সঙ্গে সময় কাটানো। এতে পৃথিবী দূষণমুক্ত হবে অনেকটাই।”
তবে এখন বোঝা যাচ্ছে শুধু গাছ লাগানো নয়, আস্ত একটা সিনেমার কাজ-ই করে ফেলেছেন জয়া।
আরও পড়ুন: পুজোর আগেই শেষ ‘এখানে আকাশ নীল’, কেন? মুখ খুললেন অনামিকা
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy