এক মঞ্চে নুসরত এবং অনুপম।
২০২০ সালের মার্চ। তার পরে ২০২১ সালের শীত। মাঝে ৩৬৫ দিনেরও বেশি সময় কেটে গিয়েছে। এতগুলো দিন পরে ফের মাঠে নেমেছেন মানুষ। বড়দিনের আগে হরেক খাবারের সুবাস মাখা এক সুরেলা সন্ধ্যা কাটানোর সুযোগ করে দিল ‘মারলিন গ্রুপ’। তাতেই যেন সাঁঝবাতির মতোই এক অন্য মাত্রা এনে দিলেন নুসরত জাহান এবং অনুপম রায়।
রাজারহাট চৌমাথা পেরিয়ে বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে তৈরি হয়েছে ‘মারলিন রাইজ’। খেলাধুলোর কথা মাথায় রেখে বিশ্বের তারকা ক্রীড়াবিদদের নামে এই উদ্যোগ। সাঁতার, মার্শাল আর্ট, ফুটবল, ক্রিকেট— এই চারটি খেলার দিকে নজর দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে এলাকায় স্কুল এবং হাসপাতালও তৈরি করেছে ‘মারলিন গ্রুপ’। পাশে গড়ে উঠবে বহুতল আবাসন। সম্প্রতি এই প্রকল্প সাফল্যের মুখ দেখতে শুরু করেছে। সেই উপলক্ষে শীত-পার্বণে মাতল ‘মারলিন গ্রুপ’।
শনিবারের সন্ধ্যার এই উ়ৎসবের জন্য মাঠ সেজে উঠেছিল যত্নে। এক দিকে রকমারি খাবারের স্টল। অন্য দিকে মঞ্চ। আলো ঝলমলে মঞ্চের সামনে দর্শকদের বসার জায়গা।
শুরুতেই নৃত্যশিল্পীরা মুগ্ধ করে দিয়েছিলেন দর্শকদের। নুসরত জাহান মঞ্চে আসতেই প্রিয় তারকাকে স্বচক্ষে দেখতে মঞ্চের সামনে ভিড় করলেন দর্শকদের একাংশ। ‘মার্লিন রাইজ’-এর এমন উদ্যোগের প্রশংসায় পঞ্চমুখ নুসরত। অনুষ্ঠানে যদিও বেশি ক্ষণ থাকতে পারেননি সাংসদ-অভিনেত্রী। তবু শ্যুট ছেড়ে শীত-উৎসবের আমেজ মেখে নিতে হাজির হয়েছিলেন তিনি। ফের সেখানেই ফিরে যেতে হয়েছে তাঁকে। তত ক্ষণে নুসরত-পুত্র ঈশানের দুষ্টুমির কথা জেনে ফেলেছেন অতিথি-দর্শকেরা।
নুসরত বেরিয়ে যেতেই মঞ্চ জমিয়ে দিতে হাজির অনুপম। তাঁর ‘দ্য অনুপম রায় ব্যান্ড’-এর গান শুনে নিজেদের আসনে ফিরতে মন চায়নি কারও। ‘আমি আজকাল ভাল আছি’ শুনে শীতের রোমাঞ্চ যেন আরও এক ডিগ্রি বেড়ে গেল। ‘বেঁচে থাকার গান’ শুনে ফের গা গরম শ্রোতাদের। এত দিন পরে অনুরাগীদের কাছাকাছি এসে গান গাইতে পেরে মন ভাল হয়ে গিয়েছে অনুপমেরও। দর্শকদের হাততালি, আনন্দধ্বনি শুনে যেন আরও একটু ইতিবাচক হয়ে উঠেছেন গায়ক-সুরকার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy