বাংলা এবং বম্বের দুই শিল্পীর ‘বাপ্পিদাকে’ নিয়ে একই পর্যবেক্ষণ! অনুরাধা বলছিলেন, ‘‘তখনকার দিনে সুরকাররা এমনই ছিলেন। পেশাদার এবং বন্ধুত্বপূর্ণ। শিল্পীদের যথাযোগ্য মর্যাদা দিতেন। আমি কোনও দিন বাপ্পিদাকে রেগে যেতে দেখিনি।
প্রিয় লতা দিদির সঙ্গে বাপ্পি।
নব্বই দশকের সেই সুর জাস্টিন বিবারের প্রজন্মকেও ডান্স ফ্লোরে নাচতে বাধ্য করে! রিমিক্স নয়, আজও অরিজিনাল গানটিই যথেষ্ট! গানটির নাম ‘তম্মা তম্মা’! সুরকার এবং গায়ক বাপ্পি লাহিড়ী। তাঁর সঙ্গে মহিলা কণ্ঠ অনুরাধা পাড়োয়ালের। বাপ্পির সুরে হিন্দি এবং বাংলা ভাষায় একাধিক হিট গান গেয়েছেন অনুরাধা। এক দিকে যদি ‘তম্মা তম্মা’, অন্য দিকে ‘অনুতাপ’ ছবির ‘ইমন বলো বসন্ত বলো’... বাপ্পির সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা প্রসঙ্গে অনুরাধা বললেন, ‘‘মানুষটা যেমন ছিলেন, ওঁর কাজের মধ্য দিয়ে সেই স্বভাব ফুটে উঠত। খুব কম বয়সেই সাফল্য পেয়েছিলেন। ‘বম্বে কাঁপাচ্ছেন বাপ্পিদা’—এমন কথা এখানে চালু ছিল। কিন্তু তার পরেও ভীষণ অমায়িক এবং মাটির কাছে থাকা একজন মানুষ। আমার কাছে উনি পরিবারের মতো।’’ গত বছর নভেম্বর মাসে বাপ্পির জন্মদিনের অনুষ্ঠানেও গিয়েছিলেন অনুরাধা। সেটাই শেষ দেখা!
একসঙ্গে প্লেব্যাক করতে পারেননি। একবার সুযোগ এলেও, পরিস্থিতির কারণে গান গাওয়া হয়ে ওঠেনি। তবু বাংলার অন্যতম জনপ্রিয় শিল্পী মিস জোজোর স্মৃতি জুড়ে রয়েছে ‘বাপ্পিদা’। ‘‘প্রথম বার যখন মঞ্চে ওঁর সঙ্গে গাওয়ার সুযোগ পেয়েছি, আমার বয়স পনেরো-ষোলো বছর। তখন ‘শরাবি’ হিট হয়েছে। মঞ্চে নাচছেন জয়াপ্রদা। আমি আর বাপ্পিদা গাইছি। এর চেয়ে বড় প্রাপ্তি কী-ই বা হতে পারে,’’ বলছিলেন জোজো। নেতাজি ইনডোর থেকে শুরু করে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় বাপ্পির সঙ্গে মঞ্চ মাতিয়েছেন জোজো। আশা ভোঁসলে, রুনা লায়লা এবং বাপ্পির একসঙ্গে রিহাসার্লেও থাকার সৌভাগ্য হয়েছিল জোজোর।
বাংলা এবং বম্বের দুই শিল্পীর ‘বাপ্পিদাকে’ নিয়ে একই পর্যবেক্ষণ! অনুরাধা বলছিলেন, ‘‘তখনকার দিনে সুরকাররা এমনই ছিলেন। পেশাদার এবং বন্ধুত্বপূর্ণ। শিল্পীদের যথাযোগ্য মর্যাদা দিতেন। আমি কোনও দিন বাপ্পিদাকে রেগে যেতে দেখিনি। জেন্টলম্যান বলতে যা বোঝায়, উনি তা-ই ছিলেন।’’ জোজো বললেন, ‘‘মানুষটা খুব আমুদে ছিলেন। সব সময়ে পরিবারকে ঘিরে থাকতেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy