নুসরত জাহান এবং যশ দাসগুপ্ত।
হালকা নীল রঙের শার্ট, জিনস, হাতে দামি ঘড়ি। থুতনিতে আলতো করে হাত ছুঁইয়ে লেন্সের দিকে তাকিয়ে বসে রয়েছেন যশ দাশগুপ্ত। ছবি দিয়ে লিখেছেন, ‘আজকের দিনটাকে সুন্দর করে তোলো।’ স্বাভাবিক ভাবেই যশের অনুরাগীরা বরাবরের মতো তাঁকে দেখে আপ্লুত। প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন নতুন বাবাকে। কিন্তু পোস্টের মন্তব্য বাক্সে চোখ আটকে যায় অন্য কারণে। সেখানে সহস্র অনুরাগীর ভিড়ে জ্বলজ্বল করে ওঠে একজনের নাম। নুসরত জাহান। অভিনেত্রী, সাংসদ এবং যশ দাশগুপ্তের সন্তানের মা। কী লিখেছেন তিনি?
খানিক অনুযোগের সুরে তিনি লিখেছেন, ‘ছবি ঋণ কোথায়? প্রশংসাটুকুও করলে না।’ অর্থাৎ নুসরত বুঝিয়ে দিলেন ক্যামেরার পিছনে তিনিই ছিলেন। ছেলের মায়ের কথার উত্তর দিয়েছেন নায়ক। নুসরতের নাম লিখে তার পাশে একটা ক্যামেরার চিহ্ন দিয়ে লিখেছেন, ‘খুশি!’
ইনস্টাগ্রামে তাঁদের এই সংক্ষিপ্ত খুনসুটি দেখে উচ্ছ্বসিত ‘যশরত’-এর অনুরাগীরা। মুখে কিছু না বলেও আকারে ইঙ্গিতে নিজেদের সম্পর্ক নিয়ে প্রায় সব কিছুই জানিয়ে দিয়েছেন তাঁরা। ২ সেপ্টেম্বর নুসরত নিজের একটি ছবি দিয়ে ঋণ স্বীকারের জায়গায় লেখেন ‘ড্যাডি’। তিনি যে আসলে কার কথা বলতে চাইছিলেন, তা বুঝে নিতে অসুবিধা হয়নি কারও। এর পর ছেলে ঈশানের জন্ম শংসাপত্রে বাবা হিসেবে দেবাশিস দাশগুপ্ত ওরফে যশের নাম প্রকাশ্যে আসার পর সন্দেহের অবকাশটুকুও থাকে না।
‘যশরত’-এর ঘনিষ্ঠ মহলের বক্তব্য, গত বছরই বিয়ে সেরে ফেলেছেন তাঁরা। নুসরতের প্রাক্তন নিখিল জৈনের সঙ্গে ‘বিয়ে’ নিয়ে আইনি জটিলতা না মেটায় এখনও নিজেদের সম্পর্কের কথা প্রকাশ্যে আনতে পারছেন না ‘এসওএস কলকাতা’-র নায়ক-নায়িকা। তাই কখনও সংবাদমাধ্যমের সামনে একসঙ্গে ধরা দিয়ে, কখনও আবার ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট করেই নিজেদের কথা বুঝিয়ে দিচ্ছেন তাঁরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy